ETV Bharat / city

কোভিড পরিস্থিতিতে জরাজীর্ণ দশা কাঁকসার হস্তশিল্পীদের - কোভিড 19

বিক্রিবাটা একেই কম ছিল ৷ তার উপর আঘাত হেনেছে কোভিড পরিস্থিতি ৷ যার জেরে জরাজীর্ণ দশা কাঁকসার হস্তশিল্পীদের ৷ সরকারি সাহায্যের আশায় দিন গুনছেন তাঁরা ৷

kaksa handicraft workers in big trouble amid corona surge
কোভিড পরিস্থিতিতে জরাজীর্ণ দশা কাঁকসার হস্তশিল্পীদের
author img

By

Published : Jun 6, 2021, 7:54 PM IST

দুর্গাপুর, 6 জুন : শহর থেকে শহরতলিতে আধুনিকতার ছোঁয়া ৷ যার জেরে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার হস্তশিল্প ৷ আর মরার উপর খাঁড়ার ঘা বসিয়েছে কোভিড পরিস্থিতি ৷ দুশ্চিন্তার মধ্যে অনাহারে দিন কাটছে কাঁকসার জঙ্গলমহলের হস্তশিল্পীদের ৷

আধুনিক যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার হস্তশিল্পীদের তৈরি আসবাবপত্র । এমনিতেই নুন আনতে পান্তা ফুরোয় ৷ তার উপর আবার অতিমারির দাপট । কোভিডের জেরে হস্তশিল্পে নেমে এসেছে মন্দা । বিক্রি নেই বেতের তৈরি কুলো, ঝুড়ি, বসার মোড়া, হাত পাখার । করোনা পরিস্থিতির জন্য তাঁদের কোনও গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন হস্তশিল্পীরা ।

আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে আজ মানুষের জীবনে ৷ প্লাস্টিক, ফাইবারের আসবাবপত্রের কদর বেড়েছে । বেতের এবং বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রের বিক্রি হাতে গোনা । ধান ঝাড়াইয়ের পর তা পরিষ্কার করার জন্য কুলোর খুব চাহিদা ছিল একসময় । কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে যন্ত্রের মাধ্যমে কাটা হচ্ছে ধান ৷ তারপর সেই ধান সোজা বাড়িতে তুলে নেওয়া হচ্ছে । যার জেরে কুলোর চাহিদা নেই । দামও নেই । প্লাস্টিকের বিভিন্ন আসবাবপত্র বেতের তৈরি জিনিসের আগে জায়গা করে নিয়েছে ৷ এখন মাছ ধরার বিভিন্ন সামগ্রীও তৈরি করছেন এলাকার হস্তশিল্পীরা ।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে মতামত জানাতে চান ? ইমেল আইডি দিল সরকার

কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ মলানদিঘি ডোমপাড়ায় রয়েছে সরকারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন হস্তশিল্পী । এ ছাড়াও প্রায় 50 জন হস্তশিল্পী রয়েছে ওই এলাকায় । সবাই একসঙ্গে বসেই কাজ করেন । তারপর নিজেদের হাতের তৈরি সেই সমস্ত জিনিস নিয়ে পৌঁছে যান শহরের হাটে এবং বাজারে । কোনওদিন বিক্রি হয়, তো আবার কোনওদিন বিক্রি হয় না । ব্যাপক সংকটের মধ্যে কাটছে তাঁদের দিন । সরকারি সাহায্যও বিশেষ মেলেনি ৷ দু বেলা দু মুঠো জোগানোই কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছে তাঁদের ৷

দুশ্চিন্তার আঁধারে হস্তশিল্পীরা

কিন্তু রাজ্য সরকার একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে হস্তশিল্পকে বাঁচানোর লক্ষ্যে । হস্তশিল্পীদের উপর বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হবে এবং সরকারিভাবে সাহায্য করা হবে জানালেন মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায় । তবে কবে মিলবে সরকারি সাহায্য ? কবেই বা স্বাভাবিক হবে করোনা পরিস্থিতি ? অপেক্ষার প্রহর গুনছেন মলানদিঘির হস্তশিল্পীরা ৷

দুর্গাপুর, 6 জুন : শহর থেকে শহরতলিতে আধুনিকতার ছোঁয়া ৷ যার জেরে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার হস্তশিল্প ৷ আর মরার উপর খাঁড়ার ঘা বসিয়েছে কোভিড পরিস্থিতি ৷ দুশ্চিন্তার মধ্যে অনাহারে দিন কাটছে কাঁকসার জঙ্গলমহলের হস্তশিল্পীদের ৷

আধুনিক যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার হস্তশিল্পীদের তৈরি আসবাবপত্র । এমনিতেই নুন আনতে পান্তা ফুরোয় ৷ তার উপর আবার অতিমারির দাপট । কোভিডের জেরে হস্তশিল্পে নেমে এসেছে মন্দা । বিক্রি নেই বেতের তৈরি কুলো, ঝুড়ি, বসার মোড়া, হাত পাখার । করোনা পরিস্থিতির জন্য তাঁদের কোনও গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন হস্তশিল্পীরা ।

আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে আজ মানুষের জীবনে ৷ প্লাস্টিক, ফাইবারের আসবাবপত্রের কদর বেড়েছে । বেতের এবং বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রের বিক্রি হাতে গোনা । ধান ঝাড়াইয়ের পর তা পরিষ্কার করার জন্য কুলোর খুব চাহিদা ছিল একসময় । কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে যন্ত্রের মাধ্যমে কাটা হচ্ছে ধান ৷ তারপর সেই ধান সোজা বাড়িতে তুলে নেওয়া হচ্ছে । যার জেরে কুলোর চাহিদা নেই । দামও নেই । প্লাস্টিকের বিভিন্ন আসবাবপত্র বেতের তৈরি জিনিসের আগে জায়গা করে নিয়েছে ৷ এখন মাছ ধরার বিভিন্ন সামগ্রীও তৈরি করছেন এলাকার হস্তশিল্পীরা ।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে মতামত জানাতে চান ? ইমেল আইডি দিল সরকার

কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ মলানদিঘি ডোমপাড়ায় রয়েছে সরকারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন হস্তশিল্পী । এ ছাড়াও প্রায় 50 জন হস্তশিল্পী রয়েছে ওই এলাকায় । সবাই একসঙ্গে বসেই কাজ করেন । তারপর নিজেদের হাতের তৈরি সেই সমস্ত জিনিস নিয়ে পৌঁছে যান শহরের হাটে এবং বাজারে । কোনওদিন বিক্রি হয়, তো আবার কোনওদিন বিক্রি হয় না । ব্যাপক সংকটের মধ্যে কাটছে তাঁদের দিন । সরকারি সাহায্যও বিশেষ মেলেনি ৷ দু বেলা দু মুঠো জোগানোই কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছে তাঁদের ৷

দুশ্চিন্তার আঁধারে হস্তশিল্পীরা

কিন্তু রাজ্য সরকার একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে হস্তশিল্পকে বাঁচানোর লক্ষ্যে । হস্তশিল্পীদের উপর বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হবে এবং সরকারিভাবে সাহায্য করা হবে জানালেন মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায় । তবে কবে মিলবে সরকারি সাহায্য ? কবেই বা স্বাভাবিক হবে করোনা পরিস্থিতি ? অপেক্ষার প্রহর গুনছেন মলানদিঘির হস্তশিল্পীরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.