ETV Bharat / city

দোকানের সামনে প্রস্রাব, প্রতিবাদ করে স্থানীয় তৃণমূল নেতার হাতে প্রহৃত ব্যবসায়ী ! - Golabari

দোকানের সামনে প্রস্রাব করায় প্রতিবাদ করেন দোকান মালিক । পরে তাঁর উপর চড়াও দলবদ নিয়ে চড়াও হন তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন দে । ঘটনাটি হাওড়ার পিলখানার ।

অমিত সরকার
author img

By

Published : Jul 26, 2019, 6:58 AM IST

গোলাবাড়ি, 26 জুলাই : একটি বাইক রিপেয়ারিংয়ের দোকানের সামনে প্রস্রাব করেন হাওড়ার 15 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি স্বপন দে । দোকানের মালিক বিষয়টির প্রতিবাদ করেন । সেই নিয়ে বচসা হয় ৷ তার জেরে ওই দোকানের মালিক অমিত সরকারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্বপন দে ও তার দলবলের বিরুদ্ধে ৷ গুরুতর আঘাত লাগে অমিতবাবুর চোখে । তাঁকে হাওড়া সদর হাসপাতালে ভরতি করা হয় ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাওড়ার পিলখানার কাছে GT রোডে একটি বাইক রিপেয়ারিংয়ের দোকানে সামনে প্রস্রাব করেন স্বপন দে । তাই নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত । সেদিন না কি ওই ব্যবসায়ী স্বপন দে'কে থাপ্পড় মেরেছিলেন ৷ তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায় ৷ তবে মারের বদলা নিতে দলবল নিয়ে বুধবার অমিতবাবুর দোকানে হাজির হন এই ওয়ার্ড সভাপতি । অভিযোগ, তিনি বেধড়ক মারধর করেন অমিতবাবুকে । ঘটনায় স্বপন দে'র বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের কর হয় । অমিতবাবুর অভিযোগ, তাঁকে মারধর করার পাশাপাশি দোকান থেকে প্রায় 12 হাজার টাকা নগদ এবং বাইকের যন্ত্রাংশ লুট করেছে স্বপনের দলবল ।

বিষয়টি জানাজানি হতেই ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন দের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল । হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদর সভাপতি অরূপ রায় বলেন, "উত্তর হাওড়ার কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে । এই ঘটনার সঙ্গে যদি স্বপন দে সরাসরি যুক্ত থাকে তাহলে তাকে রেয়াত করা হবে না ।" বিষয়টি নিয়ে উত্তর হাওড়ার বাসিন্দা ও BJP নেতা উমেশ রায় বলেন, "তৃণমুলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জন্যই একজন ব্যবসায়ীকে আজ মার খেতে হল । গোটা রাজ্যজুড়ে একই চিত্র । তৃণমূলের এত ক্ষমতা হয়ে গেছে যে তারা এলাকার মানুষকেও থাকতে দেবে না ।"

গোলাবাড়ি, 26 জুলাই : একটি বাইক রিপেয়ারিংয়ের দোকানের সামনে প্রস্রাব করেন হাওড়ার 15 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি স্বপন দে । দোকানের মালিক বিষয়টির প্রতিবাদ করেন । সেই নিয়ে বচসা হয় ৷ তার জেরে ওই দোকানের মালিক অমিত সরকারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্বপন দে ও তার দলবলের বিরুদ্ধে ৷ গুরুতর আঘাত লাগে অমিতবাবুর চোখে । তাঁকে হাওড়া সদর হাসপাতালে ভরতি করা হয় ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাওড়ার পিলখানার কাছে GT রোডে একটি বাইক রিপেয়ারিংয়ের দোকানে সামনে প্রস্রাব করেন স্বপন দে । তাই নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত । সেদিন না কি ওই ব্যবসায়ী স্বপন দে'কে থাপ্পড় মেরেছিলেন ৷ তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায় ৷ তবে মারের বদলা নিতে দলবল নিয়ে বুধবার অমিতবাবুর দোকানে হাজির হন এই ওয়ার্ড সভাপতি । অভিযোগ, তিনি বেধড়ক মারধর করেন অমিতবাবুকে । ঘটনায় স্বপন দে'র বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের কর হয় । অমিতবাবুর অভিযোগ, তাঁকে মারধর করার পাশাপাশি দোকান থেকে প্রায় 12 হাজার টাকা নগদ এবং বাইকের যন্ত্রাংশ লুট করেছে স্বপনের দলবল ।

বিষয়টি জানাজানি হতেই ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন দের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল । হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদর সভাপতি অরূপ রায় বলেন, "উত্তর হাওড়ার কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে । এই ঘটনার সঙ্গে যদি স্বপন দে সরাসরি যুক্ত থাকে তাহলে তাকে রেয়াত করা হবে না ।" বিষয়টি নিয়ে উত্তর হাওড়ার বাসিন্দা ও BJP নেতা উমেশ রায় বলেন, "তৃণমুলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জন্যই একজন ব্যবসায়ীকে আজ মার খেতে হল । গোটা রাজ্যজুড়ে একই চিত্র । তৃণমূলের এত ক্ষমতা হয়ে গেছে যে তারা এলাকার মানুষকেও থাকতে দেবে না ।"

Intro:দোকানের সামনে প্রস্রাব করার প্রতিবাদ করায় দোকান মালিককে বেধড়ক মারধর করলো তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং তার দলবল। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাওড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি স্বপন দে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলায় পিলখানার কাছে জি টি রোডে একটি বাইক রিপেয়ারিং এর দোকানে সামনে প্রস্রাব করেন। দোকান মালিক অমিত সরকার স্বপন বাবুর কাজের প্রতিবাদ করেন। অমিত বচসা চলাকালীন স্বপন বাবুর গালে চড় মারে। তখন স্বপন বাবু এবং তার কয়েকজন বন্ধু তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে। অমিত পরে ক্ষমাও চান। Body:এই ঘটনার পরে অমিত গোলাবাড়ি থানায় স্বপন এর বিরুদ্ধে জেনারেল ডায়েরি করে। সেদিনের মতো ঘটনাটি মিটে গেলেও, ঠিক তারপরের দিন অর্থাৎ গতকাল সন্ধ্যেবেলা জনা কুড়ি ছেলে নিয়ে ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন দে অমিত বাবুর ওপর চড়াও হয়। তাকে লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর জখম হয় তার একটা চোখ। আহত অবস্থায় তাকে হাওড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় তার বন্ধুরা। পরে গোলাবাড়ি থানায় অমিত সরকার ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফ আই আর করে। তার অভিযোগ তাকে মারধোর এর পাশাপাশি দোকান থেকে প্রায় ১২ হাজার টাকা নগদ এবং বাইকের যন্ত্রাংশ লুট করে স্বপন দের দলবল। উত্তর হাওড়ার বাসিন্দা ও বিজেপির রাজ্য নেতা উমেশ রাই বলেন তৃণমুলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জন্যই একজন ব্যবসায়ীকে আজকে মার খেতে হলো। গোটা রাজ্য জুড়েই একই চিত্র। তৃণমূলের এত ক্ষমতা হয়ে গেছে যে তারা এলাকার মানুষ কেও থাকতে দেবে না। তাদের অত্যাচারে মানুষ বিরক্ত।
অপরদিকে হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদরের সভাপতি অরূপ রায় জানিয়েছেন উত্তর হাওড়ার কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যদি সরাসরি যুক্ত থাকে তাকে রেয়াত করা হবে না।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.