কলকাতা, 16 মে: শনিবার কলকাতা ছেড়ে চলে গেলেন আরও 169 জন নার্স। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন 185 জন নার্স। ফলে গত তিনদিনে কলকাতা ছাড়লেন মোট 354 জন নার্স । এই অবস্থায় কোন হাসপাতালে কতজন নার্স রয়েছেন, সেই বিষয়ে হাসপাতালগুলির কাছে জানতে চাইল রাজ্য সরকার। এদিকে, বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠনের তরফে এ দিন রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আর্জি জানানো হল।
গতকাল, শুক্রবার জানা গিয়েছিল, গত বৃহস্পতিবার কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছেন 185 জন নার্স। প্রত্যেক নার্স মণিপুরের বাসিন্দা। কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে এই185 জন নার্স কর্মরত ছিলেন। আজ, শনিবার কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছেন আরও 169 জন নার্স। এই সব নার্স-ও কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। এই অবস্থায় কোন হাসপাতালে কতজন নার্স রয়েছেন, শনিবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে রাজ্য সরকারের তরফে সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী কাল, রবিবার বেলা12 টার মধ্যে নার্সদের তালিকা রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে।
রাজ্য সরকারের তরফে জানতে চাওয়ার বিষয়ে কলকাতার বেসরকারি একটি হাসপাতালের শীর্ষ স্তরের এক আধিকারিক বলেন, "রাজ্য সরকারের তরফে শনিবার কলকাতা সহ রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে একটি সার্কুলার পাঠানো হয়েছে। এই সার্কুলারে জানতে চাওয়া হয়েছে কোন হাসপাতালে কতজন নার্স রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কতজন এ রাজ্যের, কতজন অন্য কোন রাজ্যের, কতজন নার্স চলে গিয়েছেন।" ওই আধিকারিক বলেন, "নার্সদের এভাবে চলে যাওয়ার ফলে রাজ্য সরকার দেখবে কোন হাসপাতাল কী অবস্থায় রয়েছে। তার পরে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে জানা নেই।" তবে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি মনে করছেন।
এ দিকে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার তরফে শনিবার রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহাকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিতে জানানো হয়েছে, গত 14 মে কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত 185জন নার্স কলকাতা ছেড়ে তাঁদের নিজেদের রাজ্য মণিপুরে রওনা দিয়েছে। আজ, শনিবার আরও169 জন নার্স কলকাতা ছেড়েছেন। এই সব নার্স মণিপুর, ত্রিপুরা, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের। এই চিঠিতে জানানো হয়েছে, ঠিক কোন কারণে এই সব নার্স কলকাতা ছেড়ে চলে গেলেন, তার সঠিক কারণ জানা নেই। ত্রিপুরা, ওড়িশা এবং কেরালার আরও অনেক নার্স তাঁদের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার জন্য প্ল্যান করছেন বলে এই বেসরকারি হাসপাতালগুলির এই সংগঠন জানতে পেরেছে বলে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে। আশঙ্কা করা হয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী জুন মাসের শুরুতে আরও অনেক নার্স বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাবেন। এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র যে বেসরকারি হাসপাতালগুলির পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তা নয়। COVID-19-এর বর্তমান পরিস্থিতির মধ্য কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলির পরিষেবা ভেঙে পড়বে বলেও চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই চিঠিতে মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলির এই সংগঠনের তরফে মুখ্যসচিব এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নার্সদের চলে যাওয়ার এই বিষয়টি দেখার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। মণিপুর, ত্রিপুরা, ওড়িশা এবং অন্যান্য রাজ্যের তরফে যদি এভাবে নার্সদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্ল্যান থাকে, তা হলে তা স্থগিত রাখার জন্য ওই সব রাজ্যের কাছে যাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে আবেদন জানানো হয়, তার জন্য এ দিনের চিঠিতে আর্জি জানানো হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সহ কেরালা, কর্নাটক এবং ওড়িশার বহু নার্স কলকাতা সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তবে, কলকাতা ছেড়ে এখনও পর্যন্ত ভিন রাজ্যের যত নার্স চলে গিয়েছেন, তাঁদের সকলেই ইস্তফা দিয়ে চলে গিয়েছেন এমন নয়। শনিবার সন্ধ্যার পরে আনন্দপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালের শীর্ষ স্তরের এক আধিকারিক বলেন, "আমাদের এখান থেকে এখনও পর্যন্ত মণিপুরের চার জন, ঝাড়খণ্ডের দু জন, ওড়িশার দশ জন নার্স চলে গিয়েছেন। আমরা শুনতে পাচ্ছি, বাস এলে ওড়িশার আরও 60 জন নার্স চলে যাবেন।" যাঁরা ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছেন তাঁরা কি ইস্তফা দিয়েছেন? তিনি বলেন, "ইস্তফা দেননি, আচমকা চলে গিয়েছেন।" আনন্দপুরের বেসরকারি এই হাসপাতালটি এখন COVID হাসপাতাল হিসাবে পরিষেবা দিচ্ছে। এভাবে নার্সদের চলে যাওয়ার জেরে কতটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে? শীর্ষ স্তরের ওই আধিকারিক বলেন, "খুবই অসুবিধা হবে তবে। যেটুকু পরিষেবা না দিলেই নয়, যেভাবেই হোক তার জন্য তো ব্যবস্থা করতেই হবে।" এর পাশাপাশি এই আধিকারিক বলেন, "এই ধরনের সমস্যা নতুন নয়। কাজে যোগদানের মাস দুয়েক পরে দেখা গেল অনেক নার্স চলে গেলেন। হয়তো একসঙ্গে 30 জন কাজে যোগ দিলেন, দেখা গেল সবাই চলে গেলেন। এর জন্য কিছু নার্সের ব্যবস্থা আমাদের করে রাখতে হয় স্টপ গ্যাপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। তার পরে অন্য নার্সদের নিয়োগ করা হয়। অন্য সময় হলে চিন্তা ছিল না। এখন নতুন নার্স নিয়োগ করার বিষয়টি কঠিন। এর জন্য আমরা চিন্তিত।"
শনিবার সন্ধ্যার পরে মিন্টো পার্কের কাছে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালের CEO প্রদীপ ট্যান্ডন বলেন, "আমাদের হাসপাতাল থেকে 20 জন নার্স চলে গিয়েছেন। এই সব নার্সের মধ্যে সাত জন মণিপুরের এবং 13 জন ওড়িশার। এই নার্সরা গতকাল ইস্তফা দিয়েছেন। আজকে চলে গিয়েছেন। আরও অনেক নার্স চলে যেতে পারেন।" অন্যদিকে, মুকুন্দপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালের অবস্থার বিষয়ে বেসরকারি ওই হাসপাতাল গোষ্ঠীর জোনাল ডিরেক্টর আর ভেঙ্কটেশ বলেন, "মণিপুরের সাত জন নার্স এপ্রিল মাসের শেষের দিক থেকে হাসপাতালে আসছেন না। মণিপুরের অন্য আর দুইজন নার্স গত 8 মে থেকে হাসপাতালে আসছেন না।" এই সব নার্স কি ইস্তফা দিয়ে চলে গিয়েছেন? তিনি বলেন, "হাসপাতালে আসছেন না। খবরও দেননি এই নার্সরা।" এর পাশাপাশি তিনি বলেন, "আমাদের এখানে মণিপুরের নার্সরা সামান্য সংখ্যায় ছিলেন। তবে, এ রকম যদি সব রাজ্য থেকে হতে থাকে তাহলে মেজর শর্টেজ হবে। স্বাভাবিক পরিষেবা দেওয়া এবং, COVID-19-এর এই প্যানডেমিক ফেস করা অসুবিধা হয়ে যাবে।"
গত 3 দিনে কলকাতা ছাড়লেন 354 নার্স, পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যসচিবকে চিঠি
গত বৃহস্পতিবার কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছেন 185 জন নার্স। প্রত্যেকজন নার্স মণিপুরের বাসিন্দা। কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে এই185 জন নার্স কর্মরত ছিলেন। আজ, শনিবার কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছেন আরও 169 জন নার্স। এই সব নার্স-ও কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। এই অবস্থায় কোন হাসপাতালে কতজন নার্স রয়েছেন, শনিবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে রাজ্য সরকারের তরফে সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী কাল, রবিবার বেলা12 টার মধ্যে নার্সদের তালিকা রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে।
কলকাতা, 16 মে: শনিবার কলকাতা ছেড়ে চলে গেলেন আরও 169 জন নার্স। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন 185 জন নার্স। ফলে গত তিনদিনে কলকাতা ছাড়লেন মোট 354 জন নার্স । এই অবস্থায় কোন হাসপাতালে কতজন নার্স রয়েছেন, সেই বিষয়ে হাসপাতালগুলির কাছে জানতে চাইল রাজ্য সরকার। এদিকে, বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠনের তরফে এ দিন রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আর্জি জানানো হল।
গতকাল, শুক্রবার জানা গিয়েছিল, গত বৃহস্পতিবার কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছেন 185 জন নার্স। প্রত্যেক নার্স মণিপুরের বাসিন্দা। কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে এই185 জন নার্স কর্মরত ছিলেন। আজ, শনিবার কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছেন আরও 169 জন নার্স। এই সব নার্স-ও কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। এই অবস্থায় কোন হাসপাতালে কতজন নার্স রয়েছেন, শনিবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে রাজ্য সরকারের তরফে সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী কাল, রবিবার বেলা12 টার মধ্যে নার্সদের তালিকা রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে।
রাজ্য সরকারের তরফে জানতে চাওয়ার বিষয়ে কলকাতার বেসরকারি একটি হাসপাতালের শীর্ষ স্তরের এক আধিকারিক বলেন, "রাজ্য সরকারের তরফে শনিবার কলকাতা সহ রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে একটি সার্কুলার পাঠানো হয়েছে। এই সার্কুলারে জানতে চাওয়া হয়েছে কোন হাসপাতালে কতজন নার্স রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কতজন এ রাজ্যের, কতজন অন্য কোন রাজ্যের, কতজন নার্স চলে গিয়েছেন।" ওই আধিকারিক বলেন, "নার্সদের এভাবে চলে যাওয়ার ফলে রাজ্য সরকার দেখবে কোন হাসপাতাল কী অবস্থায় রয়েছে। তার পরে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে জানা নেই।" তবে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি মনে করছেন।
এ দিকে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার তরফে শনিবার রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহাকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিতে জানানো হয়েছে, গত 14 মে কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত 185জন নার্স কলকাতা ছেড়ে তাঁদের নিজেদের রাজ্য মণিপুরে রওনা দিয়েছে। আজ, শনিবার আরও169 জন নার্স কলকাতা ছেড়েছেন। এই সব নার্স মণিপুর, ত্রিপুরা, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের। এই চিঠিতে জানানো হয়েছে, ঠিক কোন কারণে এই সব নার্স কলকাতা ছেড়ে চলে গেলেন, তার সঠিক কারণ জানা নেই। ত্রিপুরা, ওড়িশা এবং কেরালার আরও অনেক নার্স তাঁদের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার জন্য প্ল্যান করছেন বলে এই বেসরকারি হাসপাতালগুলির এই সংগঠন জানতে পেরেছে বলে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে। আশঙ্কা করা হয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী জুন মাসের শুরুতে আরও অনেক নার্স বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাবেন। এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র যে বেসরকারি হাসপাতালগুলির পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তা নয়। COVID-19-এর বর্তমান পরিস্থিতির মধ্য কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলির পরিষেবা ভেঙে পড়বে বলেও চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই চিঠিতে মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলির এই সংগঠনের তরফে মুখ্যসচিব এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নার্সদের চলে যাওয়ার এই বিষয়টি দেখার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। মণিপুর, ত্রিপুরা, ওড়িশা এবং অন্যান্য রাজ্যের তরফে যদি এভাবে নার্সদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্ল্যান থাকে, তা হলে তা স্থগিত রাখার জন্য ওই সব রাজ্যের কাছে যাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে আবেদন জানানো হয়, তার জন্য এ দিনের চিঠিতে আর্জি জানানো হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সহ কেরালা, কর্নাটক এবং ওড়িশার বহু নার্স কলকাতা সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তবে, কলকাতা ছেড়ে এখনও পর্যন্ত ভিন রাজ্যের যত নার্স চলে গিয়েছেন, তাঁদের সকলেই ইস্তফা দিয়ে চলে গিয়েছেন এমন নয়। শনিবার সন্ধ্যার পরে আনন্দপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালের শীর্ষ স্তরের এক আধিকারিক বলেন, "আমাদের এখান থেকে এখনও পর্যন্ত মণিপুরের চার জন, ঝাড়খণ্ডের দু জন, ওড়িশার দশ জন নার্স চলে গিয়েছেন। আমরা শুনতে পাচ্ছি, বাস এলে ওড়িশার আরও 60 জন নার্স চলে যাবেন।" যাঁরা ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছেন তাঁরা কি ইস্তফা দিয়েছেন? তিনি বলেন, "ইস্তফা দেননি, আচমকা চলে গিয়েছেন।" আনন্দপুরের বেসরকারি এই হাসপাতালটি এখন COVID হাসপাতাল হিসাবে পরিষেবা দিচ্ছে। এভাবে নার্সদের চলে যাওয়ার জেরে কতটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে? শীর্ষ স্তরের ওই আধিকারিক বলেন, "খুবই অসুবিধা হবে তবে। যেটুকু পরিষেবা না দিলেই নয়, যেভাবেই হোক তার জন্য তো ব্যবস্থা করতেই হবে।" এর পাশাপাশি এই আধিকারিক বলেন, "এই ধরনের সমস্যা নতুন নয়। কাজে যোগদানের মাস দুয়েক পরে দেখা গেল অনেক নার্স চলে গেলেন। হয়তো একসঙ্গে 30 জন কাজে যোগ দিলেন, দেখা গেল সবাই চলে গেলেন। এর জন্য কিছু নার্সের ব্যবস্থা আমাদের করে রাখতে হয় স্টপ গ্যাপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। তার পরে অন্য নার্সদের নিয়োগ করা হয়। অন্য সময় হলে চিন্তা ছিল না। এখন নতুন নার্স নিয়োগ করার বিষয়টি কঠিন। এর জন্য আমরা চিন্তিত।"
শনিবার সন্ধ্যার পরে মিন্টো পার্কের কাছে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালের CEO প্রদীপ ট্যান্ডন বলেন, "আমাদের হাসপাতাল থেকে 20 জন নার্স চলে গিয়েছেন। এই সব নার্সের মধ্যে সাত জন মণিপুরের এবং 13 জন ওড়িশার। এই নার্সরা গতকাল ইস্তফা দিয়েছেন। আজকে চলে গিয়েছেন। আরও অনেক নার্স চলে যেতে পারেন।" অন্যদিকে, মুকুন্দপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালের অবস্থার বিষয়ে বেসরকারি ওই হাসপাতাল গোষ্ঠীর জোনাল ডিরেক্টর আর ভেঙ্কটেশ বলেন, "মণিপুরের সাত জন নার্স এপ্রিল মাসের শেষের দিক থেকে হাসপাতালে আসছেন না। মণিপুরের অন্য আর দুইজন নার্স গত 8 মে থেকে হাসপাতালে আসছেন না।" এই সব নার্স কি ইস্তফা দিয়ে চলে গিয়েছেন? তিনি বলেন, "হাসপাতালে আসছেন না। খবরও দেননি এই নার্সরা।" এর পাশাপাশি তিনি বলেন, "আমাদের এখানে মণিপুরের নার্সরা সামান্য সংখ্যায় ছিলেন। তবে, এ রকম যদি সব রাজ্য থেকে হতে থাকে তাহলে মেজর শর্টেজ হবে। স্বাভাবিক পরিষেবা দেওয়া এবং, COVID-19-এর এই প্যানডেমিক ফেস করা অসুবিধা হয়ে যাবে।"