ETV Bharat / city

দ্রুত সুস্থ হোক "ঘরের ছেলে" পরিবহ, প্রার্থনা ডোমজুড়ের বাড়িতে-বাড়িতে

NRS-এ উন্মত্ত জনতার রোষের শিকার হন পরিবহ । আপাতত স্থিতিশীল বললেও পুরোপুরি বিপন্মুক্ত বলতে নারাজ চিকিৎসক । পরিবহের গ্রামের প্রার্থনা একটাই, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক তাঁদের পরিবহ ।

পরিবহ
author img

By

Published : Jun 12, 2019, 11:47 AM IST

ডোমজুড়, 12 জুন : খবরটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তাঁরা । TV-তে দেখে সম্বিত ফিরল গোটা এলাকার । ততক্ষণে হাসপাতালে ছুটে গেছে মুখোপাধ্যায় পরিবার । বাড়ির ছেলে তখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে ।

ছোটোবেলা থেকেই মেধাবী পরিবহ । স্কুলে সবসময় হত প্রথম । মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছিল তাঁর রেজ়াল্ট । বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে স্কুলে প্রথম হয় । সঙ্গে ছিল জয়েন্টে সাফল্য । পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি পরিবহকে । ডাক্তারি পড়াশোনা শুরু । NRS-এ ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করার সুযোগ আসে খুব সহজেই । সোমবার রাতের ঘটনা সব কিছু এলোমেলো করে দিল মুখোপাধ্যায় পরিবারকে ।

উন্মত্ত জনতার রোষের শিকার হন পরিবহ । প্রচণ্ড জোরে আঘাত লাগায় কপালের উপরের করোটির সামনের একটি অংশ তুবড়ে ভিতরে ঢুকে গেছে তাঁর । দ্রুততার সঙ্গে হয় অস্ত্রোপচার । ITU-তে থাকার সময় IV ফ্লুইড, অ্যান্টিবায়োটিক, খিচুনি বন্ধের ওষুধ সবই দেওয়া হয় তাঁকে । কপাল জোরে আরও বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন পরিবহ । CT স্ক্যানেও কিছু ধরা পরেনি । আপাতত স্থিতিশীল বললেও পুরোপুরি বিপন্মুক্ত বলতে নারাজ চিকিৎসক ।

মেধাবী, মিশুকে এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিতি পরিবহের । সোমবার যখন ঘটনাটি জানাজানি হতেই, হাওড়ার ডোমজুড়ে আর পাঁচজনের মতন চোখে জল এসে গেছিল সুকুমার হালদারের । ছোটো থেকেই পরিবহকে দেখছেন । নিজের পরিবারের একজন মনে করতেন । খুব ভালোবাসতেন । পছন্দ করতেন । পরিবহের এহেন পরিণতি যেন মেনে নিতে পারছেন না । তিনি চান দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরুক পরিবহ । পরিবারের মুখে হাসি ফোটাক ।

শুধু সুকুমারবাবুর কথাই বলব কেন ? একই প্রার্থনা এলাকার প্রতিটি মানুষের । তাঁদের মনে একটাই প্রশ্ন, কী দোষ করেছিল ছেলেটা ? কেউ চলেছেন মন্দিরে, কারও চোখ TV-র পর্দা থেকে একটি বারের জন্য সরছে না । বাড়িতে-বাড়িতে, মোড়ে-মোড়ে একটাই আলোচনা, কেমন আছে পরিবহ ? কেউ আবার চেষ্টা করছেন হাসপাতালে তাঁর পরিবারের লোকজনকে ফোন করে খবর নেওয়ার ।

আজ যখন TV-তে দেখালো ফের একবার CT স্ক্যান হবে পরিবহের । খবরটা শুনে চমকে ওঠে পরিবহের প্রতিবেশীরা । প্রশ্ন একটাই, আবার কেন ? তাহলে কী খারাপ কিছু ... যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, আশঙ্কার কিছু নেই ।

কিন্তু কোনও আশ্বাসবাণী যেন হাসি ফোটাতে পারছে না ডোমজুড়ের মানুষদের । প্রার্থনা একটাই, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক তাঁদের পরিবহ ।

ডোমজুড়, 12 জুন : খবরটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তাঁরা । TV-তে দেখে সম্বিত ফিরল গোটা এলাকার । ততক্ষণে হাসপাতালে ছুটে গেছে মুখোপাধ্যায় পরিবার । বাড়ির ছেলে তখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে ।

ছোটোবেলা থেকেই মেধাবী পরিবহ । স্কুলে সবসময় হত প্রথম । মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছিল তাঁর রেজ়াল্ট । বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে স্কুলে প্রথম হয় । সঙ্গে ছিল জয়েন্টে সাফল্য । পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি পরিবহকে । ডাক্তারি পড়াশোনা শুরু । NRS-এ ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করার সুযোগ আসে খুব সহজেই । সোমবার রাতের ঘটনা সব কিছু এলোমেলো করে দিল মুখোপাধ্যায় পরিবারকে ।

উন্মত্ত জনতার রোষের শিকার হন পরিবহ । প্রচণ্ড জোরে আঘাত লাগায় কপালের উপরের করোটির সামনের একটি অংশ তুবড়ে ভিতরে ঢুকে গেছে তাঁর । দ্রুততার সঙ্গে হয় অস্ত্রোপচার । ITU-তে থাকার সময় IV ফ্লুইড, অ্যান্টিবায়োটিক, খিচুনি বন্ধের ওষুধ সবই দেওয়া হয় তাঁকে । কপাল জোরে আরও বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন পরিবহ । CT স্ক্যানেও কিছু ধরা পরেনি । আপাতত স্থিতিশীল বললেও পুরোপুরি বিপন্মুক্ত বলতে নারাজ চিকিৎসক ।

মেধাবী, মিশুকে এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিতি পরিবহের । সোমবার যখন ঘটনাটি জানাজানি হতেই, হাওড়ার ডোমজুড়ে আর পাঁচজনের মতন চোখে জল এসে গেছিল সুকুমার হালদারের । ছোটো থেকেই পরিবহকে দেখছেন । নিজের পরিবারের একজন মনে করতেন । খুব ভালোবাসতেন । পছন্দ করতেন । পরিবহের এহেন পরিণতি যেন মেনে নিতে পারছেন না । তিনি চান দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরুক পরিবহ । পরিবারের মুখে হাসি ফোটাক ।

শুধু সুকুমারবাবুর কথাই বলব কেন ? একই প্রার্থনা এলাকার প্রতিটি মানুষের । তাঁদের মনে একটাই প্রশ্ন, কী দোষ করেছিল ছেলেটা ? কেউ চলেছেন মন্দিরে, কারও চোখ TV-র পর্দা থেকে একটি বারের জন্য সরছে না । বাড়িতে-বাড়িতে, মোড়ে-মোড়ে একটাই আলোচনা, কেমন আছে পরিবহ ? কেউ আবার চেষ্টা করছেন হাসপাতালে তাঁর পরিবারের লোকজনকে ফোন করে খবর নেওয়ার ।

আজ যখন TV-তে দেখালো ফের একবার CT স্ক্যান হবে পরিবহের । খবরটা শুনে চমকে ওঠে পরিবহের প্রতিবেশীরা । প্রশ্ন একটাই, আবার কেন ? তাহলে কী খারাপ কিছু ... যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, আশঙ্কার কিছু নেই ।

কিন্তু কোনও আশ্বাসবাণী যেন হাসি ফোটাতে পারছে না ডোমজুড়ের মানুষদের । প্রার্থনা একটাই, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক তাঁদের পরিবহ ।

Intro:গ্রামের ছেলে সুস্থ হয়ে গ্রামে ফিরুক, প্রার্থনা পরিবহর গ্রামের। উল্লেখ্য, সোমবার রাতে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হসপাতালে রোহি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার হয়। হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর চড়াও হন মৃত রোগীর পরিজনেরা। ঘটনায় গুরুতর জখম পরিবহকে ভর্তি কইরা হয় ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসে। দেখা যায়, ইটের আঘাতে করোটি ভেঙে ঢুকে গিয়েছে পরিবহর। আর এই খবর পাওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে পরিবহর প্রতিবেশীরা।এলাকাজুড়ে প্রার্থনা সুস্থ হয়ে যেন তাড়াতাড়ি ঘরে ফেরে সে। কারণ এলাকায় যথেষ্ট সুনাম রয়েছে তার। Body:স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার হালদার জানান, ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো পরিবহ। ক্লাস ওয়ান থেকেই প্রথম হত সে। এমনকি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও ডিউক স্কুল থেকে প্রথম হয়েছিল সে। এর পাশাপাশি এলাকাবাসীর দাবি, যাদের দ্বারা পরিবহ আক্রান্ত হয়েছে তাদের যেন কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে প্রশাসন।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.