কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর: এক কোরোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই রোগীকে CCU-এ বেড দেওয়া হয়নি । যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন রোগী। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। চিকিৎসকরা ব্যবস্থা নিলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি ।
ওই রোগী তপসিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন । তাঁকে 22 অগাস্ট কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করার পর দিন চিকিৎসকরা তাঁকে CCU-এ স্থানান্তরের কথা বলেন। অথচ রোগীকে CCU-তে স্থানান্তরের জন্য হাসপাতালে আবেদন করা হলেও বেড পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ । তাঁদের আরও অভিযোগ, ওয়েবসাইটে এই রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হলেও রোগীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে পরিজনরা জানতে পেরেছিলেন তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। অভিযোগ, বিষয়টি হাসপাতালকে বলা সত্ত্বেও সাহায্য মেলেনি। রবিবার এই রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (MSVP)-এর অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁর আত্মীয়রা ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত রোগী ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। কোরোনা ওয়ার্ডে CCU-এর ব্যবস্থা রয়েছে। ভেন্টিলেটর সাপোর্ট ছাড়া এই রোগীর ক্ষেত্রে CCU-এর অন্য সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। তবে, রোগীকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে আরও জানানো হয়েছে, কোরোনা পরীক্ষা করিয়ে এই রোগীকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল। ক্যানসারের চিকিৎসা করানোর সময় একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর কোরোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । ওই হাসপাতাল থেকে এই রোগীকে 22 অগাস্ট কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আনা হয়।
যদিও মৃত রোগীর পরিজনরা অভিযোগ করেছেন, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করানোর পর রোগীর দ্বিতীয়বার কোরোনা পরীক্ষা হয়। তারপরও সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জবাব, রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকলে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার আগে কোরোনা পরীক্ষা করানো হয়। যেহেতু 22 অগাস্ট রোগীকে ভরতি নেওয়া হয়েছিল, তাই অন্য হাসপাতালে আগের পরীক্ষার পর 10 দিন না হওয়ার কারণে সেই সময় নতুন করে পরীক্ষা করানো হয়নি। তবে, মৃত রোগীর পরিজনরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।