হাওড়া, 27 অক্টোবর : হাওড়ায় নতুন করে আরও 23টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করল প্রশাসন ৷ যার পর হাওড়া জেলায় মোট মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা দাঁড়াল 37টি ৷ হাওড়া পৌরনিগম এলাকার বেশ কিছু ওয়ার্ড এর মধ্যে রয়েছে ৷ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সর্বাধিক মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে জগৎবল্লভপুর, সাঁকরাইল, আমতা 2নং ব্লক এবং আমতা 1নং ব্লকে ৷ জগৎবল্লভপুর ও আমতা 2নং ব্লকে 6টি করে 12টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে ৷ সাঁকরাইল ও শ্যামপুর 1নং ব্লকে 4টি করে মোট 8টি এবং বালির জগাছা, পাঁচলা এবং শ্যামপুর 2নং ব্লকে 1টি করে মোট 3টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ৷
নবান্নের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে নতুন মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে বিধিনিষেধ লাগু করা হয়েছে ৷ আর সব মিলিয়ে হাওড়া মোট 37টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করেছে প্রশাসন ৷ করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সম্প্রতি হাওড়া পৌরনিগমের তরফে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছিল ৷ তার কয়েকদিনের মাথায় 23 অক্টোবর নবান্নের তরফে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ রুখতে নতুন করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয় ৷ হাওড়া পৌরনিগমের 13, 32, 33, 34, 39, 41, 44, 47 এবং 48নং ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Corona in India : সংক্রমণ বেড়ে প্রায় সাড়ে 13 হাজার, সতর্কতার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, হাওড়া পৌরনিগমের অন্তর্গত আন্দুল রোড, হাটপুকুর জিআইপি কলোনি, ব্রজনাথ লাহিড়ী লেন, সার্কুলার রোড ফোর্থ বাই লেন, ডবসন রোড, পি কে রায়চৌধুরী লেন, শরৎ চট্টোপাধ্যায় রোড, শিবপুর রোড, অমৃতলাল মুখার্জি লেন, ধর্মতলা লেন, সাতাশি দক্ষিণ পাড়া ও দক্ষিণ বাঁকসারা ভিলেজ রোডের একাংশকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে আনা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Covid-19 : বঙ্গের করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রের চিঠি রাজ্যকে
তবে, সেই সময় হাওড়া গ্রামীণকে কনটেনমেন্ট জোন ও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়নি ৷ কয়েকদিন আগে হাওড়া পৌরনিগম এলাকার ওই 9টি ওয়ার্ডকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করার পর, এবার হাওড়া সদরের বাকি অংশ এবং গ্রামীণ এলাকাতেও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোয় যেভাবে ঠাকুর দেখার ঢল নেমেছিল কলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে ৷ তার পর থেকেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে ৷ ফলে যতটা সম্ভব মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করে সংক্রমণ রোধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার ৷