কলকাতা, 7 ফেব্রুয়ারি: বেতনের দাবিতে চলছে অবস্থান ও অনশন। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন পাঁচ মাদ্রাসা শিক্ষক। শনিবারই অনশনকারীদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার আরও দু’জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদেরও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তবে এরপরও আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল আন্দোলনকারীরা৷
শিক্ষকদের বেতন এবং ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিল ও ইউনিফর্ম-সহ সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধার দাবিতে দাবিতে সল্টলেকে সিটি সেন্টার ওয়ানের কাছে 23 দিন ধরে অনশন চালাচ্ছেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা৷ অবস্থান চলছে 27 দিন ধরে৷
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এতদিন ফুটপাথে পড়ে থাকলেও সরকারের তরফে আলোচনার ডাক আসেনি। তবু দাবি আদায়ের লড়াইয়ে অনঢ় মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ‘ওয়েস্টবেঙ্গল রেকগনাইজড আনএডেড মাদ্রাসা টিচার অ্যাসোসিয়েশন’-এর ডাকে চলা এই অনশন শুরুর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। শনিবার ও রবিবার মিলিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন পাঁচজন।
আরও পড়ুন: দিকে দিকে শিক্ষকদের আন্দোলন, মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী
ওয়েস্টবেঙ্গল রেকগনাইজড আনএডেড মাদ্রাসা টিচার অ্যাসোসিয়েশন’-এর রাজ্য সভাপতি শেখ জাভেদ মিয়াঁদাদ বলেন, ‘‘আমাদের দু’জন শিক্ষিকা ও একজন শিক্ষক গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও শারীরিক দুর্বলতার কারণে তাঁদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে। রবিবার অবস্থান বিক্ষোভের 27তম ও আমরণ অনশন কর্মসূচির 23তম এবং কাফন আন্দোলন কর্মসূচির 19তম দিন। শনিবার অনশনরত তিন শিক্ষক গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি। রবিবার আরও দুই শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাঁচজনই বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। আমাদের এই আন্দোলন চলবে। তাতে সরকার যদি আমাদের মৃত্যুও চায়, আমরা তাতেও রাজি।’’
অন্যদিকে, পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের ব্য়ানারে নেতৃত্বে বিকাশ ভবনের অদূরে চলা অবস্থানের রবিবার ছিল ৫২তম দিন। এতদিন অবস্থান করেও দাবি না মেটায় শনিবার থেকে অনশন শুরু করেছেন পার্শ্বশিক্ষকরাও। চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশগ্রহণ করেছেন অনশনে। বেতন কাঠামো ও স্থায়ীকরণের দাবিতে এই আন্দোলন চলবে বলে জানাচ্ছেন পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের নেতারা৷