দুর্গাপুর, 9 সেপ্টেম্বর : কীভাবে গভীর রাতে ঘুমে আচ্ছন্ন স্ত্রীকে গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে খুন করেছে, তা পুলিশকে দেখাল ব্যাঙ্ককর্মী স্বামী ৷ খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে ব্যাঙ্ককর্মী বিপ্লব পরিদাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বামুনাড়াতে তার ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে কাঁকসা থানার পুলিশ ৷ ফ্ল্যাটে গিয়ে বিপ্লব পুলিশকে বলে, "রবিবার রাত 11টায় বাড়ি ফিরে বাইরের দরজা খুলে বেডরুমে গিয়ে দেখি স্ত্রী ইপ্সা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন । এরপর মেঝেতে পড়ে থাকা কুকুরের গলার বেল্ট ইপ্সার গলায় পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করি ।"
স্ত্রীর খুব প্রিয় টেডি বিয়ার মেঝেতে রেখে কীভাবে তাকে খুন করে তা এদিন দেখায় বিপ্লব । দেখাতে গিয়ে বারবার তার মাথা ঘুরে যাচ্ছিল । যা দেখে তাকে অসুস্থ বলে মনে হচ্ছিল ।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরের মামড়া বাজারের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সহকারী ম্যানেজার ওড়িশার বাসিন্দা বিপ্লব পরিদা নিজের হাতে স্ত্রী ইপ্সা প্রিয়দর্শনীকে খুন করে ৷ গলায় কুকুরের বেল্ট জড়িয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে খুনের পর কাঁকসা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে বিপ্লব । কিন্তু কেন স্ত্রীকে খুন করল উচ্চশিক্ষিত সেই ব্যাঙ্ক আধিকারিক ? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে বিপ্লব জানায়, 2018-তে ওড়িশার বাসিন্দা ইপ্সার সঙ্গে তার বিয়ে হয় । বিয়ের পর থেকেওই ইপ্সা তাকে বিদেশ ঘোরা ও ফ্যাশন ডিজাইনিং করার জন্য চাপ দিত ৷ এই নিয়ে নিত্য অশান্তি করত সে । তা সহ্য করতে না পেরেই স্ত্রীকে খুন করে ৷
অন্যদিকে ইপ্সার পরিবারের অভিযোগ, বিপ্লবকে বিয়ের সময় বহু কিছু দেওয়ার পরেও ওড়িশাতে ফ্ল্যাট কেনার জন্য 30 লাখ টাকা আমাদের থেকে নেওয়ার জন্য ইপ্সাকে চাপ দিত বিপ্লব । তা দিতে পারিনি বলেই ইপ্সাকে এভাবে খুন হতে হল ।
সোমবার বিপ্লবকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । তারপর বৃহস্পতিবার ঘটনার পুনর্নির্মাণে সবটা জানতে পারে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : Kanksa Wife Murder : ফ্ল্যাট কেনার 30 লক্ষ না পেয়েই খুন, দাবি মৃতার বাবার