ETV Bharat / city

দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু যাদবপুরের সুইটির - যাদবপুরের সুইটি মৃত্যু রহস্য

ফরেনসিকের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, পড়ে যাওয়ার সময় প্রাণে বাঁচতে ছাদের পাঁচিল আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলেন যাদবপুরের সুইটি সূত্রধর ৷ ছাদের পাঁচিলে পাওয়া গেছে আঁচড়ের দাগ ৷

accidental death of Switee at Jadavpur, report says so
সুইটি সূত্রধর
author img

By

Published : Jan 3, 2020, 12:57 AM IST

কলকাতা, 2 জানুয়ারি : খুন নয় ৷ টাল সামলাতে না পেরেই বর্ষবরণের রাতে আবাসনের ছাদ থেকে পড়ে গেছিলেন সুইটি সূত্রধর ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এটাই বলছে ৷ এদিকে ফরেনসিকের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, পড়ে যাওয়ার সময় প্রাণে বাঁচতে ছাদের পাঁচিল আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলেন তিনি ৷ আঁচড়ের দাগও পাওয়া গেছে পাঁচিলে ।

পুলিশ সূত্রে খবর, আবাসনের পার্টিতে মদ্যপানের ব্যবস্থা ছিল না ৷ পার্টিতে যাওয়ার আগেই তাঁরা অন্যত্র মদ্যপান করেন ৷ সেখানে পাঁচ পেগ হুইস্কি পান করেছিলেন ৷ আবাসনের পার্টিতে তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল না ৷ পরে অন্যরা ডেকে নিয়ে যায় তাদের ৷ মত্ত অবস্থায় পৌঁছান দু'জনে ৷

প্রেম করে বিয়ে করায় সুইটিকে মানতে চাইছিল না কুন্তলের পরিবার ৷ বিয়ে নিয়ে সুইটির পরিবারেও সমস্যা ছিল ৷ ঘটনার দিন সুইটিকে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে ও কাঁদতে দেখেছিলেন আবাসিকরা ৷ আর তা দেখেই সুইটি ও কুন্তলকে পার্টিতে ডাকেন তাঁরা ৷ আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই দম্পতি ছাদে পার্টিতেও মদ্যপান করতে চান ৷ কিন্তু পরিবারের সব সদস্যদের নিয়ে পার্টির আয়োজন হওয়ায় সেখানে মদ্যপানের ব্যবস্থা ছিল না । তখন কুন্তল নিজেই ঘর থেকে একটি মদের বোতল নিয়ে ছাদে আসেন । পরে ছাদে বসে মদ পান করেন দু'জনে । ককটেল হয়ে যাওয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যেই একেবারে মত্ত হয়ে যান কুন্তল । নেশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন । তখন পার্টিতে উপস্থিত অন্যরা কুন্তলকে তাঁর ঘরে দিয়ে আসেন । পরে বন্ধ হয়ে যায় পার্টি । যে যার নিজেদের ঘরে চলে যান । কিন্তু সুইটি ছাদ থেকে নামেননি ৷ তদন্তকারীদের তাঁরা জানিয়েছেন, রাত দু'টোর মধ্যে তাঁরা যে যার বাড়ি চলে যান । রাত আড়াইটে নাগাদ ওই আবাসনের পাশের একটি বহুতলের বাসিন্দারা হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পায় । তারা ফোন করেন 100 নম্বরে ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছায় ৷ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর কিছু না পেয়ে ফিরে যায় ।

পরের দিন সকাল 11 টা নাগাদ ঘুম ভাঙে কুন্তলের । স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে তিনি যাদবপুর থানায় খবর দেন । জানান, তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । এরই মধ্যে দু'টি আবাসনের মাঝের সরু গলিতে সুইটির মৃতদেহ কাত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় । প্রত্যক্ষদর্শীরা ফোন করে থানায় খবর দেন । লালবাজার সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী এটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু । তবে তদন্ত চলছে । ইতিমধ্যেই পোদ্দারনগরে পৌঁছায় গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা এবং ফরেনসিক দল । তারা ঘটনাস্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ।

কলকাতা, 2 জানুয়ারি : খুন নয় ৷ টাল সামলাতে না পেরেই বর্ষবরণের রাতে আবাসনের ছাদ থেকে পড়ে গেছিলেন সুইটি সূত্রধর ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এটাই বলছে ৷ এদিকে ফরেনসিকের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, পড়ে যাওয়ার সময় প্রাণে বাঁচতে ছাদের পাঁচিল আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলেন তিনি ৷ আঁচড়ের দাগও পাওয়া গেছে পাঁচিলে ।

পুলিশ সূত্রে খবর, আবাসনের পার্টিতে মদ্যপানের ব্যবস্থা ছিল না ৷ পার্টিতে যাওয়ার আগেই তাঁরা অন্যত্র মদ্যপান করেন ৷ সেখানে পাঁচ পেগ হুইস্কি পান করেছিলেন ৷ আবাসনের পার্টিতে তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল না ৷ পরে অন্যরা ডেকে নিয়ে যায় তাদের ৷ মত্ত অবস্থায় পৌঁছান দু'জনে ৷

প্রেম করে বিয়ে করায় সুইটিকে মানতে চাইছিল না কুন্তলের পরিবার ৷ বিয়ে নিয়ে সুইটির পরিবারেও সমস্যা ছিল ৷ ঘটনার দিন সুইটিকে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে ও কাঁদতে দেখেছিলেন আবাসিকরা ৷ আর তা দেখেই সুইটি ও কুন্তলকে পার্টিতে ডাকেন তাঁরা ৷ আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই দম্পতি ছাদে পার্টিতেও মদ্যপান করতে চান ৷ কিন্তু পরিবারের সব সদস্যদের নিয়ে পার্টির আয়োজন হওয়ায় সেখানে মদ্যপানের ব্যবস্থা ছিল না । তখন কুন্তল নিজেই ঘর থেকে একটি মদের বোতল নিয়ে ছাদে আসেন । পরে ছাদে বসে মদ পান করেন দু'জনে । ককটেল হয়ে যাওয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যেই একেবারে মত্ত হয়ে যান কুন্তল । নেশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন । তখন পার্টিতে উপস্থিত অন্যরা কুন্তলকে তাঁর ঘরে দিয়ে আসেন । পরে বন্ধ হয়ে যায় পার্টি । যে যার নিজেদের ঘরে চলে যান । কিন্তু সুইটি ছাদ থেকে নামেননি ৷ তদন্তকারীদের তাঁরা জানিয়েছেন, রাত দু'টোর মধ্যে তাঁরা যে যার বাড়ি চলে যান । রাত আড়াইটে নাগাদ ওই আবাসনের পাশের একটি বহুতলের বাসিন্দারা হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পায় । তারা ফোন করেন 100 নম্বরে ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছায় ৷ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর কিছু না পেয়ে ফিরে যায় ।

পরের দিন সকাল 11 টা নাগাদ ঘুম ভাঙে কুন্তলের । স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে তিনি যাদবপুর থানায় খবর দেন । জানান, তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । এরই মধ্যে দু'টি আবাসনের মাঝের সরু গলিতে সুইটির মৃতদেহ কাত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় । প্রত্যক্ষদর্শীরা ফোন করে থানায় খবর দেন । লালবাজার সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী এটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু । তবে তদন্ত চলছে । ইতিমধ্যেই পোদ্দারনগরে পৌঁছায় গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা এবং ফরেনসিক দল । তারা ঘটনাস্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ।

Intro:কলকাতা, 2 জানুয়ারি: খুন নয়। টাল সামলাতে না পেরেই বর্ষবরণের রাতে পাঁচতলা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন সুইটি সূত্রধর। লালবাজার সূত্রের খবর, পোস্টমর্টেমের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে সে কথাই। আর ফরেনসিকের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, পড়ে যাওয়ার সময় প্রানপণ বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন সুইটি। কোন ভাবে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলেন ছাদের পাঁচিল। ফরেনসিক পেয়েছে তার আঁচরের দাগ। অর্থাৎ তাকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে কিনা জাতীয় যে প্রশ্ন উঠেছিল তাকে আপাতত জল পড়ল।



Body:
বর্ষবরণের রাতে আবাসনের বাসিন্দারা আয়োজন করে ছাদ পার্টির। ছিল খানাপিনার আয়োজন। পুলিশ জেনেছে তাকে মদ্যপানের ব্যবস্থা ছিল না। তবে বারবিকিউ ছিল। ওই পার্টিতে যাওয়ার আগে কুন্তল এবং সুইটি অন্য এক জায়গায় মদ্যপান করেন। সেখানে তারা 5 পেগ করে হুইস্কি পান করেন। তাতে অনেকটাই নেশা হয়ে যায় ওই দুজনের। এমনিতে আবাসনের পার্টিতে যাবার কথা ছিল না। তাদের ডেকে নেন অন্যরা।

পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রেম করে বিয়ে করায় সুইটিকে মানতে চাইছিল না কোন তালের পরিবার। বিয়ে নিয়ে তার পরিবারেও সমস্যা ছিল। মদ্যপানের আর আবেগ ভর করে সুইটির উপর। তিনি কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন আর কাঁদছিলেন। সেটা দেখেই আবাসনের অন্য বাসিন্ধারা তাদের পার্টিকে শামিল করেন ওই দম্পতিকে। পুলিশকে তারা জানিয়েছে, ওই দম্পতি অন্যদের থেকে মদ্যপান করতে চান। কিন্তু পরিবারের সব সদস্যদের দিয়ে ওই পার্টির আয়োজন হওয়ায় সেখানে মদ্যপানের ব্যবস্থা ছিল না। তখন কুন্তল নিজেই ঘর থেকে একটি রামের বোতল নিয়ে আসে। পরে তারা দুজনেই ওই মদ পান করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই একেবারে মাতাল হয়ে যান কুন্তল। তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে প্রায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। তখন আবাসনের অন্যরা মিলে তাকে ঘরে দিয়ে আসে। তারপরে বন্ধ হয়ে যায় পার্টি। যে যার নিজের ঘরে চলে যায়। কিন্তু সুইটি নামেননি। তদন্তকারীদের আবাসনের অন্যান্যরা জানিয়েছেন, রাত দুটোর মধ্যে যে যার বাড়ি চলে যান। কিন্তু যাননি সুইটি। রাত আড়াইটে নাগাদ ওই আবাসনের পাশের একটি বহুতলের বাসিন্দারা বিকট আওয়াজ শুনতে। তারা ফোন করেন 100 ডায়ালে। পুলিশ আসে। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর কিছু না পেয়ে তারা ফিরে চলে যায়।


Conclusion:সকাল এগারোটা নাগাদ ঘুম ভাঙে কুন্তলের। স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে তিনি সোজা যান যাদবপুর থানায়। জানান তার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মাঝে দুটি পাশাপাশি আবাসনের মাঝে থাকা সরু গলিতে সুইটির মৃতদেহ কাত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ফোন করেন থানায়। তখন থানাতেই ছিলেন কুন্তল। ঘটনার রহস্যের গন্ধ থাকায় পোদ্দারনগরে যায় গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা এবং ফরেনসিক দল। তারা ঘটনার নমুনা সংগ্রহ করে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.