কলকাতা, 26 মার্চ : লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। প্রথম দফার ভোট 11এপ্রিল। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন চলাকালীন কোনও সাধারণ ব্যক্তি সঙ্গে রাখতে পারবেন না কোনও আগ্নেয়াস্ত্র। সে আপনার শখের পিস্তলটিই হোক বা আপনার পূর্ব পুরুষের স্মৃতি। স্থানীয় থানায় জমা দিতে হবে সবই। সেক্ষেত্রে কেউ যদি থানায় জমা রাখতে না চান তাহলে রইল বিকল্প ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে কলকাতায় থাকলে পাবেন সুবিধে।
আপনার শখের পিস্তলটিকে রাখতে হলে যেতে হবে লালবাজারে। সেখানে এন সি দাঁ অ্যান্ড কোং, এই বন্দুকের দোকানটিতে প্রতি মাসে দু'হাজার টাকা দিলেই কাজ শেষ। অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে বৈধ লাইসেন্স। আর আপনার যদি বন্দুকের শখ থাকে তাহলে এখান থেকে কিনতে পারেন তাও। নির্বাচনের সময় ছাড়াও কারোর যদি ঘরে অস্ত্র রাখার না ইচ্ছে থাকে তাহলেও রাখা যেতে পারে এখানে।
কী ভাবে বন্দুক কিনবেন?
বন্দুক কেনার আগে বানাতে হবে লাইসেন্স। লাইসেন্স কোথা থেকে করাবেন তা নির্ভর করবে আপনি কোন এলাকার বাসিন্দা। সেই এলাকার সংশ্লিষ্ট আগ্নেয়াস্ত্র বিভাগ থেকে লাইসেন্স দেওয়া হবে।
কলকাতার বাসিন্দা হলে লালবাজারের আর্মস অ্যাক্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি মিলবে। আর লাইসেন্স থাকলেই মিলবে বন্দুক, গুলি, এয়ারগান, রিভলবার, পিস্তল, রাইফেল, স্মল আর্মস। এবার কেনার পরই শেষ নয়। প্রতি তিন বছর অন্তর এই লাইসেন্স নবীকরণ করতে হয়। যাতে খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা।
এবার আসা যাক এন সি দাঁ অ্যান্ড কোং-এ
শতাব্দী প্রাচীন এই দোকানে ২২ ইঞ্চির রিভলবারসহ এয়ারগান, পিস্তল, রাইফেল, গুলি, স্মল আর্মস সবই পাওয়া যায়। বেশিরভাগ বন্দুক তৈরি হয় মুঙ্গের এবং কাশ্মীরে বেসরকারি কারখানায়। এছাড়া কাশীপুর, কানপুর এবং ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে তৈরি হওয়া অস্ত্রও এখানে পাওয়া যায়। শুধু দেশের নয়, ইংল্যান্ড, স্পেন, জার্মানির তৈরি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র বলা যেতে পারে ৯০ শতাংশই বাইরের আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি এখানে পাওয়া যায়। ফলে আসলে দেখা মিলতেই পারে ৮০ বছর বা ১০০ বছরের পুরানো আগ্নেয়াস্ত্রর। তবে দোকানের কর্ণধার সৌম্যজিৎ দাঁ জানান, বন্দুকের চাহিদা কমেছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ক্রেতারা আসলেও আসে না বাংলা থেকে। বিভিন্ন ইশুতে আজকাল বন্দুকের ব্যবসা কমেছে। কমেছে এরাজ্যের মানুষের বন্দুকে আগ্রহও। কোনওদিন বিক্রি হয়, কোনওদিন হয় না। এসবের মাধেই লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের নয়া পন্থা বন্দুক জমা রাখা।