দুর্গাপুর,16 ফেব্রুয়ারি : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে বেসরকারি গ্যাস কম্পানি GEECL-এর সমস্যা মেটাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন । সেই নির্দেশ মতো শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক কম্পানির মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আজ আলোচনায় বসেন । কিন্তু আলোচনায় কোনও সমাধান সূত্র বের হল না ।
গ্যাস কম্পানির সমস্যা সমাধানে তিনদিন সময় দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । আজ গ্যাস কম্পানির মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক, পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক ও পুলিশ কমিশনার আলোচনায় বসেন । এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা তথা আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ লক্ষ্মণ ঠাকুর । আজ দু'পক্ষের বৈঠকে কোনও রফাসূত্র বের হয়নি । কম্পানি নিজের অবস্থানে অনড় থাকার জন্যই আলোচনা এগোয়নি বলে সূত্র মারফত জানা গেছে । কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ডেট লাইন অনুযায়ী কাজ হল না । GEECL-এ 29 জন শ্রমিককে কাজ থেকে বরখাস্ত করা এবং কর্মদিবস বাড়ানো নিয়ে দীর্ঘদিনের আন্দোলন করছে তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়ন । আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ লক্ষ্মণ ঠাকুরের নেতৃত্বে শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন । তাঁদের দাবি বরখাস্ত হওয়া ২৯ জন শ্রমিককে কাজে পুনর্বহাল করতে হবে এবং ন্যূনতম ২৬ দিন কর্মদিবস করতে হবে । দুটি ক্ষেত্রেই কম্পানি রাজি নয় ।
দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠক এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মলয় ঘটক, জেলাশাসক এবং পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আলোচনার মাধ্যমে তিনদিনের মধ্যে সমাধান সূত্র বের করতে। আজ আসানসোল সার্কিট হাউজ়ে এই নিয়ে দু'পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করা হয় । বৈঠকে কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধি ছাড়াও ছিলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠী, পুলিশ কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন । ভিতরে যখন বৈঠক চলছে বাইরে অপেক্ষারত কাজ হারানো শ্রমিকরা । বৈঠক শেষে নিরাশ হয়েই বেরিয়ে এলেন মেয়র পারিষদ তথা এই আন্দোলনের নেতা লক্ষ্মণ ঠাকুর । তাঁকে দেখেই শ্রমিকরা ভেঙে পড়েন । তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, "আরে চিন্তা করছিস কেন অ্যাতো ! এই লড়াই তো একদিনের নয়,,ঘাবড়ে যাচ্ছিস কেন অ্যাতো?" লক্ষ্মণ ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, " বিষয়টি আরও উচ্চ লেভেলে যাচ্ছে । কম্পানি অনড় আছে ।" মন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, "একটা মিটিংয়ে কী সমাধান হয়? যত দ্রুত এটা মিটে যায় আমরা চেষ্টা করছি।"