ETV Bharat / city

টুটুলকে খুন করেছি, থানায় গিয়ে স্বীকারোক্তি যুবকের - murder

গতরাতে বর্ধমানের আলমগঞ্জের একটি রাইস মিলের সামনে এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরই এক সহকর্মী ৷ আক্রান্ত যুবকের নাম টুটুল মণ্ডল (20) ৷ সজল (টুটুলের সহকর্মী) পুলিশে খবর দেন ৷ বর্ধমান থানার পুলিশ টুটুলকে উদ্ধার করে ৷ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ আজ সকাল হতেই বর্ধমান থানায় গিয়ে বিকাশ গড়াই নামে এক যুবক জানান তিনিই টুটুলকে খুন করেছেন ৷

টুটুল মণ্ডল
author img

By

Published : Oct 10, 2019, 5:21 PM IST

বর্ধমান, 10 অক্টোবর : সকাল সকাল বর্ধমান থানায় গিয়ে এক যুবকের স্বীকারোক্তি "আমি টুটুলকে খুন করেছি ৷ " শুনে প্রথমে ধন্দে পড়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা ৷ পরে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্পষ্ট হয় বিষয়টি ৷

গতরাতে বর্ধমানের আলমগঞ্জের একটি রাইস মিলের সামনে এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরই এক সহকর্মী ৷ আক্রান্ত যুবকের নাম টুটুল মণ্ডল (20) ৷ সজল (টুটুলের সহকর্মী) পুলিশে খবর দেন ৷ বর্ধমান থানার পুলিশ টুটুলকে উদ্ধার করে ৷ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ আজ সকাল হতেই বর্ধমান থানায় গিয়ে বিকাশ গড়াই নামে এক যুবক জানান তিনিই টুটুলকে খুন করেছেন ৷

পুলিশ সূত্র খবর, বিকাশ ও টুটুল দু'জনেরই বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়ার কাতুলী গ্রামে ৷ ছোট থেকেই তারা বন্ধু ৷ বিকাশ আলমগঞ্জের ওই রাইস মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন ৷ দশ মাস আগে তিনিই টুটুলকে ওই রাইস মিলে নিয়ে আসেন । টুটুলও প্রথমে শ্রমিক হিসেবেই কাজ করতেন ৷ কিন্তু লেখাপড়া জানতেন তাই তাঁর পদোন্নতি হয় । তাঁর সুপারভাইজার পদে প্রমোশন হয় । এরপরেই তাঁর সঙ্গে বিকাশের মনোমালিন্য শুরু হয় । এমনকি এই নিয়ে দু'জনের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝামেলা হয় । পুজোতে বাড়ি গেলেও দশমীর দিন টুটুল বর্ধমানের রাইস মিলে ফিরে আসেন ৷ এদিকে পুজোয় পাঁচদিনের জন্য বন্ধ ছিল মিল ৷ তাই গতরাতে টুটুল সহকর্মী সজলের সঙ্গে গল্প করছিলেন ৷ সে সময় তাঁকে ফোন করেন বিকাশ । টুটুল সজলকে জানান তিনি বিকাশের Paytm অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার জন্য যাচ্ছেন ৷ কিন্তু রাতের দিকে সজল টুটুলকে খেতে যাওয়ার ডাকতে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি পড়ে আছেন ৷ মাথা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ৷ এরপরই পুলিশে খবর দেন ৷

পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানান, গতরাতে রাইস মিল থেকে মরণাপন্ন অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল । সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় । ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ । আজ সকালে বিকাশ গড়াই নামে এক যুবক থানায় এসে টুটুলকে খুনের কথা স্বীকার করেন । বিকাশ পুলিশকে জানিয়েছেন রাগের মাথায় মত্ত অবস্থায় তিনি টুটুলকে খুন করেছেন । রাতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য বর্ধমান থানায় গিয়েছিলেন বিকাশ । কিন্তু ভয় পেয়ে ফিরে যান ৷ পরে তাঁর অনুশোচনা হয় ৷ আজ সকালে তাই নিজেই ধরা দেন ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

বর্ধমান, 10 অক্টোবর : সকাল সকাল বর্ধমান থানায় গিয়ে এক যুবকের স্বীকারোক্তি "আমি টুটুলকে খুন করেছি ৷ " শুনে প্রথমে ধন্দে পড়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা ৷ পরে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্পষ্ট হয় বিষয়টি ৷

গতরাতে বর্ধমানের আলমগঞ্জের একটি রাইস মিলের সামনে এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরই এক সহকর্মী ৷ আক্রান্ত যুবকের নাম টুটুল মণ্ডল (20) ৷ সজল (টুটুলের সহকর্মী) পুলিশে খবর দেন ৷ বর্ধমান থানার পুলিশ টুটুলকে উদ্ধার করে ৷ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ আজ সকাল হতেই বর্ধমান থানায় গিয়ে বিকাশ গড়াই নামে এক যুবক জানান তিনিই টুটুলকে খুন করেছেন ৷

পুলিশ সূত্র খবর, বিকাশ ও টুটুল দু'জনেরই বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়ার কাতুলী গ্রামে ৷ ছোট থেকেই তারা বন্ধু ৷ বিকাশ আলমগঞ্জের ওই রাইস মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন ৷ দশ মাস আগে তিনিই টুটুলকে ওই রাইস মিলে নিয়ে আসেন । টুটুলও প্রথমে শ্রমিক হিসেবেই কাজ করতেন ৷ কিন্তু লেখাপড়া জানতেন তাই তাঁর পদোন্নতি হয় । তাঁর সুপারভাইজার পদে প্রমোশন হয় । এরপরেই তাঁর সঙ্গে বিকাশের মনোমালিন্য শুরু হয় । এমনকি এই নিয়ে দু'জনের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝামেলা হয় । পুজোতে বাড়ি গেলেও দশমীর দিন টুটুল বর্ধমানের রাইস মিলে ফিরে আসেন ৷ এদিকে পুজোয় পাঁচদিনের জন্য বন্ধ ছিল মিল ৷ তাই গতরাতে টুটুল সহকর্মী সজলের সঙ্গে গল্প করছিলেন ৷ সে সময় তাঁকে ফোন করেন বিকাশ । টুটুল সজলকে জানান তিনি বিকাশের Paytm অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার জন্য যাচ্ছেন ৷ কিন্তু রাতের দিকে সজল টুটুলকে খেতে যাওয়ার ডাকতে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি পড়ে আছেন ৷ মাথা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ৷ এরপরই পুলিশে খবর দেন ৷

পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানান, গতরাতে রাইস মিল থেকে মরণাপন্ন অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল । সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় । ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ । আজ সকালে বিকাশ গড়াই নামে এক যুবক থানায় এসে টুটুলকে খুনের কথা স্বীকার করেন । বিকাশ পুলিশকে জানিয়েছেন রাগের মাথায় মত্ত অবস্থায় তিনি টুটুলকে খুন করেছেন । রাতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য বর্ধমান থানায় গিয়েছিলেন বিকাশ । কিন্তু ভয় পেয়ে ফিরে যান ৷ পরে তাঁর অনুশোচনা হয় ৷ আজ সকালে তাই নিজেই ধরা দেন ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

Intro:আমিই টুটুলকে খুন করেছি থানায় গিয়ে স্বীকারোক্তি বিকাশের

পুলক যশ, বর্ধমান

সবে সকাল হয়েছে। বর্ধমান থানার পুলিশ অফিসাররা নিজেদের কাজে ব্যস্ত। সটান এক যুবক থানায় ঢুকে পড়ে। তারপরেই কর্তব্যরত পুলিশের কাছে স্বীকার করে আমি টুটুলকে খুন করেছি।

গতকাল রাতে বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জের একটি রাইস মিলের সামনে এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তার নাম টুটুল মন্ডল (২০)। এরপরই পুলিশ খুনির খোঁজে তল্লাশিতে নামে। আজ সকাল হতেই বর্ধমান থানায় গিয়ে নিজেই ধরা দেয় অভিযুক্ত যুবক বিকাশ গড়াই।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বিকাশ এবং টুটুল দুজনেরই বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়ার কাতুলী গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। বিকাশ আলমগঞ্জের ওই রাইস মিলে শ্রমিক পদে কাজ করতে আসে। মাস দশেক আগে সে তার বন্ধু টুটুলকে এই রাইস মিলে নিয়ে আসে। টুটুলও শ্রমিক পদে কাজ করতে থাকে। কিন্তু যেহেতু টুটুল লেখাপড়া জানতো তাই তার পদোন্নতি হয়। সে সুপারভাইজার পদে প্রমোশন দেওয়া হয়। এর পরেই টুটুলের সঙ্গে বিকাশের মনোমালিন্য শুরু হয়। বিকাশ তার ঘনিষ্ঠ মহলেও বলাবলি শুরু করে যে তার হাত ধরে কাজ করতে এসে আজ তার উপরেই ছড়ি ঘোরাচ্ছে টুটুল। এমনকি এটা নিয়ে টুটুলের সঙ্গে বিকাশের বেশ কয়েকবার গন্ডগোল হয়। দুর্গাপুজোর নবমীর দিনে টুটুল গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল। দশমীর দিনে সে রাইস মিলে ফিরে চলে আসে।এদিকে পুজোয় পাঁচদিন মিল বন্ধ থাকায় একাদশী দিন রাতে আটটার সময় টুটুল রাইস মিলের অপর এক কর্মী সজলের সঙ্গে গল্প করছিল সেই সময় তাকে ফোন করে বিকাশ। টুটুল সজলকে জানায় সে বিকাশের পেটিএমের অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার জন্য যাচ্ছে। রাতের দিকে সজল যখন টুটুলকে খেতে যাওয়ার ডাকতে যায় তখন সে দেখে মাথা ফাটা গলাকাটা অবস্থায় টুটুল ছটফট করছে। বর্ধমান থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতেই মৃত্যু হয় টুটুলের। এরপরেই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। এদিকে সকাল হতেই বর্ধমান থানায় গিয়ে হাজির হয়ে টুটুলকে খুনের কথা স্বীকার করে বিকাশ।
পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় বলেন গতকাল রাতে রাইসমিল থেকে মরণাপন্ন অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করে। আজ সকালে বিকাশ গড়াই নামে এক যুবক থানায় হাজির হয়ে টুটুলকে খুনের কথা স্বীকার করে। ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছে প্রতিহিংসাবশত রাগের মাথায় মদ্যপ অবস্থায় সে টুটুলকে খুন করেছে। রাতে পুলিশের কাছে ধরা দেওয়ার জন্য বর্ধমান থানায় গিয়েছিল বিকাশ। কিন্তু ভয় পেয়ে গিয়ে সে আবার ফিরে চলে যায়। পরে তার অনুশোচনার হওয়ায় সে সকালে গিয়ে নিজে ধরা দেয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।Body:আমিই টুটুলকে Conclusion:খুন করেছি স্বীকারোক্তি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.