ETV Bharat / city

Pratichi Trust Report: ভারতে লকডাউনে 20 শতাংশ খাদ্য সংকটে ভুগেছেন, উল্লেখ অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্ট রিপোর্টে - অমর্ত্য সেন

লকডাউনে 20 শতাংশ ভারতীয় খাদ্য সংকটে ভুগেছেন (20 Per Cent Indian are Suffer from Food Crisis in Lockdown Mention in Pratichi Trust Report) ৷ এমনই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস রিপোর্টে ৷ অর্থাৎ, প্রতি 5 জনে 1 জন ব্যক্তি খাদ্য সংকটে ভুগেছেন ৷

20 Per Cent Indian are Suffer from Food Crisis in Lockdown Mention in Pratichi Trust Report
20 Per Cent Indian are Suffer from Food Crisis in Lockdown Mention in Pratichi Trust Report
author img

By

Published : Jul 2, 2022, 5:48 PM IST

কলকাতা, 2 জুলাই: গত দু’বছরে করোনায় দেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের অবস্থা বেহাল ৷ লকডাউনের জেরে প্রায় সবক্ষেত্রেই হাহাকার দেখা দিয়েছিল ৷ করোনার ভয়াবহতা পেরিয়ে গেলেও, অর্থনীতির হাল এখনও ফেরেনি ৷ যেখানে 20 শতাংশ মানুষ ভারতে খাদ্য সংকটে ভুগেছেন (20 Per Cent Indian are Suffer from Food Crisis in Lockdown) ৷ এমনই নানান তথ্য নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্টের রিপোর্ট (Pratichi Trust Report) ৷ যে রিপোর্টকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ৷

2020 সালের অগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত একটা সমীক্ষা চালিয়েছিল প্রতীচী ট্রাস্ট ৷ ওই সমীক্ষায় আড়াই হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয় ৷ সমীক্ষার সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘করোনাকালে প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে 87.8 শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছেন ৷ বাংলা থেকে কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে 93.2 শতাংশই কাজ হারিয়েছেন ৷ এ রাজ্যে জব কার্ডধারীদের মধ্যে 100 দিনের কাজ পেয়েছিলেন মাত্র 55 শতাংশ ৷’’

ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় সর্বাধিক 240 দিন পর্যন্ত খাদ্য সংকট চলেছে ৷ প্রতি 5 জনের মধ্যে 1 জন ব্যক্তি অর্থাৎ, 20 শতাংশ মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগেছেন ৷ তবে, সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী সেইসব নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তরা, যাঁদের রেশন কার্ড নেই ৷

আরও পড়ুন: Amartya Sen: দেশে জাতিসঙ্কট নিয়ে শঙ্কিত অমর্ত্য সেন, দিলেন দাওয়াই

এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকার জানিয়েছেন, ‘‘কোনও দেশের খাদ্য সংকট বোঝা যায় ক্ষুধাসূচকের মাধ্যমে ৷ যে ক্ষুধাসূচক নির্ধারিত হয় খাদ্যের উৎপাদন, বণ্টন এবং ক্রয় ক্ষমতার উপর নির্ভর করে ৷ কিন্তু, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায়, করোনা পরিস্থিতিতে উৎপাদনের হার কমা ফলে বণ্টনও ঠিক মতো হয়নি ৷ আর লকডাউনে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে ৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুধাসূচক অর্থাৎ, হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারত তালিকার অনেকটা উপরে রয়েছে ৷’’

কলকাতা, 2 জুলাই: গত দু’বছরে করোনায় দেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের অবস্থা বেহাল ৷ লকডাউনের জেরে প্রায় সবক্ষেত্রেই হাহাকার দেখা দিয়েছিল ৷ করোনার ভয়াবহতা পেরিয়ে গেলেও, অর্থনীতির হাল এখনও ফেরেনি ৷ যেখানে 20 শতাংশ মানুষ ভারতে খাদ্য সংকটে ভুগেছেন (20 Per Cent Indian are Suffer from Food Crisis in Lockdown) ৷ এমনই নানান তথ্য নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্টের রিপোর্ট (Pratichi Trust Report) ৷ যে রিপোর্টকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ৷

2020 সালের অগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত একটা সমীক্ষা চালিয়েছিল প্রতীচী ট্রাস্ট ৷ ওই সমীক্ষায় আড়াই হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয় ৷ সমীক্ষার সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘করোনাকালে প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে 87.8 শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছেন ৷ বাংলা থেকে কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে 93.2 শতাংশই কাজ হারিয়েছেন ৷ এ রাজ্যে জব কার্ডধারীদের মধ্যে 100 দিনের কাজ পেয়েছিলেন মাত্র 55 শতাংশ ৷’’

ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় সর্বাধিক 240 দিন পর্যন্ত খাদ্য সংকট চলেছে ৷ প্রতি 5 জনের মধ্যে 1 জন ব্যক্তি অর্থাৎ, 20 শতাংশ মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগেছেন ৷ তবে, সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী সেইসব নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তরা, যাঁদের রেশন কার্ড নেই ৷

আরও পড়ুন: Amartya Sen: দেশে জাতিসঙ্কট নিয়ে শঙ্কিত অমর্ত্য সেন, দিলেন দাওয়াই

এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকার জানিয়েছেন, ‘‘কোনও দেশের খাদ্য সংকট বোঝা যায় ক্ষুধাসূচকের মাধ্যমে ৷ যে ক্ষুধাসূচক নির্ধারিত হয় খাদ্যের উৎপাদন, বণ্টন এবং ক্রয় ক্ষমতার উপর নির্ভর করে ৷ কিন্তু, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায়, করোনা পরিস্থিতিতে উৎপাদনের হার কমা ফলে বণ্টনও ঠিক মতো হয়নি ৷ আর লকডাউনে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে ৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুধাসূচক অর্থাৎ, হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারত তালিকার অনেকটা উপরে রয়েছে ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.