কলকাতা, 31 জুলাই : বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান নিয়ে তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলায় উত্তর সম্পাদকীয় লিখে সিপিএমের শোকজের মুখে পড়তে চলেছেন প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস ৷ জাগোবাংলায় তাঁর তিন কিস্তিতে লেখা নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তারা ৷ যদিও এই লেখা নিয়ে কোনও সিপিএম নেতাই মুখ খোলেননি ৷ তবে মুখ না খুললেও প্রয়াত প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের মেয়েকে কোনওরকম রেয়াত করতে চাইছেন না বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা ৷ এদিকে তাঁর এই লেখা নিয়ে নিজের মতো করে এক অডিও বার্তায় সাফাই দিয়েছেন অজন্তা বিশ্বাস ৷
সেই অডিয়ো বার্তায় (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত) প্রকারান্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছে অনিল কন্যার মুখে ৷ শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর 'অসম লড়াই'-এর কথাও ৷ অডিয়ো বার্তায় অজন্তা বলেছেন, "আমার লেখাটি প্রাক স্বাধীনতা পর্বে অবিভক্ত বাংলার রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ ৷ ইতিহাসের দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত এই লেখাটির একদিকে যেমন স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে থাকা সব নেত্রীরা রয়েছেন ৷ রয়েছে তাঁদের অবদানের কথা ৷ লেখায় কংগ্রেস নেত্রীদের কথা যেমন রয়েছে তেমনই বামপন্থী নারীদের প্রসঙ্গও রয়েছে ৷" এরপরই তাঁর সংযোজন, "বঙ্গের রাজনীতিতে নারীদের ভূমিকা নিয়ে লিখতে গেলে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ আসা অত্যন্ত স্বাভাবিক ৷ তিনি বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী ৷ মহিলা নেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন পুরুষ প্রধান রাজনীতির অসম লড়াইয়ে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন ৷" তিনি শেষ করেছেন এই বলে যে, ‘‘আমার প্রয়াস দলমত নির্বিশেষে বঙ্গের রাজনীতিতে সব মহিলা নেত্রীর সদর্থক দিকটি তুলে ধরা ৷’’
আরও পড়ুন : Ajanta Biswas : অনিল-কন্যা অজন্তার লেখা জাগো বাংলায়, চরম বিড়ম্বনায় সিপিএম
অন্যদিকে অজন্তার এই সাফাইয়ে কিন্তু মন গলেনি সিপিএম নেতাদের ৷ যেহেতু অজন্তা বিশ্বাস দলের সদস্য তাই তাঁকে শো-কজ করা হচ্ছে ৷ অনিল-কন্যার এই কাজকে 'অসচেতন' 'খারাপ কাজ' বলে অভিহিত করেছেন সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদার ৷ তিনি জানান, জাগো বাংলায় প্রথম কিস্তি লেখা প্রকাশের পরই বাকি কিস্তি যাতে প্রকাশ না হয় সে ব্যাপারে অজন্তাকে বলতে বলা হয়েছিল ৷ কিন্তু সে ব্যাপারে উনি (অজন্তা ) দ্বিধান্দ্বিত ছিলেন ৷ কল্লোলবাবুর অভিযোগ, অজন্তার এই লেখা পার্টি কর্মী এবং বামপন্থী মনোভাবাপন্ন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ৷ তাই অজন্তার কাছে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ শো-কজের চিঠি পেলে কী জবাব দেন অনিল-কন্যা, সেটাই এখন দেখার ৷