বহরমপুর, 11 নভেম্বর : দলীয় কোন্দলের জেরে জখম হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ৷ বাদ যাননি বিধায়কও ৷ মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা ৷ তীব্র নিন্দা করেছে ঘটনার ৷ রাজ্যের মন্ত্রীর উপর হামলার এই ঘটনায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) সঙ্গেই এক সুরে কথা বলেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরিশঙ্কর ঘোষও । দু'জনেই প্রশাসনের ভূমিকা ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ।
পূর্ব বর্ধমানে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদের একই পরিবারের 5 সদস্যের ৷ গতকাল মৃতদের পারিবারের সঙ্গে দেখা করে আর্থিক সাহায্যের 2 লক্ষ টাকা তুলে দিতে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা, এলাকার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও অন্যান্য তৃণমূল নেতারা । সেখানে গিয়েই গোষ্ঠীকোন্দলের মুখে পড়তে হয় তাঁদের ৷ মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় ৷ শারীরিক ভাবেও আহত হন তিনি ৷
ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, "নিজেদের মধ্যে মারামারি নতুন কিছু নয় । আমাদের বলার কিছু নেই । পুলিশ প্রশাসন সব জানে । দু'টো গোষ্ঠী তৎপর । নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব পুলিশের । সারা বাংলার মতো মুর্শিদাবাদেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঝলক দেখা যাচ্ছে । এটা চলতেই থাকবে ।"
অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরিশঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, "পুলিশ কোথায় ছিল । এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল সারা বাংলাজুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনোখুনি হচ্ছে আর দায় চাপানো হচ্ছে বিজেপির উপর । তৃণমূল নানা দল-উপদলে বিভক্ত । সবার লক্ষ্য উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকার ভাগ নেওয়া ।"
আরও পড়ুন : TMC : তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে আহত রাজ্যের মন্ত্রী, রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদের বড়ঞা