কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: সোমবার 'বিদ্বেষের রাজনীতি বিরোধী জনমঞ্চ' কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে। তারা জানান, আগামী 15 ফেব্রুয়ারি কলকাতার রানুছায়া মঞ্চ থেকে জাঠা করা হবে দেউচা পর্যন্ত। হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান হয়ে বীরভূম পৌঁছবে 21 ফেব্রুয়ারি। সেদিন 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।' তাই মাতৃভাষার মতই মাতৃর ভূমিরক্ষা করবে তারা। দেউচা পাঁচামিতে সরকার খোলামুখ খনির কথা ঘোষণা করেছে (Deucha Protest In Kolkata)। এর বিরুদ্ধে 42টি গ্রামের মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হন। এবার সেই প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়াল এই মঞ্চ। মঞ্চের চেয়ারম্যান শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন নাট্যশিল্পী জয়রাজ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস, আদিবাসী ছাত্র অশোক মুর্মু।
দেউচার প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা তথা আদিবাসী ছাত্র অশোক মুর্মু বলেন, "জমি আমাদের আদিবাসীদের। সরকার কে, খনি হবে কি না ঠিক করার ? সরকার আসলে খোলামুখ খনির নামে পাথর খাদান তৈরি করতে চাইছে। সরকারি প্যাকেজের কথা বিশ্বাস করি না। দেউচা সংলগ্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই পাথর খাদান রয়েছে। সেখানেও সরকার আশ্বাস দিয়েছিল প্যাকেজের। কেউ আর্থিক সাহায্য বা চাকরি কিছুই পায়নি। 2011 সাল থেকে আদিবাদীরা বঞ্চিত, চাকরি নেই। এটা আমাদের জমি কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত।"
আরও পড়ুন: আইপ্যাক নিয়ে 'রা' কাড়লেন না মমতা, এড়ালেন পার্থও, সমস্যার বীজ কি আরও গভীরে ?
অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, "মাটির 900 মিটার গভীরে স্তর রয়েছে। যা 300 তলা বাড়ির সমান। কয়লাস্তরের উপর 250 মিটার পাথরের স্তর রয়েছে। ভারতে এই স্তর ভেদ করে এত গভীর থেকে কয়লা উত্তোলন হয়নি। কোন প্রযুক্তিতে কয়লা উত্তোলন হবে? পরিবেশে এর কী প্রভাব পড়বে সেসব নিয়ে সরকার কিছুই জানায়নি। গোটা প্রকল্প ঘিরে রয়েছে ধোঁয়াশা। আশঙ্কা খনি হলে স্থানীয় মানুষরাই ক্ষতির মুখে পড়বেন।"