বর্ধমান, 2 জানুয়ারি : কুলতলির পর গোসাবা ৷ লোকালয়ে দক্ষিণরায়ের (Tiger in Sundarbans) আগমনে থরহরিকম্প বাসিন্দারা ৷ রয়্যাল বেঙ্গলের থাবায় জখম বনকর্মী ৷ বাঘকে জঙ্গলে ফেরাতে গিয়ে নাস্তানাবুদ বন দফতর ৷ এই প্রেক্ষাপটে বনের বাঘকে বসত এলাকায় ঢোকা থেকে বিরত রাখতে চায় বন দফতর ৷ তার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা ৷ স্থির হয়েছে, সুন্দরবনের জঙ্গলগুলিকে ঘিরে ফেলা হবে লোহার জালে (Iron Net boundary for jungle in Sundarbans) ৷ যাতে বাঘমামা আর লোকালয়ে ঢোকার সুযোগ না পায় ৷ রবিবার বর্ধমানে একটি অনুষ্ঠানে এসে একথা বলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ৷
আরও পড়ুন : Sundarbans Tiger Attack : লাঠিপেটা করে নৌকা থেকে বাঘ তাড়ালেন তিন মৎস্যজীবী
বনমন্ত্রীর দাবি, মূলত সঙ্গী বা সঙ্গীনীর খোঁজেই জঙ্গলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাঘগুলি ৷ মাঝখানে লোকালয় থাকায় ঢুকে পড়ছে সেখানে ৷ এর ফলে বাঘের মুখোমুখি পড়ে যাচ্ছে মানুষ ৷ সম্প্রতি কুলতলি বা গোসাবার ঘটনায় বাঘ প্রথমেই মানুষকে আক্রমণ করেছে, বা কাউকে মারার চেষ্টা করেছে, এমন কিছু হয়নি ৷ তবে মানুষ-বন্যপ্রাণ সংঘাত হলে যে কোনও সময়েই অঘটন ঘটতে পারে ৷ আক্রান্ত হতে পারে দু’পক্ষই ৷ এই অবস্থায় মানুষ এবং বাঘের বসত এলাকার মাঝে লোহার জালের পাঁচিল তুলে এমন সংঘাত এড়াতে চাইছে বন দফতর ৷
আরও পড়ুন : Tiger seen in Sundarbans : বর্ষবরণের আগে ফের বাঘের দর্শন মিলল সুন্দরবনে
এদিন বনমন্ত্রী জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্য়েই আলোচনা শুরু হয়েছে ৷ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে ৷ প্রসঙ্গত, এর আগেও সুন্দরবনের গ্রামগুলিতে বাঘের আনাগোনা ঠেকাতে নাইলনের জাল দিয়ে জঙ্গল ঘেরা হয়েছে ৷ তাতে ফলও মিলেছে হাতেনাতে ৷ কিন্তু, কুলতলি ও গোসাবার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে ৷ তাছাড়া, গত শুক্রবার সুন্দরবনের খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের মুখে পড়েন তিন মৎস্যজীবী ৷ অসীম সাহসে বাঘকে পিটিয়ে জঙ্গলে ফেরত পাঠালেও এই ঘটনায় আহত হন দু’জন ৷ তাঁর মধ্যে মারা যান একজন ৷