বড়শুল, 4 অক্টোবর: 'তমসো মা জ্যোতির্গময়' অর্থাৎ অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরা । রিপু মানুষের আদিম প্রবৃত্তি । সভ্যতা সেই সংস্কৃতি, যা দেবত্বে পৌঁছে দেয় । কিন্তু মানুষ আদৌ তা পেরেছেন কি না, এবারের শারদীয়ায় এই প্রশ্ন নিয়েই থিমে উঠে এসেছে বড়শুল ইয়ং মেন অ্যাসোসিয়েশনের ।
শিল্পী অতনু চট্টোপাধ্যায়ের হাতের ছোঁয়া রয়েছে মণ্ডপে ৷ তিনি বলেন, ''কীভাবে মানুষ নিজের অজান্তে অন্ধকার জগতে পা বাড়ায় । সেই অন্ধকার জগতের কোনও কুসঙ্গে মেতে ওঠে তারা । ভুলে যায় ভালো খারাপের ভেদাভেদ । ক্ষণিকের আনন্দের জন্য একের পর এক পাপ কাজ তারা করে চলে । সে অন্ধকারকেই তারা নিজেদের জগত বলে মনে করে । এভাবে চলতে চলতে তারা জীবনের শেষ প্রান্তে চলে আসে ।''
তিনি বলেন, অন্ধকার জীবনে শেষ বয়সে যখন আলোর দিশা পায় কোনও কুসঙ্গে পড়া মানুষ ৷ তখন তাদের শৈশব, কৈশোর, যৌবন সব শেষ হয়ে গেছে । কুসঙ্গে পড়া কোনও মানুষ যদি কোনভাবে অন্ধকার থেকে আলোয়, অর্থাৎ অশুভ থেকে শুভ শক্তিতে ফেরে, তাহলে হয়তো জীবনটা অন্য ভাবে কাটাতে পারে । সেই ভাবনা থেকেই এই মণ্ডপ ৷
মণ্ডপে ঢোকার পর দর্শনার্থীরা প্রথমে হারিয়ে যাবেন অন্ধকার জগতে । পরমুহূর্তেই টের পাবেন অন্ধকার থেকে আলোয় এলে কতটা আনন্দ হতে পারে ৷