ETV Bharat / city

কোরোনায় মৃত চিকিৎসকের স্ত্রীকে চাকরি, বৈঠক স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে WBFD-র

একাধিক দাবি নিয়ে গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে চিকিৎসকদের ফোরামের বৈঠক হয় ৷ সেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় ৷

a meeting held between health secretary with WBFD in kolkata
বৈঠক স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে WBFD-র
author img

By

Published : Sep 30, 2020, 8:52 AM IST

কলকাতা, 30 সেপ্টেম্বর : কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত সরকারি এক তরুণ চিকিৎসকের স্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে সরকারি চাকরি । রাজ্যে এখনও পর্যন্ত 48 জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে । মৃত চিকিৎসকদের প্রাপ্য স্বীকৃতিও দেবে রাজ্য সরকার । এ দিকে, কোরোনা আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালের কথা ভেবেছে রাজ্য সরকার ৷ যাদবপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা হবে ৷ গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সঙ্গে বৈঠকের পরে এমনই জানিয়েছেন চিকিৎসকদের একটি সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম (WBDF) । তবে, গতকালের বৈঠকে চিকিৎসক সংগঠনের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে জানান হয়েছে, শারদ উৎসবে জনসমাগম নিয়ন্ত্রিত না হলে সংক্রমণ বিপুল সংখ্যায় বৃদ্ধির আশঙ্কায় রয়েছে ৷

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গতকাল বিকালে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসে WBDF-এর চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল । এই বৈঠকে চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে বিভিন্ন দাবি নিয়ে আলোচনা হয় । WBDF-এর তরফে জানানো হয়, আলোচনা অত্যন্ত সদর্থক এবং ফলপ্রসূ হয়েছে । সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে কোরোনা আক্রান্ত তরুণ দুই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে । এই দুই চিকিৎসকের মধ্যে একজন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন । অন্যজন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন । সরকারি হাসপাতালের মৃত ওই চিকিৎসকের স্ত্রীর জন্য স্থায়ী সরকারি চাকরি দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমোদন চলে এসেছে । শীঘ্রই তা বাস্তবায়িত হবে ৷ বেসরকারি হাসপাতালের মৃত ওই চিকিৎসকের স্ত্রীর জন্য কাজের দায়িত্ব নিয়েছে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।

তারা আরও জানায়, এপর্যন্ত রাজ্যে 48 জন চিকিৎসক কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৷ তাঁদের তালিকা তৈরি করে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে । মৃত এই সব চিকিৎসককে সরকার প্রাপ্য স্বীকৃতি দেবে । এই বিষয়ে সরকার বিস্তারিত জানাবে ৷ সরকারি এবং বেসরকারি, উভয় ক্ষেত্রের কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে যে সব চিকিৎসক, তাঁরা যাতে 1 এপ্রিলের সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পান, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৷

এছাড়া শারদ উৎসবে জনসমাগমকে নিয়ন্ত্রিত না করলে চিকিৎসকরা বিপুল সংখ্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর হওয়ার জন্য চিকিৎসক সংগঠনের তরফে স্বাস্থ্য সচিবের কাছে অনুরোধ জানান হয়েছে । অপরদিকে কোরোনা আক্রান্ত চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালের ব্যবস্থা করে রাখার দাবি তুলেছে সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন ৷ ইতিমধ্যেই বহুবার রাজ্য সরকারকে জানান হয়েছে । বৈঠকে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার জন্য যাদবপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কথা ভাবা হয়েছে । এই বিষয়ে শীঘ্রই সরকারি বিবৃতি দেওয়া হবে । এর আগে অবশ্য কামারহাটিতে অবস্থিত কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালের কথা ভাবা হয়েছিল । পরে অবশ্য এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে COVID হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হয়েছে । এর পরে সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠনের তরফে SSKM হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারকে কোরোনা আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল ।

WBDF-এর তরফে জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট, 2017-র আওতার বাইরে সিঙ্গল চেম্বারকে রাখার দাবি দীর্ঘ দিন ধরে করে আসছে চিকিৎসকদের এই সংগঠন । গতকালের বৈঠকে চিকিৎসকদের এই সংগঠনের প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে, এই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন করা হয়েছে । শীঘ্রই এই বিষয়ে নোটিফিকেশন বের করা হবে । সিঙ্গল চেম্বার অর্থাৎ, কোনও চিকিৎসক যদি চেম্বার খুলে তিনি একাই ওই চেম্বারে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন । তাঁদের সেই তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট, 2017-র সেকশন-2-তে সার্ভিস প্রোভাইডারের নিয়ম অনুযায়ী ৷ যদি তা না হয় তাহলে সদর্থক সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত আদালতে দায়ের করা এই সংগঠনের মামলা জারি থাকবে ৷

WBDF-এর তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে জানানো হয়েছে, মেডিকেয়ার 2009 আইন যাতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে কোনও ভায়োলেন্সের ঘটনায় প্রয়োগ করা হয়, সেই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সচেতন করার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে ৷ এই আইনের প্রতিলিপি সমস্ত থানায় পাঠানো হবে বলে এ দিনের বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এবং, এই আইনের বিষয়ে পুজোর পরে বিলবোর্ড, ফেস্টুন ইত্যাদির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে হিংসার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে । এ দিনের বৈঠকের পরে WBDF-এর তরফে জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল দীর্ঘ দিন ধরে আটকে রয়েছে ৷ এধরনের কেসগুলির দ্রুত সমাধানের জন্য বৈঠকে প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছে ।

নন-বন্ডেড সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের পে রিভিশন খুব দ্রুত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে । 2020-তে MD/MS পাস করা চিকিৎসকরা, যাঁরা বর্তমানে বিভিন্ন COVID হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন, তাঁদের এই ডিউটি পিরিয়ডকে তিন বছরের বন্ড সময়কাল থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে । COVID হাসপাতালের পোস্টিংকে সিনিয়র রেসিডেন্সি হিসাবে গণ্য করা হবে বলেও বৈঠকে সম্মত হয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব । এ সব দাবির পাশাপাশি বৈঠকে চিকিৎসকদের এই সংগঠনের দাবি ছিল, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি ইনফেকশন (SARI) রোগীদের জন্য হাসপাতালে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (RAT)-এর অনুমতি দিতে হবে । এর জন্য সরকারি স্তরে আলোচনায় স্বাস্থ্যসচিব সম্মত হয়েছেন ৷

কলকাতা, 30 সেপ্টেম্বর : কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত সরকারি এক তরুণ চিকিৎসকের স্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে সরকারি চাকরি । রাজ্যে এখনও পর্যন্ত 48 জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে । মৃত চিকিৎসকদের প্রাপ্য স্বীকৃতিও দেবে রাজ্য সরকার । এ দিকে, কোরোনা আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালের কথা ভেবেছে রাজ্য সরকার ৷ যাদবপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা হবে ৷ গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সঙ্গে বৈঠকের পরে এমনই জানিয়েছেন চিকিৎসকদের একটি সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম (WBDF) । তবে, গতকালের বৈঠকে চিকিৎসক সংগঠনের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে জানান হয়েছে, শারদ উৎসবে জনসমাগম নিয়ন্ত্রিত না হলে সংক্রমণ বিপুল সংখ্যায় বৃদ্ধির আশঙ্কায় রয়েছে ৷

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গতকাল বিকালে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসে WBDF-এর চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল । এই বৈঠকে চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে বিভিন্ন দাবি নিয়ে আলোচনা হয় । WBDF-এর তরফে জানানো হয়, আলোচনা অত্যন্ত সদর্থক এবং ফলপ্রসূ হয়েছে । সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে কোরোনা আক্রান্ত তরুণ দুই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে । এই দুই চিকিৎসকের মধ্যে একজন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন । অন্যজন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন । সরকারি হাসপাতালের মৃত ওই চিকিৎসকের স্ত্রীর জন্য স্থায়ী সরকারি চাকরি দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমোদন চলে এসেছে । শীঘ্রই তা বাস্তবায়িত হবে ৷ বেসরকারি হাসপাতালের মৃত ওই চিকিৎসকের স্ত্রীর জন্য কাজের দায়িত্ব নিয়েছে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।

তারা আরও জানায়, এপর্যন্ত রাজ্যে 48 জন চিকিৎসক কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৷ তাঁদের তালিকা তৈরি করে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে । মৃত এই সব চিকিৎসককে সরকার প্রাপ্য স্বীকৃতি দেবে । এই বিষয়ে সরকার বিস্তারিত জানাবে ৷ সরকারি এবং বেসরকারি, উভয় ক্ষেত্রের কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে যে সব চিকিৎসক, তাঁরা যাতে 1 এপ্রিলের সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পান, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৷

এছাড়া শারদ উৎসবে জনসমাগমকে নিয়ন্ত্রিত না করলে চিকিৎসকরা বিপুল সংখ্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর হওয়ার জন্য চিকিৎসক সংগঠনের তরফে স্বাস্থ্য সচিবের কাছে অনুরোধ জানান হয়েছে । অপরদিকে কোরোনা আক্রান্ত চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালের ব্যবস্থা করে রাখার দাবি তুলেছে সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন ৷ ইতিমধ্যেই বহুবার রাজ্য সরকারকে জানান হয়েছে । বৈঠকে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার জন্য যাদবপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কথা ভাবা হয়েছে । এই বিষয়ে শীঘ্রই সরকারি বিবৃতি দেওয়া হবে । এর আগে অবশ্য কামারহাটিতে অবস্থিত কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালের কথা ভাবা হয়েছিল । পরে অবশ্য এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে COVID হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হয়েছে । এর পরে সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠনের তরফে SSKM হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারকে কোরোনা আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল ।

WBDF-এর তরফে জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট, 2017-র আওতার বাইরে সিঙ্গল চেম্বারকে রাখার দাবি দীর্ঘ দিন ধরে করে আসছে চিকিৎসকদের এই সংগঠন । গতকালের বৈঠকে চিকিৎসকদের এই সংগঠনের প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে, এই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন করা হয়েছে । শীঘ্রই এই বিষয়ে নোটিফিকেশন বের করা হবে । সিঙ্গল চেম্বার অর্থাৎ, কোনও চিকিৎসক যদি চেম্বার খুলে তিনি একাই ওই চেম্বারে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন । তাঁদের সেই তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট, 2017-র সেকশন-2-তে সার্ভিস প্রোভাইডারের নিয়ম অনুযায়ী ৷ যদি তা না হয় তাহলে সদর্থক সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত আদালতে দায়ের করা এই সংগঠনের মামলা জারি থাকবে ৷

WBDF-এর তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে জানানো হয়েছে, মেডিকেয়ার 2009 আইন যাতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে কোনও ভায়োলেন্সের ঘটনায় প্রয়োগ করা হয়, সেই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সচেতন করার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে ৷ এই আইনের প্রতিলিপি সমস্ত থানায় পাঠানো হবে বলে এ দিনের বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এবং, এই আইনের বিষয়ে পুজোর পরে বিলবোর্ড, ফেস্টুন ইত্যাদির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে হিংসার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে । এ দিনের বৈঠকের পরে WBDF-এর তরফে জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল দীর্ঘ দিন ধরে আটকে রয়েছে ৷ এধরনের কেসগুলির দ্রুত সমাধানের জন্য বৈঠকে প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছে ।

নন-বন্ডেড সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের পে রিভিশন খুব দ্রুত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে । 2020-তে MD/MS পাস করা চিকিৎসকরা, যাঁরা বর্তমানে বিভিন্ন COVID হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন, তাঁদের এই ডিউটি পিরিয়ডকে তিন বছরের বন্ড সময়কাল থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে । COVID হাসপাতালের পোস্টিংকে সিনিয়র রেসিডেন্সি হিসাবে গণ্য করা হবে বলেও বৈঠকে সম্মত হয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব । এ সব দাবির পাশাপাশি বৈঠকে চিকিৎসকদের এই সংগঠনের দাবি ছিল, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি ইনফেকশন (SARI) রোগীদের জন্য হাসপাতালে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (RAT)-এর অনুমতি দিতে হবে । এর জন্য সরকারি স্তরে আলোচনায় স্বাস্থ্যসচিব সম্মত হয়েছেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.