কলকাতা, 22 অগস্ট: হাতে রয়েছে বুধবার পর্যন্ত সময় । বুধবারেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ফের আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করতে হবে । ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । এ দিন আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal loses temper) নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে 15 তলায় দুর্নীতি দমন শাখার অফিসে ফের শুরু হয়েছে জেরা পর্ব (CBI)।
অনুব্রত মণ্ডলের থেকে তাঁর বিষয় সম্পত্তি এবং গরু পাচারের একাধিক তথ্য জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন গোয়েন্দারা । সিবিআই সূত্রের খবর, জেরায় অনুব্রত মণ্ডল এ দিন বেশ কয়েকবার মেজাজ হারিয়েছেন । সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর চালকল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি মেজাজ হারিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের বলেন, সব ব্যবসার কাগজপত্র আছে । একটাও বেআইনি নয় ।
পাশাপাশি সিবিআইয়ের তরফ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের থেকে জানতে চাওয়া হয় যে, সায়গল হোসেন যে একাধিক অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন সেই খবর অনুব্রত মণ্ডল আগাম জানতে পারেননি কেন ? তাহলে কি তাঁর বেআইনি কাজগুলিকে প্রশ্রয় দিতেন অনুব্রত মণ্ডল ? জবাবে অনুব্রত সিবিআইকে জানান, তাঁর কোনও দেহরক্ষী বাইরে কী করে বেড়াচ্ছেন তার খবর তাঁর কাছে থাকত না ।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বোলপুরের ফ্ল্যাটে ফের সিবিআই হানা
সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলের কাছ থেকে জানতে চান যে, এনামুল হকের সঙ্গে তিনি কেন যোগাযোগ রাখতেন ? জবাবে অনুব্রত মণ্ডল জানান, তিনি এনামুল হক নামে কাউকে চেনেন না । এরপরে সিবিআই-এর তরফে অনুব্রতকে বলা হয়, এনামুল হকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের স্পষ্ট প্রমাণ তাঁদের কাছে আছে । অনুব্রত মণ্ডল চাইলে সেই প্রমাণ সিবিআই তাঁকে দেখাতে পারেন । জবাবে ফের অনুব্রত সিবিআইকে বলেন, "আমি এই নামে কাউকে চিনি না ।"
এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে । সেখানে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পরে ফের তাঁকে নিয়ে আসা হয় নিজাম প্যালেসে । যেহেতু বুধবার পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে পাওয়া গিয়েছে, ফলে নিজাম প্যালেসে অনুব্রত মণ্ডলকে এনেই শুরু হয়েছে লাগাতার জেরা পর্ব ।