হাওড়া, 17 ফেব্রুয়ারি : কিংবদন্তি ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ প্রাক্তন ফুটবলার তথা হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Former Footballer Prasun Banerjee's Reaction on Surajit Sengupta Demise) ৷ তিনি বললেন, ‘‘সুরজিতের মৃত্যু চরম দুঃখের । সুরজিতের সঙ্গে এক সঙ্গে প্রসূনের নাম উচ্চারণ হত । ও আমার শুধু বন্ধু নয়, আমার ভাই ছিল । আমি ভীষণ মর্মাহত ওর চলে যাওয়াতে ।’’
সম্প্রতি গোয়ায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC MP Prasun Banerjee) ৷ সেই সময়ও তিনি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ফোন করে সুরজিৎ সেনগুপ্তের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিয়েছিলেন ৷ সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা হচ্ছে শুনে তিনি আশ্বস্ত হয়েছিলেন ৷ কিন্তু হাসপাতালে দেখা করে যেতে পারেননি প্রসূন ৷ সেই নিয়ে এদিন আক্ষেপও করেছেন তিনি ৷ তিনি বলেন, ‘‘ও কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার জন্য হাসপাতালে দেখা করতেও যেতে পারিনি ।’’
তাঁর বক্তব্য, ‘‘সুরজিৎ ভীষণ উচ্চমানের খেলোয়াড় ছিলেন ।’’ তাঁর সঙ্গে সুরজিৎ সেনগুপ্তের যুগলবন্দির কথাও তুলে তিনি জানান, ভারতের হয়ে একসঙ্গে খেলেছেন ৷ সংবাদপত্রেও খেলা নিয়ে নিয়মিত লিখেছেন তাঁরা । একই সঙ্গে অতীতের সরণিতে হেঁটে তিনি জানান, 1978 সালে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে দু’দলই ঠিক করেছিল বিকেল 4 টের আগে তারা মাঠে নামবে না । অথচ গ্যালারিতে অপেক্ষমান দর্শক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । শেষমেশ তিনি সুরজিৎ সেনগুপ্তর কাছে গিয়ে বলেন যে ‘বন্ধু চলো মাঠে নামি’ । যদিও সেই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল হেরে যায় । প্রসূন বলেন, ‘‘খেলা শেষে দুই অধিনায়কের করমর্দন করার দৃশ্য দেখে ইস্টবেঙ্গলের দর্শকেরা সুরজিৎ ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ।’’
তিনি আরও জানান, সুরজিৎ সেনগুপ্ত তাঁকে গোপাল বলে ডাকতেন । তিনি যেদিন হাওড়াতে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন, সেদিন সুরজিৎ সেনগুপ্ত ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ।
তিনি বলেন, ‘‘আমি ওর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর খুব মন খারাপ হয়ে গেল । আজ নিজের মেয়ের জন্মদিনে এরকম হৃদয়বিদারক সংবাদ পেয়ে সত্যি মর্মাহত ।’’
আরও পড়ুন : Surajit Sengupta demise : "তুমি দৌড়োও সুরো, তোমার দৌড়কে ওরা ভয় পায়..." সুরজিতকে বলেছিলেন পিকে