ভাতার, 7 জুলাই : পার হয়ে গিয়েছে দশ দশটা বছর ! শত আবেদনেও কাজ হয়নি ৷ ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিতেন নেতারা ৷ তারপর ভোট চলে যেতেইনেতাদের স্মৃতি মলিন হত ৷ পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ এই পঞ্চায়েতের বেলডাঙা গ্রাম ৷ সেকানকার মানুষজন দীর্ঘ 10 বছর বহু কষ্ট করে যাতায়াত করছে । আশাছিল, গ্রামপঞ্চায়েতের উদ্যোগে হয়ত তাদের গ্রামের রাস্তা ঢালাই রাস্তায় পরিণত হবে । কিন্তুদশ বছরেও কেউ কথা রাখেনি ৷ তাই আর কোনও প্রত্যাশা নয় ৷ আপনা হাত-ই জগন্নাথ ৷ অসাধ্যসাধন করে গ্রামের আজ প্রত্যেকেই "বাহুবলী" ৷
এবছর অনেক আগেই এসেছে বর্ষা। প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে ৷ গ্রামের রাস্তার অবস্থাবেহাল। তাই আর কোনও সরকারি উদ্যোগে ভরসা না করে নিজেরাই নেমে পড়ল রাস্তা তৈরিতে ৷গ্রামের মানুষ চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কারের এগিয়ে এল । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ 7 বছর ধরে তাদের গ্রামে 100 দিনের কাজ হয়নি। 2013 সালে মাত্র 14 দিন কাজ হয়েছিল ৷ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর আস্থা হারিয়ে নিজেরাই চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কারে এগিয়ে এলেন।
গ্রামের বাসিন্দা ছোট্টু প্রমাণিক বলেন, "আমরা আমাদের গ্রামের রাস্তা পাকা করারজন্য গ্রাম পঞ্চায়েত , ব্লক অফিস ও বিধায়ক সাহেবকে জানিয়েছিলাম ৷ কোনও ফল হয়নি । তাই অবশেষে না থাকতে পেরেআমরা নিজেদের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার করতে শুরু করলাম। 2010 সালে একবার রাস্তায় মোরাম দেওয়াহয়েছিল ৷ তারপর থেকে গ্রামের রাস্তায় আর কোনও কাজ হয়নি। এর আগেও আমরাসংবাদমাধ্যমে দেখেছিলাম ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের উদ্যোগেকাজ হচ্ছে। তাই গ্রামের মানুষজন ঠিক করে আমরাও নিজেদের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার করবতাই আজ রাস্তা সংস্কার হচ্ছে।"
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পরেশ চক্রবর্তী জানান, "ওইগ্রামের রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ শুনেছি। কিন্তু গ্রামের মানুষজন ও পঞ্চায়েতসদস্য আমাকে বলেছিল গ্রামের মাঠে যাওয়ার জন্য তাদের একটি ব্রিজ করে দিতে হবে। ।কিন্তু পরবর্তীতে গ্রামের মানুষজন বলে গ্রামের রাস্তা সংস্কার করতে হবে ৷ কিন্তুনতুন করে কোনও স্কিম না এলে গ্রামের রাস্তা করা যাবে না ।" ভাতারেপঞ্চায়েতের উপর আস্থা হারিয়ে গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে নিজেরাই সংস্কার করছে রাস্তা।