কলকাতা, 15 মার্চ : নভেল কোরোনা ভাইরাস বা COVID-19’এর সংক্রমণ সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য, রাজারহাটে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালে 500 বেডের ব্যবস্থা করবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । তবে, প্রয়োজন অনুযায়ী রাজ্যের অন্যান্য স্থানেও কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য বেডের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর ।
COVID-19’এ আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SOP) চালু করা হয়েছে । কোন যাত্রী কতটা ঝুঁকিতে রয়েছেন, তা নির্ধারণের জন্য এই SOP-তে তিনটি বিভাগ রাখা হয়েছে । যেসব যাত্রী সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে, তাঁদেরকে এ-বিভাগে রাখা হয়েছে । এই বিভাগের যাত্রীদের পাঠানো হবে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে । কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত 163টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । ওই SOP অনুযায়ী, যেসব যাত্রী মাঝারি ঝুঁকিতে থাকবেন, তাঁদেরকে বি-বিভাগে রাখা হবে । আর, যে সব যাত্রী কম ঝুঁকিতে, তাদেরকে সি-বিভাগে রাখা হবে । বি-বিভাগে থাকা যাত্রীদের নজরদারিতে রাখার জন্য 14 দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে । কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় কারও ক্ষেত্রে যদি উপসর্গ বাড়তে দেখা যায়, তাঁকে তখন আইসোলেশনে পাঠানো হবে । সি-বিভাগে থাকা যাত্রীদের 14 দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে ।
স্বাস্থ্য দপ্তর প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য বারাসাত জেলা সদর হাসপাতালে ব্যবস্থা করা হবে । তবে, আপাতত বারাসত জেলা সদর হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী । কেন্দ্রীয় সরকারের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সেকেন্ড ক্যাম্পাস রাজারহাটে । এখানে হাসপাতালের জন্য যে বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে, সেখানে এখন কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য 70-80 বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা । তিনি বলেন, ‘‘প্রয়োজনে এখানে 500টি পর্যন্ত বেড আমরা বাড়াতে পারব ।’’ রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, ‘‘বারাসতে আপাতত কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না । তবে, প্রয়োজন অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবস্থা করা হবে ।’’