ETV Bharat / city

দুর্গাপুর ব্যারেজের পলি সংস্কার আটকে, DVC-র কাজে গাফিলতার অভিযোগ - DVC-র কাজে গাফিলতার অভিযোগ

দুর্গাপুর ব্যারেজের জমা জল কী পারবে জলের সমস্যা মেটাতে? না কী এরফলে জল সংকট দেখা দিতে চলেছে শিল্প থেকে শস্য ভূমিতে?

durgapur barrage
দুর্গাপুর ব্যারেজের পলি সংস্কার আটকে
author img

By

Published : Jan 27, 2020, 3:21 AM IST

দুর্গাপুর,27 জানুয়ারি : পলি জলেছে । আগের মতো আর জলধারণের ক্ষমতা নেই । সংস্কারের অভাবে দূষণ ছড়াচ্ছে দামোদর নদে । দুর্গাপুর ব্যারেজের জলধারণের ক্ষমতা 70 শতাংশ কমেছে। আর সব কিছুর জন্য় কেন্দ্রীয় সংস্থা DVC-র উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।

দুর্গাপুর ব্যারেজের জমা জল কী পারবে জলের সমস্যা মেটাতে? না কী এরফলে জল সংকট দেখা দিতে চলেছে শিল্প থেকে শস্য ভূমিতে?

দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দামোদর নদের বুকে চেক ড্যাম তৈরি করে জলকে ধরে রাখার ব্যবস্থা হয় । জমা জল থেকে সেচ ও শিল্পে জল সরবরাহের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পানীয় জলের জন্য পরিকল্পনা গৃহীত হয় । এজন্য গঠিত হয় দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা DVC । দুর্গাপুর ব্যারেজ তৈরির কাজ শুরু হয় 1953 সালে । দুর্গাপুর ও আসানসোল- কে দেশের মানচিত্রে শিল্পনগরী হিসাবে তুলে ধরার জন্য তৎকালীন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় এই দুর্গাপুর ব্যারেজ ১৯৫৫ সালে উদ্বোধন হয় । 36 টি লকগেটযুক্ত এই দুর্গাপুর ব্যারেজের দেখভালের দায়িত্ব রাজ্য সেচ দপ্তরের হাতে ।

দুর্গাপুর ব্যারেজের দু'দিকে অর্থাৎ বাঁকুড়া ও দুর্গাপুরের দিকে দুটি সেচখাল RBC ও LBC তৈরি হয় । এই দুটি সেচ খাল থেকে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি এবং বাঁকুড়া জেলার বহু অঞ্চলের কৃষকরা সেচের জলের সুবিধা পায়। অন্যদিকে দুর্গাপুর ব্যারেজে ধরে রাখা জল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সহ বহু কারখানায় জলের যোগান দেয় । বর্তমানে পানাগড়ে দেশের সর্ববৃহৎ যে বেসরকারি সার কারখানা আছে তারও জলের যোগান দিচ্ছে দামোদর।

দুর্গাপুর ব্যারেজের পলি সংস্কার আটকে

অথচ এই দামোদরের বুকে এখন বালির চর । আর দুর্গাপুর ব্যারেজে বছরের পর বছর শুধুই পলি জমছে । সেই পলি আজ পর্যন্ত একবারও সংস্কার করা হয়নি। উলটে মজে যাওয়া দুর্গাপুর ব্যারেজে আবার পানা জমেছে। কার্যত সংস্কারহীন দুর্গাপুর ব্যারেজ পানা পুকুরের রূপ নিয়েছে । দামোদর নদের উপর কাজ করা নৃপেষ বর জানান, "দামোদর দেশের সবচেয়ে প্রাচীন নদ। দামোদর নদ বৃষ্টির জলে পুষ্ঠ। আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। বৃষ্টির পরিমান কমেছে। আর গাছ কমে যাওয়ার জন্য় দামোদরের তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভূমিক্ষয় হয়েছে। সেই মাটি,পলি এসে জমা হচ্ছে দামোদরে। " এই বিষয়ে DVC-র আধিকারিক এ কে জানা বলেন," 1964 সালে দুর্গাপুর ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের হাত থেকে রাজ্য সরকারের হাতে চলে যায় । ফলে এই বিষয়ে DVC-র কিছু করার নেই ।"

দুর্গাপুর,27 জানুয়ারি : পলি জলেছে । আগের মতো আর জলধারণের ক্ষমতা নেই । সংস্কারের অভাবে দূষণ ছড়াচ্ছে দামোদর নদে । দুর্গাপুর ব্যারেজের জলধারণের ক্ষমতা 70 শতাংশ কমেছে। আর সব কিছুর জন্য় কেন্দ্রীয় সংস্থা DVC-র উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।

দুর্গাপুর ব্যারেজের জমা জল কী পারবে জলের সমস্যা মেটাতে? না কী এরফলে জল সংকট দেখা দিতে চলেছে শিল্প থেকে শস্য ভূমিতে?

দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দামোদর নদের বুকে চেক ড্যাম তৈরি করে জলকে ধরে রাখার ব্যবস্থা হয় । জমা জল থেকে সেচ ও শিল্পে জল সরবরাহের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পানীয় জলের জন্য পরিকল্পনা গৃহীত হয় । এজন্য গঠিত হয় দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা DVC । দুর্গাপুর ব্যারেজ তৈরির কাজ শুরু হয় 1953 সালে । দুর্গাপুর ও আসানসোল- কে দেশের মানচিত্রে শিল্পনগরী হিসাবে তুলে ধরার জন্য তৎকালীন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় এই দুর্গাপুর ব্যারেজ ১৯৫৫ সালে উদ্বোধন হয় । 36 টি লকগেটযুক্ত এই দুর্গাপুর ব্যারেজের দেখভালের দায়িত্ব রাজ্য সেচ দপ্তরের হাতে ।

দুর্গাপুর ব্যারেজের দু'দিকে অর্থাৎ বাঁকুড়া ও দুর্গাপুরের দিকে দুটি সেচখাল RBC ও LBC তৈরি হয় । এই দুটি সেচ খাল থেকে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি এবং বাঁকুড়া জেলার বহু অঞ্চলের কৃষকরা সেচের জলের সুবিধা পায়। অন্যদিকে দুর্গাপুর ব্যারেজে ধরে রাখা জল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সহ বহু কারখানায় জলের যোগান দেয় । বর্তমানে পানাগড়ে দেশের সর্ববৃহৎ যে বেসরকারি সার কারখানা আছে তারও জলের যোগান দিচ্ছে দামোদর।

দুর্গাপুর ব্যারেজের পলি সংস্কার আটকে

অথচ এই দামোদরের বুকে এখন বালির চর । আর দুর্গাপুর ব্যারেজে বছরের পর বছর শুধুই পলি জমছে । সেই পলি আজ পর্যন্ত একবারও সংস্কার করা হয়নি। উলটে মজে যাওয়া দুর্গাপুর ব্যারেজে আবার পানা জমেছে। কার্যত সংস্কারহীন দুর্গাপুর ব্যারেজ পানা পুকুরের রূপ নিয়েছে । দামোদর নদের উপর কাজ করা নৃপেষ বর জানান, "দামোদর দেশের সবচেয়ে প্রাচীন নদ। দামোদর নদ বৃষ্টির জলে পুষ্ঠ। আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। বৃষ্টির পরিমান কমেছে। আর গাছ কমে যাওয়ার জন্য় দামোদরের তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভূমিক্ষয় হয়েছে। সেই মাটি,পলি এসে জমা হচ্ছে দামোদরে। " এই বিষয়ে DVC-র আধিকারিক এ কে জানা বলেন," 1964 সালে দুর্গাপুর ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের হাত থেকে রাজ্য সরকারের হাতে চলে যায় । ফলে এই বিষয়ে DVC-র কিছু করার নেই ।"

Intro:পলিসংস্কারের অভাবে দামোদর নদ পাণাপুকুরে পরিনত হয়েছে।দুর্গাপুর ব্যারেজের জলধারণের ক্ষমতা ৭০% কমলেও কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিভিসি র উদাসীনতারা বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে।দুর্গাপুর ব্যারেজের জমা জল কি পারবে বর্তমান সময়ের জলের যোগান মেটাতে?না কি জলসঙ্কট দেখা দিতে চলেছে শিল্প থেকে শস্যভুমিতে?পাণীয় জলের উৎস বা আর কোথায়?ইটিভি ভারতের খোঁজে দামোদরের বুকে দুর্গাপুর ব্যারেজের জলিধারন ক্ষমতার সাম্প্রতিক ছবি।।।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দামোদর নদের বুকে চেকড্যাম তৈরি করে নদীর জলকে ধরে রেখে তা মূলত সেচ ও শিল্পের জলের যোগানের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পানীয় জলের যোগানের স্বার্থেই পরিকল্পনা গৃহীত হয়।সেইমত গঠিত হয় "" দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন "" বা ডিভিসি।দুর্গাপুর ব্যারেজ তৈরির কাজ শুরু হয় ১৯৫৩ সালে।দুর্গাপুর ও আসানসোল কে দেশের মানচিত্রে শিল্পনগরী হিসাবে তুলে ধরার জন্য ততকালীন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যসরকারের প্রচেষ্টার অন্যতম এই দুর্গাপুর ব্যারেজ ১৯৫৫ সালে উদ্বোধন করা হয়।৩৬ টি লকগেটযুক্ত এই দুর্গাপুর ব্যারেজের দেখভালের দায়ীত্ম রাজ্য সেচ দপ্তরের হাতে ও নদীর ওপর যা কিছু তার দায় ডিভিসি র হাতে থাকবে এই মর্মে দুর্গাপুর ব্যারেজ এর প্রতিষ্ঠা। দুর্গাপুর ব্যারেজের দুইদিকে অর্থাৎ বাঁকুড়া ও দুর্গাপুরের দিকে দুটি সেচখাল RBC ও LBC তৈরি হয়।এই দুটি সেচ খাল থেকে পুর্ব বর্ধমান,হুগলী এবং বাঁকুড়া জেলার বহু অঞ্চলের কৃষকরা সেচের জলের সুবিধা যেমন পেতে থাকেন তেমনই দুর্গাপুর ব্যারেজে ধরে রাখা জলরাশি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা,মিশ্র ইস্পাত কারখানা সহ বহু রাষ্ট্রায়াত্ত কারখানা ও বেসরকারি কারখানায় জলের যোগান দেয়।বহু নতুন নতুন কারখানা গড়ে উঠেছে আবার বহু কারখানা বন্ধ হয়েছে।কিন্তু জলের যোগান এর একমাত্র উৎস এই দামোদর।।দুর্গাপুরে জীবন-জীবিকার স্বার্থে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে বসতি স্থাপন করেছে।একসময় জার্মানির রূড় অঞ্চলের সাথে একযোগে তুলনায় থাকা দুর্গাপুরে বর্তমানে শিল্পে মন্দা দেখা দিলেও জনবসতি কিন্তু কমেনি।তাই এই বিশাল আয়তন যুক্ত দুর্গাপুরে পুরসভা ছাড়াও, ডিপিএল,ডিভিসি,এডিডিএ র পক্ষ থেকে যে পাণীয় জল পরিষেবা দেওয়া হয় তা এই দামোদরের জল।বর্তমানে পানাগড়ে দেশের সর্ববৃহৎ যে বেসরকারি সার কারখানা তার জলের যোগান দিচ্ছে দামোদর।অথচ এই দামোদরের বুকে এখন বালির চর, আর দুর্গাপুর ব্যারেজে বছরের পর বছর শুধুই পলি জমেছে।সেই পলি আজ পর্যন্ত একবারও সংস্কার করা হয়নি।উলটে মজে যাওয়া দুর্গাপুর ব্যারেজে আবার পানা জমেছে।কার্যত সংস্কারহীন দুর্গাপুর ব্যারেজ পাণাপুকুরে পরিণত হয়েছে।।বিশিষ্ঠ ভৌগলিক নৃপেষ বর জানান, ""দামোদর দেশের সবচেয়ে প্রাচীন নদ।দামোদর নদ বৃষ্টির জলে পুষ্ঠ।দামোদরের অববাহিকায় প্রচুর বৃক্ষচ্ছেদন হয়েছে।আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে।বৃষ্টির পরিমান কমেছে।আর গাছ কমে যাওয়ার কারনে দামোদরের তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভুমিক্ষয় হয়েছে।সেই মাটি,পলি এসে জমা হচ্ছে দামোদরে।আর মাইথন,দুর্গাপুর ব্যারেজ কোনওকিছুর পলি সংস্কার না হওয়ার কারনে নদীর জলধারন ক্ষমতা কমেছে।"" তবে এই ভু-বিদের কথায় দামোদরের অববাহিকায় আরো গাছ লাগানোও প্রয়োজন।আগামী দিনে যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে কি ভয়ঙ্কর পরিনতি এই শিল্পাঞ্চলে ও কৃষি অঞ্চলে দেখা দেবে তা কেও ভাবতেই পারছেন না।।অন্যদিকে এই দামোদরের জলের যোগানের ওপরেই নির্ভরশীল দুর্গাপুর পুরসভার ৪৩ টি ওয়ার্ডের কয়েকলক্ষ নাগরিক। দুর্গাপুর ব্যারেজের জলধারন ক্ষমতা কমার কারনে পুরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গুলিতে প্রখর গরমে জলসঙ্কট দেখা দিচ্ছে।যে পরিমান জলের চাহিদা তা মিলছে না বছরের বেশির ভাগ সময়ে।পুরসভার জলদপ্তরের এম আই সি পবিত্র চ্যাটার্জির কথায় দামোদরের ড্রেজিং প্রয়োজন।তা না হলে অবস্থা ভয়ঙ্কর হবে।এবার ডিভিসি কে দামোদরকে পলিমুক্ত করার আর্জি জানাবার কথাও জানান তিনি।উল্লেখ্য বেশ কয়েকবার দুর্গাপুর ব্যারেজের পলিসংস্কার নিয়ে সংসদীয় প্রতিনিধিদল দুর্গাপুরে এসেছে।তারাও বলেন আশু পলি সংস্কারের কথা।

কিন্তু দামোদর এর পলি সংস্কার হয়নি।আজ দুর্গাপুর ব্যারেজের নাব্যতা মজে গিয়ে খালি চোখে দেখলেই দেখা যাবে দুর্গাপুর ব্যারেজ যেন গ্রামীন একটি "" পাণা পুকুর""।।Body:GConclusion:G
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.