কলকাতা, 14 মার্চ: প্রায় 12 মাস পর নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য 12 ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুলের দরজা। করোনার যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে সশরীরে ক্লাস। চলছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষাও। কিন্তু, এখনও পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য বন্ধ রয়েছে স্কুলের দরজা। প্রধান শিক্ষকদের একাংশের দাবি, প্রায় ১ বছর ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়ছে স্কুলছুট, শিশুশ্রম, বাল্য বিবাহের মতো ঘটনা বাড়ছে। এ ছাড়া, আরও প্রচুর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেকারণে উচ্চপ্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের জন্য দ্রুত স্কুলে এনে ক্লাস চালুর আর্জি জানিয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবকে চিঠি দিল অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস।
আরও পড়ুন : জল খেতে মন্দিরে ঢোকায় যোগীরাজ্যে বালককে বেধড়ক মার
স্কুলে উচ্চপ্রাথমিকের ক্লাস চালুর আবেদন জানানোর চিঠিতে প্রধান শিক্ষকদের ওই সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সমস্ত স্তরের পরিষেবা এবং কার্যকলাপ স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। স্কুলও খুলে গেছে। কোভিড প্রোটোকল মেনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চলছে পুরোদমে। কিন্তু, হতাশাজনক ভাবে স্কুলে এসে বা সশরীরে উচ্চপ্রাথমিকের শিক্ষার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে আছে। এক বছর ধরে এই সকল ছাত্র-ছাত্রীরা হতাশা, বঞ্চনা, বিচ্ছিন্নতায় ডুবে রয়েছে। এমনকি শেখার প্রতি অনাগ্রহ, অনুৎসাহও দেখা যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
অ্যডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি বলেন, "এই সব কারণে স্কুলছুট, শিশু শ্রমের, বাল্য বিবাহের মতো ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্কুল, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সহপাঠী, পরিবেশ, পাঠ্যক্রম এবং সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যাবলী থেকে দীর্ঘ সময় ধরে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে তাঁদের মেন্টাল এবং ইমোশনাল হেলথ খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, বাংলা মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীরা কার্যত পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাঁরা হয় অনলাইন ক্লাস করায় স্বাচ্ছন্দ্য নয় বা অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না। এরকম চলতে থাকলে পরিণতি খুব ভয়াবহ হবে। আমরা সেকথাই জানানো হয়েছে চিঠিতে। পাশাপাশি, কোনও বিলম্ব না করে দ্রুত উচ্চপ্রাথমিকের ক্লাস চালুর দাবি জানানো হয়েছে।"