আসানসোল, 3 মার্চ: ভোটের দিন ঘোষণা হতেই তৎপরতা শুরু করে দিল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট । বিভিন্ন জেলা এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের সীমানা অঞ্চলগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হল । সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে । উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও বোমা । পুলিশ কমিশনারের দাবি, বহিরাগত কোনও দুস্কৃতি ভোটের সময় জেলায় তাণ্ডব করতে পারবে না, এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আগামী 26 এপ্রিল পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভোটগ্রহণ । তার আগে নিরাপত্তায় কোনও ফাঁকফোঁকড় রাখতে চাইছে না পুলিশ। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আশপাশে বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমানা রয়েছে । বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ ওঠে, এই সমস্ত অঞ্চল দিয়ে বহিরাগতরা এই জেলায় ঢুকে পড়ে এবং তারাই কার্যত ভোটের সন্ত্রাস চালায় । বাম আমল থেকেই চলে আসা এই অভিযোগে এ বার রাশ টানতে চলেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ।
আরও পড়ুন: রাজ্যে আসছে আরও 650 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন জানিয়েছেন, ''বিভিন্ন জেলার সঙ্গে আমরা ইতিমধ্যেই সমন্বয় বৈঠক সেরে ফেলেছি । ঝাড়খণ্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে । সীমান্ত এলাকায় নাকা জোরদার করা হবে । পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে প্রত্যেকটি সীমানা এলাকায় । অন্যান্য জেলা এবং রাজ্যে ঢোকার জন্য এই জেলায় মোট 43 পয়েন্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার । সেগুলো একদিকে যেমন পায়ে হাঁটা পথ রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে অজয়, বরাকর ও দামোদর নদী । সেই নদীগুলি দিয়েও ভিন জেলা ও বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ এ জেলায় প্রবেশ করতে পারে । আর সেই কারণে নদীঘাট গুলিতেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে । কোনওভাবেই বহিরাগতদের এই জেলায় ঢুকতে দেওয়া হবে না । বিনা কারণে কোনও গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না ভোটের সময় । যে সব গাড়ি ঢুকছে বা বেরোচ্ছে সেগুলোর উপর নজর রাখা হচ্ছে । জেলায় মোট 465 জন সন্দেহজনক ব্যক্তি রয়েছে । যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে । এখনও পর্যন্ত 32টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে । 58টি তাজা বোমা আটক করা হয়েছে ।'' আগামী দিনেও বেআইনি অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করতে আরও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুকেশ কুমার জৈন ।