দুর্গাপুর, 25 অগস্ট : অবৈধ বালি কারবারের মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গোয়েন্দা বিভাগ নিউটাউনশিপ থানার এমএএমসি টাউনশিপ এলাকা থেকে গ্রেফতার করল সুজয় পাল ওরফে কেবুকে । নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে কেবু ৷ তার বক্তব্য, মন্দিরে পুজো করার সময় তাকে থানায় তুলে আনা হয়েছে ৷ সে এসবের কিছুই জানে না ৷
অভিযোগ, কাঁকসার অজয় ঘাট-সহ বেশ কয়েকটি ঘাট থেকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক দিয়ে অবৈধ উপায়ে বালি চুরি তোলে এই কেবু ৷ ধীরে ধীরে এই অন্ধকার জগতের বেতাজ বাদশা হয়ে বসেছিল সে ৷ বেশ কিছুদিন ধরে এই কেবুকে ধরার জন্য আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ওৎ পেতে বসেছিল ৷ মঙ্গলবার রাতে সেই ফাঁদে পা দেয় কেবু ।
এমএএমসি টাউনশিপ এলাকা থেকে গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফাতর করে কেবুকে ৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে ঘিরে জেলায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে ৷ বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্তের অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদলের মদতে কেবুর বাড়বাড়ন্ত ছিল ৷ একই সঙ্গে এই বিজেপি নেতার দাবি, অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের গতি বাড়ানো হোক । তাহলে অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়বে ।
সিপিআইএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, স্টক বালি ক্লিয়ারেন্সের মাধ্যমে কৌশলে ঘুরপথে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন চলছিল ৷ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের মদতে কেবুর বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল বলে এই সিপিআইএম নেতার অভিযোগ । তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিরোধীদের তোপ দাগলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা দুর্গাপুরে দলের কনভেনর মৃগেন পাল ।
সব মিলিয়ে ফের অবৈধ বালি কারবার ইস্যু ফের রাজনীতির লাইম লাইটে ৷ এই ইস্যুতে আগেও তোলপাড় হয়েছে জেলা তথা শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি । যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত কেবু ওরফে সুজয় পাল ।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের গোয়েন্দা আধিকারিক দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কাঁকসা থানার একটি ঘটনায় কেবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ অন্ডাল-সহ আরও বেশ কয়েকটি থানায় তার নামে লিখিত অভিযোগ রয়েছে । বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় অভিযুক্তকে ৷ তার তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷ ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিতে যেতে চাইছে গোয়েন্দা বিভাগ ৷
আরও পড়ুন : Blast : বহরমপুরে বিস্ফোরণে উড়ে গেল ছাদ, জখম বৃদ্ধা