আসানসোল, 16 জুলাই: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Scam Case) ধৃত ইসিএল (ECL)-এর প্রাক্তন জেনারেল ম্য়ানেজার সুভাষ মুখোপাধ্য়ায়কে তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে (Three Days CBI Custody) পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত ৷ শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের সিবিআই আদালতে তাঁকে পেশ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (Central Bureau of Investigation) ৷ সিবিআই-এর তরফে বলা হয়, সুভাষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কয়লা পাচার সংক্রান্ত অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে ৷ তাতে তদন্তের গতি বাড়বে ৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি মেনে তাই ধৃতের তিনদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক ৷
প্রসঙ্গত, আগেই এই ঘটনায় ইসিএল-এর সঙ্গে যুক্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI) ৷ ধৃতদের মধ্যে সংস্থার একাধিক প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন ৷ শুক্রবার সেই তালিকায় আরও একজনের নাম যুক্ত হয় ৷ উল্লেখ্য, শুক্রবারই কলকাতায় সিবিআই-এর দফতর নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাবাদের জন্য তলব করা হয় সুভাষ মুখোপাধ্য়ায়কে ৷ শুরু হয় ম্য়ারাথন জেরা ৷ শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ তাদের দাবি, একাধিক প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি সুভাষ ৷ তাঁর বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতিও পাওয়া গিয়েছে ৷ সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷
আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর জালে ইসিএল-এর আরও এক প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত অণ্ডাল এবং কাজোড়া এলাকা একটা সময় কার্যত বেআইনি কয়লা উত্তোলনের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল ৷ কখনও বেআইনি খনি খুঁড়ে, আবার কখনও ইসিএল-এর খনি থেকেই দেদার কয়লা চুরি চলত ৷ এর সঙ্গে ইসিএল-এর কর্মী ও আধিকারিকদের একাংশ জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ৷ মোটা টাকা কমিশনের ভিত্তিতে তাঁরা এই অনিয়মে মদত দিতেন বলে দাবি সূত্রের ৷
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ বছর ধরে ইসিএল-এর জেনারেল ম্য়ানেজার পদে আসীন ছিলেন সুভাষ মুখোপাধ্য়ায় ৷ সেই পদাধিকার বলেই কয়লা পাচারে মদত দিতেন তিনি ৷ 2020 সালে সুভাষের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই ৷ সেই অভিযানে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয় ৷ পরবর্তীতে একাধিকবার সিবিআই-এর জেরার মুখে পড়তে হয়েছে সুভাষকে ৷ শেষমেশ শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷