কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর: অতিমারির দৌরাত্ম্যে গত দু'বছর দুর্গাপুজোর আনন্দে ফাঁকি পড়েছে ৷ তাই এবছর (Durga Puja 2022) অনেক আগে থেকেই মণ্ডপগুলিতে উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড় ৷ স্বাভাবিকভাবেই যাতায়াতের জন্য চাহিদা বাড়ছে অ্যাপ ক্যবের (App Cab Service) ৷ কিন্তু সেখানেই সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ কারণ, কলকাতার রাস্তায় ইতিমধ্যেই অ্যাপ ক্যাবের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে অনেকটাই ৷ পুজোর দিনগুলিতে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলে আশংকা করছেন অ্যাপ ক্যাব সংগঠনগুলির নেতারা ৷
অ্যাপ ক্যাব না মিললে স্বাভাবিকভাবেই নাকাল হতে হবে যাত্রীদের ৷ দিনেরবেলা গাড়ি পাওয়া গেলেও বিকেলের পর থেকে আরও কমবে গাড়ির সংখ্যা ৷ পাশাপাশি, ইদানীং অ্যাপে গাড়ি 'অ্য়াভেলেবল' দেখালেও বেড়েছে অপেক্ষার সময় বা 'ওয়েটিং টাইম' ৷ অর্থাৎ, গাড়ি পেতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের ৷ শুধু তাই নয়, এই দুর্ভোগের দোসর হয়েছে চড়া ভাড়া ৷ ইতিমধ্যেই বিকেল থেকে শহরের রাস্তায় যানজট বাড়ছে ৷ তাই যতই জরুরি কাজ থাকুক না কেন, চালকদের পছন্দ মতো গন্তব্য না হলেই তাঁরা 'ট্রিপ' বাতিল করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ৷ কারণ, যানজটে গাড়ি আটকে থাকলে তাঁদের লোকসান বাড়বে ৷
আরও পড়ুন: নতুন ট্রাফিক আইন নিয়ে ফের প্রতিবাদে পথে নামল অ্যাপ ক্যাব সংগঠন
এই বিষয় এআইটিইউসি-এর ট্যাক্সি এবং অ্যাপ ক্যাব চালক সংগঠনের নেতা নওয়ালকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, "যাত্রীদের যে সমস্যা হচ্ছে, সেই বিষয় আমরা যথেষ্ট সচেতন ৷ কিন্তু আমাদের সমস্যাটা কেউ বুঝতে পারছেন না ৷ একদিকে জ্বালানির অগ্নিমূল্য, অন্যদিকে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির চড়া কমিশন ৷ আমরা ভেবেছিলাম এগ্রিগেট আইন চালু হলে কিছুটা সুরাহা হবে ৷ কিন্তু সেটাও এখনও বিশবাঁও জলে ৷ পাশাপাশি, এই যানজটের মধ্যে গাড়ি চালাতে গিয়ে তেলের খরচ বাড়ছে ৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই চালকরা বিকেলের পর আর গাড়ি রাস্তায় নামতে চাইছেন না ৷ সংগঠনের তরফে যদিও আমরা সব চালককেই গাড়ি নামানোর আবেদন করেছি ৷ কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কাউকে বাধ্য করা সম্ভব নয় ৷"
একই কথা বলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর কথায়, "নতুন আইনে অ্যাপ ক্যাব সংস্থার তরফে চালকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ 20 শতাংশ কমিশন কাটার কথা বলা হয়েছে ৷ কিন্তু আমাদের দাবি, এটা কমিয়ে 10 শতাংশ করা হোক ৷ তাছাড়া, এখন অ্য়াপ ক্যাব সংস্থাগুলি 20 শতাংশের জায়গায় 25 থেকে 30 শতাংশ কমিশন কেটে নিচ্ছে ৷ ফলে ভাড়া খাটার পর দিনের শেষ চালকদের হাতে আর কিছুই পড়ে থাকছে না ৷ এর জেরে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা আরও কমবে এবং ওয়েটিংয়ের সময় আরও বাড়বে ৷"