বর্ধমান, 18 অগস্ট: ট্রেন ধরার জন্য বর্ধমান স্টেশনে বসেছিলেন এক স্কুল শিক্ষক (Teacher dies in accident while catching train at Burdwan station) । তারপর চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে তিনি ট্রেনের নিচে পড়ে যান । তাঁর পা কেটে যায় । তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয় । সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় ।
অভিযোগ, হাসপাতালে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রাখা হয় । ফলে চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলেই অভিযোগ উঠেছে । মৃত শিক্ষকের নাম অলোক ভট্টাচার্য (56)। তাঁর বাড়ি রায়নার মেড়াল গ্রামে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের রেলের স্কুলের শিক্ষক ছিলেন অলোক ভট্টাচার্য । এদিন তিনি বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য বসেছিলেন । সেই সময় চলন্ত ট্রেনে তিনি ওঠার চেষ্টা করেন । অসাবধানবশত তিনি ট্রেনের তলায় পড়ে যান । তাঁর পা কেটে যায় । গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয় । সেখানে তাঁকে চিকিৎসা না করিয়ে ঘন্টা খানেকের বেশি সময় ধরে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ । এরপরেই তাঁর মৃত্যু হয় ।
বর্ধমান হাসপাতালে দাঁড়িয়ে অলোক ভট্টাচার্যের পরিচিত প্রতীক বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, "তিনি স্টেশনে বসেছিলেন । সেই সময় ট্রেন ঢুকছিল প্ল্যাটফর্মে । সেই রানিং ট্রেনে উঠতে গিয়ে ট্রেনের তলায় পড়ে যান । অলোক আসানসোলে একটা রেলের স্কুলে শিক্ষকতা করেন । রেলপুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে । কিন্তু চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে । রেলের এমারজেন্সিতে প্রায় এক ঘন্টার বেশি সময় ফেলে রাখা হয় অলোককে । এরপরেই তাঁর মৃত্যু হয় ।"
আরও পড়ুন: শিক্ষারত্ন পেলেও মেলেনি পেনশন, অবসাদে আত্মঘাতী হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক
অন্যদিকে, মেমারি স্টেশনে ট্রেন ধরতে গিয়ে রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় শুকুর শেখের । এদিন তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রেল লাইন পারাপার করার সময় মালগাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারলে তাঁর মৃত্যু হয় ।