মঙ্গলকোট, 2 মার্চ : যুবতিকে কুপিয়ে খুন করা হল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে ৷ মৃতার নাম রেজিনা বেগম (32)। অভিযোগ, পণের দাবিতে তাঁকে খুন করে শওহরসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ আজ সকালে নিজের বাড়ি থেকেই যুবতির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
মৃতার পরিবারের তরফে জানা গেছে, বছর দশেক আগে রেজিনার সঙ্গে শাহ মিরাজ হোসেনের নিকাহ হয় । রেজিনার আব্বার বাড়ি ভাতারের কালটিকুড়ি গ্রামে । নিকাহের পর মঙ্গলকোটের মাহাত্তুবাপুরে শ্বশুরবাড়িতে শওহর শাহ মিরাজ হোসেনের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন রেজিনা । ওই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে । মিরাজ পেশায় কলকারখানার শ্রমিক । রেজিনার আব্বার বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, নিকাহের সময় পণ দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু, তারপরও বাড়তি পণ চেয়ে রেজিনার উপর অত্যাচার চালাতে শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন । মেয়ের সুখ-শান্তির কথা ভেবে বার চারেক মিরাজকে টাকাও দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু, তারপরও রেজিনার উপর অত্যাচার কমেনি বলে অভিযোগ ৷ এলাকার লোকজন ও রেজিনার আব্বার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রেজিনাকে খুন করেছে ৷
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রেজিনার আব্বার বাড়ির সদস্যরা মিরাজের বাড়ি আসেন । এসে দেখেন, ফাঁকা বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাঁদের মেয়ে ৷ দেহ উদ্ধার করে মঙ্গলকোট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় । তবে চিকিৎসকরা রেজিনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
রেজিনার আব্বার বাড়ির তরফে মঙ্গলকোট থানায় রেজিনার শওহরসহ শ্বশুরবাড়ির কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।