হাবড়া, 3 জুন : খাদ্য দপ্তরের পরিদর্শনের সময় হৃদরোগে রেশন ডিলারের মৃত্যু ঘিরে ছড়াল বিতর্ক । অভিযোগ, খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা মানসিক চাপ দিয়েছিলেন । তারপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই রেশন ডিলারের মৃত্যু হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃত রেশন ডিলারের নাম তপন মজুমদার (52)। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার খারো গ্রামে । ঘটনার পরে উত্তেজিত বাসিন্দারা হাবড়া-মগরা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরিবার ও রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে থানায় দু'টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে ।
লকডাউনের পর থেকেই রেশনের খাদ্যসামগ্রী বিলি-বণ্টন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল সাধারণ গ্রাহকদের । রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছিলেন গ্রাহকরা । তারপর থেকে প্রায় নিয়ম করেই খোদ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা শহর ও গ্রামের বিভিন্ন রেশন ডিলারের দোকানে অভিযান চালানো শুরু করেছেন । সেই ধারা অব্যাহত রেখে গতকাল হাবড়ার খারো বাজারের রেশন ডিলার তপন মজুমদারের রেশন দোকানে হানা দেন খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। পরিদর্শন চলাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন । তপনবাবুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি আগে থেকেই হৃদরোগে ভুগছিলেন । কিছুদিন আগে তাঁর বাইপাস সার্জারিও হয়েছে । এদিন অসুস্থ হওয়ার পরেই তাঁকে তড়িঘড়ি হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তপনবাবুর মৃত্যুর খবর আসতেই পরিবার ও রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে খারো বাজারে হাবড়া-মগরা রোডে অবরোধ শুরু করা হয় । তাঁদের অভিযোগ, পরিদর্শনে আসা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের মানসিক চাপে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন । অবরোধ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থানে আসেন হাবড়া 1 নম্বর ব্লকের BDO শুভ্র নন্দী । আসে পুলিশও । BDO ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় । মৃতের দাদা অলোক মজুমদারও কেরোসিনের ডিলার । তিনি জানিয়েছেন, এদিন আধিকারিকরা দোকানে এসে কাগজপত্র দেখার নামে ভাইকে হেনস্থা করেছেন । তারপর মানসিক চাপে ভাই অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন । যদিও জেলা খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । তারা জানিয়েছে, দোকানে পরিদর্শনের সময় তপনবাবু সেখানে ছিলেন না ।
পরিদর্শন চলাকালে রেশন ডিলারের উদ্যোগে মৃত্যু, প্রশ্নের মুখে খাদ্য দপ্তর
রেশন দুর্নীতি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ উঠছিল জেলায় জেলায় । তারপর থেকে প্রায় নিয়ম করেই খোদ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা শহর ও গ্রামের বিভিন্ন রেশন ডিলারের দোকানে অভিযান চালানো শুরু করেছেন । সেই ধারা অব্যাহত রেখে গতকাল হাবড়ার খারো বাজারের রেশন ডিলার তপন মজুমদারের রেশন দোকানে হানা দেন খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। পরিদর্শন চলাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন । তাঁকে তড়িঘড়ি হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাবড়া, 3 জুন : খাদ্য দপ্তরের পরিদর্শনের সময় হৃদরোগে রেশন ডিলারের মৃত্যু ঘিরে ছড়াল বিতর্ক । অভিযোগ, খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা মানসিক চাপ দিয়েছিলেন । তারপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই রেশন ডিলারের মৃত্যু হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃত রেশন ডিলারের নাম তপন মজুমদার (52)। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার খারো গ্রামে । ঘটনার পরে উত্তেজিত বাসিন্দারা হাবড়া-মগরা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরিবার ও রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে থানায় দু'টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে ।
লকডাউনের পর থেকেই রেশনের খাদ্যসামগ্রী বিলি-বণ্টন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল সাধারণ গ্রাহকদের । রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছিলেন গ্রাহকরা । তারপর থেকে প্রায় নিয়ম করেই খোদ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা শহর ও গ্রামের বিভিন্ন রেশন ডিলারের দোকানে অভিযান চালানো শুরু করেছেন । সেই ধারা অব্যাহত রেখে গতকাল হাবড়ার খারো বাজারের রেশন ডিলার তপন মজুমদারের রেশন দোকানে হানা দেন খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। পরিদর্শন চলাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন । তপনবাবুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি আগে থেকেই হৃদরোগে ভুগছিলেন । কিছুদিন আগে তাঁর বাইপাস সার্জারিও হয়েছে । এদিন অসুস্থ হওয়ার পরেই তাঁকে তড়িঘড়ি হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তপনবাবুর মৃত্যুর খবর আসতেই পরিবার ও রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে খারো বাজারে হাবড়া-মগরা রোডে অবরোধ শুরু করা হয় । তাঁদের অভিযোগ, পরিদর্শনে আসা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের মানসিক চাপে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন । অবরোধ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থানে আসেন হাবড়া 1 নম্বর ব্লকের BDO শুভ্র নন্দী । আসে পুলিশও । BDO ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় । মৃতের দাদা অলোক মজুমদারও কেরোসিনের ডিলার । তিনি জানিয়েছেন, এদিন আধিকারিকরা দোকানে এসে কাগজপত্র দেখার নামে ভাইকে হেনস্থা করেছেন । তারপর মানসিক চাপে ভাই অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন । যদিও জেলা খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । তারা জানিয়েছে, দোকানে পরিদর্শনের সময় তপনবাবু সেখানে ছিলেন না ।