কলকাতা, 29 জুন: অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের(Anubrata Mandal body guard Saigal Hossain) 6 মামাকে এবার তলব করল সিবিআই । তাঁদের এদিন কলকাতার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদিন গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা দীর্ঘক্ষণ ধরে কথা বলছেন সায়গল হোসেনের ছয় মামার সঙ্গে।
গরুপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। তাঁকে জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা । পাশাপাশি প্রায় একশো কোটির বেশি সম্পত্তি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের এই দেহরক্ষীর ।
সিবিআই সূত্রের খবর, একাধিক সময় সায়গল হোসেন তাঁর মামাদের নামে বহু জমি কিনে রেখেছে । এছাড়াও সায়গল হোসেনের মামাদের বিভিন্ন জেলায় একাধিক ব্যবসা রয়েছে বলে সিবিআই দাবি করছে । ডাম্পার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ট্রান্সপোর্টের গাড়ি রয়েছে তাঁদের । মূলত সিবিআই জানতে চায় কীভাবে এত সম্পত্তি তাঁদের কাছে এল ৷
জানা গিয়েছে, 2014 সাল থেকে ব্যাপকভাবে আর্থিক প্রভাব বিস্তার করতে থাকে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদমর্যাদার পুলিশ কর্মী হলেন সায়গল হোসেন । সেই সময় থেকেই সায়গলের এই ছয় মামার ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভূত উন্নতি হয় । পাশাপাশি একাধিক নতুন নতুন ব্যবসা শুরু করতে থাকেন তাঁরা । ফলে সিবিআইয়ের অনুমান গরুপাচারের টাকা তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে ছিল (6 uncles of Saigal Hossain being interrogated by CBI in Cattle Smuggling Case)।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলের মতো আরও প্রভাবশালী আছে বীরভূমে ?
সিবিআই এই বিষয়টিও পরিষ্কার করতে চায় যে, সায়গল হোসেন নিজের প্রভাব খাটিয়ে তাঁর মামাদের ব্যবসায় টাকা যুগিয়ে ছিল কি না ! অর্থাৎ সিবিআই-এর অনুমান গরুপাচারের টাকা শুধুমাত্র সায়গল হোসেনের নয় বরং তাঁর আত্মীয়-স্বজন এবং বিশেষ করে সায়গল হোসেনের ছয় মামার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছিল । সেক্ষেত্রে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা । এদিন বেলা একটা নাগাদ তাঁরা কলকাতার নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন ।