কলকাতা, 13 মার্চ: প্রস্তুতি সম্পন্ন। চলছে নিয়ম-রক্ষার প্রোটোকল মানার কাজ। আগামী সপ্তাহ রাজ্যের পৌর নির্বাচনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা হতে চলেছে কলকাতা এবং হাওড়া পৌর নির্বাচনের দিন। আবার ওই দিনেই বাকি পৌরসভা গুলির নির্ঘণ্টও ঘোষণা হতে পারে। কিংবা সেটা আরও পরেও হতে পারে। কলকাতা এবং হাওড়া পৌর নির্বাচনের জন্য আগামী সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে সর্বদল বৈঠক ডাকলেন কমিশনার।
নির্বাচন কমিশনে কালিম্পং ছাড়া সব জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক হয়ে গেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস এবং সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য আগামী ভোটের বিষয় গুরুত্বপূর্ণ সব কথার জেলাশাসকদের জানিয়ে দিয়েছেন। প্রতিটি জেলায় জেলাশাসক রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাজ করবেন। বৈঠকে প্রত্যেক জেলার স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা, ভোটকেন্দ্রের অবস্থা, ভোট কর্মী নিয়োগ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় বলে খবর। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যার সূত্র ধরে এর পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে কমিশনে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক লোকসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বলে গিয়েছেন। তিনি বেশ কিছু নির্দিষ্ট ফরমুলা দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। সূত্রের খবর তেমনটাই। সেই সূত্র ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। লক্ষ্য একটাই। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট। প্রথা মেনে শীঘ্রই রাজ্যের ADG (L&O) জ্ঞানবন্ত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
নিয়ম বলছে, রাজ্যের পৌর এবং নগর উন্নয়ন দপ্তরের সুপারিশে ভোটের দিন ঠিক করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বেশ কয়েকমাস আগে পাঁচটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে। তবে সেগুলি 2018 সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার 17 টি পৌরসভা এবং পৌরনিগমের নির্বাচনের জন্য। সামগ্রিকভাবে 112 টি পৌরসভার জন্যই চিঠি দেওয়া হয় গত মাসের শেষ দিকে। রীতি অনুযায়ী ভোটের দিনক্ষণের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও লিখিত চিঠি নির্বাচন কমিশন পায়নি। তবে কমিশনের ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুরোদমে। 92 পৌরসভা এবং পৌরনিগমে আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়ে গেছে। আগেই 17 টি পৌরসভা এবং পৌরনিগমের সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী খসড়া তালিকা প্রকাশের দিন থেকে থেকে 10 সপ্তাহ পরে ভোট নিতে কোনও অসুবিধা নেই। অর্থাৎ 27 মার্চের পরে যেকোনও দিন ভোট নেওয়া যেতে পারে। সেই সূত্রেই শোনা যাচ্ছে এপ্রিল মাসে কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের নির্বাচন দিয়ে শুরু হতে পারে পৌরভোট।
27 মার্চ শেষ হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তারপর প্রচারে কোনও বাধা নেই। সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশের 10 সপ্তাহের মধ্যে ভোট করা যায় না ঠিকই, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে অসুবিধা নেই। সেই সূত্রে আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা করা হতে পারে কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচনের দিনক্ষণ। মার্চের শেষ সপ্তাহে হয়ে যেতে পারে মনোনয়ন প্রক্রিয়া।