কলকাতা, 2 জুলাই: গত দু’বছরে করোনায় দেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের অবস্থা বেহাল ৷ লকডাউনের জেরে প্রায় সবক্ষেত্রেই হাহাকার দেখা দিয়েছিল ৷ করোনার ভয়াবহতা পেরিয়ে গেলেও, অর্থনীতির হাল এখনও ফেরেনি ৷ যেখানে 20 শতাংশ মানুষ ভারতে খাদ্য সংকটে ভুগেছেন (20 Per Cent Indian are Suffer from Food Crisis in Lockdown) ৷ এমনই নানান তথ্য নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্টের রিপোর্ট (Pratichi Trust Report) ৷ যে রিপোর্টকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ৷
2020 সালের অগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত একটা সমীক্ষা চালিয়েছিল প্রতীচী ট্রাস্ট ৷ ওই সমীক্ষায় আড়াই হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয় ৷ সমীক্ষার সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘করোনাকালে প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে 87.8 শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছেন ৷ বাংলা থেকে কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে 93.2 শতাংশই কাজ হারিয়েছেন ৷ এ রাজ্যে জব কার্ডধারীদের মধ্যে 100 দিনের কাজ পেয়েছিলেন মাত্র 55 শতাংশ ৷’’
ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় সর্বাধিক 240 দিন পর্যন্ত খাদ্য সংকট চলেছে ৷ প্রতি 5 জনের মধ্যে 1 জন ব্যক্তি অর্থাৎ, 20 শতাংশ মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগেছেন ৷ তবে, সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী সেইসব নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তরা, যাঁদের রেশন কার্ড নেই ৷
আরও পড়ুন: Amartya Sen: দেশে জাতিসঙ্কট নিয়ে শঙ্কিত অমর্ত্য সেন, দিলেন দাওয়াই
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকার জানিয়েছেন, ‘‘কোনও দেশের খাদ্য সংকট বোঝা যায় ক্ষুধাসূচকের মাধ্যমে ৷ যে ক্ষুধাসূচক নির্ধারিত হয় খাদ্যের উৎপাদন, বণ্টন এবং ক্রয় ক্ষমতার উপর নির্ভর করে ৷ কিন্তু, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায়, করোনা পরিস্থিতিতে উৎপাদনের হার কমা ফলে বণ্টনও ঠিক মতো হয়নি ৷ আর লকডাউনে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে ৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুধাসূচক অর্থাৎ, হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারত তালিকার অনেকটা উপরে রয়েছে ৷’’