দুর্গাপুর, 20 এপ্রিল- লকডাউন চলছে। আর তার জেরেই কোনও গাড়ি যেতে চায়নি। কিন্তু তাতে কী? পূর্ব নির্ধারিত স্থির হওয়া দিনেই বিয়ে করে বাইকে করে নববিবাহিতা বিবিকে নিয়ে ফিরছিল শওহর। মাঝরাস্তায় দুর্গাপুর থানার অফিসা -ইন-চার্জ রাজশেখর মুখোপাধ্যায় তাঁদেরকে দেখতে পেয়ে দাঁড় করান। তাদের মুখে মাস্ক ছিলনা।OC রাজশেখর মুখোপাধ্যায় নবদম্পতির হাতে তুলে দিলেন একজোড়া মাস্ক।পুলিশের কাছে মাস্ক পেয়ে খুশি নবদম্পতি।
দুর্গাপুরের আমরাই গ্রামের বাসিন্দা যুবক শেখ ইব্রাহিমের সাথে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার জেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা আলেয়া বিবির নিকাহ স্থির হয়। কিন্তু লকডাউনের জেরে বিপাকে পড়ে যায় দুই পরিবার। বিবাহের সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ হলেও বন্ধ করা যায়নি নিকাহ। লকডাউনের কারণে বিয়ে করতে যাওয়ার জন্য গাড়ি পাওয়া যায়নি। অগত্যা জেমুয়া গ্রাম থেকে নিকাহ করে শেখ ইব্রাহিম তাঁর বিবিকে নিয়ে বাইকে করে সোমবার আসছিলেন আমরাই গ্রামে। সেই সময় দুর্গাপুরের দয়ানন্দ রোডে নবদম্পতিকে মাস্ক না পরা অবস্থায় বাইকে দেখতে পান দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাজশেখর মুখোপাধ্যায়।
নবদম্পতির মুখে ছিল না মাস্ক,মাথায় হেলমেট নেই। গাড়ি থেকে পুলিশকে নামতে দেখেই কিছুটা হলেও ভীত হয়ে পড়ে নবদম্পতি। কিন্তু রাজশেখর মুখোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের দুজনের হাতে দুটি মাস্ক উপহার দেন এবং তাঁদেরকে বলেন মাস্ক পরে নিতে । এর পরেই হাসিমুখে নবদম্পতি রওনা দেয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে এঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত। কিন্তু নবদম্পতি বলে কথা। তাই দুর্গাপুর থানার পুলিশ মানবিক ভাবমূর্তি নিয়ে নবদম্পতিকে উপহার দিল একজোড়া মাস্ক। যাওয়ার আগে অফিসার-ইন-চার্জ রাজ শেখর মুখোপাধ্যায় তাঁদের বলেও দেন, "লকডাউন চলছে, তাই এবার বাড়িতে থেকো, সুস্থ থেকো।"