ETV Bharat / city

পা নেই, হাত অকেজো ; SSC পেতে মরিয়া যুবতি - পা নেই ,হাত অকেজো, তবুও স্বপ্নের ঘোড়সওয়ার ফাল্গুনি

জন্মগতভাবে দুটি পা নেই । হাত থাকলেও তা প্রায় অকেজো । আঙুল থাকলেও না থাকার সমান । মায়ের কোলে চেপে ১০টি বছর স্কুলে । শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে ফাল্গুনী । SSC পরীক্ষা দিয়ে সেই যোগ্যতা অর্জন করতে চান তিনি ।

JAMURIA HANDICAP GIRL
স্বপ্নের ঘোড়সওয়ার ফাল্গুনি
author img

By

Published : Jan 9, 2020, 9:14 AM IST

Updated : Jan 14, 2020, 6:12 PM IST

আসানসোল, 9 জানুয়ারি : ইচ্ছাশক্তি থাকলেও প্রতিকূলতা জয় করা সম্ভব । তেমনই এক হার না মানা যুবতি ফাল্গুনী মণ্ডল । জন্মগতভাবে দুটি পা নেই । হাত থাকলেও তা প্রায় অকেজো । আঙুল থাকলেও না থাকার সমান । কিন্তু চোখে রয়েছে স্বপ্ন ৷ সমাজ গড়ার কারিগর শিক্ষক হতে চান। SSC পরীক্ষায় এবার বসবেন তিনি ।

শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন ফাল্গুনী । SSC পরীক্ষা দিয়ে সেই যোগ্যতা অর্জন করতে চান তিনি । তাই D.EL.ED- ট্রেনিং করছেন । মায়ের কোলে চেপে ১০টি বছর স্কুলে । কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করে অবশেষে SSC পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক জন্ম থেকে বিশেষভাবে সক্ষম এই শিক্ষার্থী । অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই বিভোর লড়াকু যুবতি ফাল্গুনী । হাত দিয়ে সেই ভাবে লিখতে পারেন না ফাল্গুনী । তাই পরীক্ষা হলে অণুলেখকের সাহায্য নিতে হয় তাঁকে । ফাল্গুনীকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মায়ের সাহায্যে চলতে হয় ।

ফাল্গুনী মণ্ডল ছোটো থেকেই মায়ের কোলে চেপে প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল । এখনও কলেজে যেতে হয় মায়ের কোলে চেপেই । ফাল্গুনী মণ্ডল বলেন "স্কুল পৌছে দিতে বাবা অথবা বোন । আমি নিজে যেতে পারতাম না । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মায়ের সাহায্যে আমাকে স্কুলে যেতে হয় ৷ মায়ের কোলে চেপেই স্কুল, কলেজ ও টিউশন । অনেক সময় খারাপ লাগে কিন্তু নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে কারণ অন্যান্য মেয়েদের মতো আমি স্বাভাবিক নই। পড়াশোনার ক্ষেত্রে অসুবিধা শুধুমাত্র লেখার জন্য । বেশি লেখা লিখতে পারি না কারণ হাতে ব্যথা করে । তাই পরীক্ষা হলে রাইটার নিতে হয় । মা বাবা ছাড়া আমার অস্তিত্ব নেই ।একটা ভালো চাকরি করব আর বাবা-মায়ের সঙ্গে সারা জীবন থাকব।''

স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে অবিচল ফাল্গুনী

ফাল্গুনীর মা সুচিত্রা মণ্ডল জানান " আমার মেয়ে জন্ম থেকে ১০০ শতাংশ প্রতিবন্ধী । মেয়েকে কোলে নিয়ে স্কুল ও টিউশন করিয়েছি । এখনও কোলে করেই কলেজে নিয়ে যেতে হয় মেয়েকে । আমাকে ছাড়া সে কিছুই কাজ করতে পারে না ।" তিনি আরও বলেন, "আমরা অতি দরিদ্র, আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নেই ! মেয়ে প্রতিবন্ধী বলে তাঁকে বাড়িতে ফেলে রাখিনি । আরও পাঁচটি মেয়ের মতোই স্কুল-কলেজের পড়াশোনা করাচ্ছি ।"

আসানসোল, 9 জানুয়ারি : ইচ্ছাশক্তি থাকলেও প্রতিকূলতা জয় করা সম্ভব । তেমনই এক হার না মানা যুবতি ফাল্গুনী মণ্ডল । জন্মগতভাবে দুটি পা নেই । হাত থাকলেও তা প্রায় অকেজো । আঙুল থাকলেও না থাকার সমান । কিন্তু চোখে রয়েছে স্বপ্ন ৷ সমাজ গড়ার কারিগর শিক্ষক হতে চান। SSC পরীক্ষায় এবার বসবেন তিনি ।

শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন ফাল্গুনী । SSC পরীক্ষা দিয়ে সেই যোগ্যতা অর্জন করতে চান তিনি । তাই D.EL.ED- ট্রেনিং করছেন । মায়ের কোলে চেপে ১০টি বছর স্কুলে । কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করে অবশেষে SSC পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক জন্ম থেকে বিশেষভাবে সক্ষম এই শিক্ষার্থী । অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই বিভোর লড়াকু যুবতি ফাল্গুনী । হাত দিয়ে সেই ভাবে লিখতে পারেন না ফাল্গুনী । তাই পরীক্ষা হলে অণুলেখকের সাহায্য নিতে হয় তাঁকে । ফাল্গুনীকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মায়ের সাহায্যে চলতে হয় ।

ফাল্গুনী মণ্ডল ছোটো থেকেই মায়ের কোলে চেপে প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল । এখনও কলেজে যেতে হয় মায়ের কোলে চেপেই । ফাল্গুনী মণ্ডল বলেন "স্কুল পৌছে দিতে বাবা অথবা বোন । আমি নিজে যেতে পারতাম না । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মায়ের সাহায্যে আমাকে স্কুলে যেতে হয় ৷ মায়ের কোলে চেপেই স্কুল, কলেজ ও টিউশন । অনেক সময় খারাপ লাগে কিন্তু নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে কারণ অন্যান্য মেয়েদের মতো আমি স্বাভাবিক নই। পড়াশোনার ক্ষেত্রে অসুবিধা শুধুমাত্র লেখার জন্য । বেশি লেখা লিখতে পারি না কারণ হাতে ব্যথা করে । তাই পরীক্ষা হলে রাইটার নিতে হয় । মা বাবা ছাড়া আমার অস্তিত্ব নেই ।একটা ভালো চাকরি করব আর বাবা-মায়ের সঙ্গে সারা জীবন থাকব।''

স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে অবিচল ফাল্গুনী

ফাল্গুনীর মা সুচিত্রা মণ্ডল জানান " আমার মেয়ে জন্ম থেকে ১০০ শতাংশ প্রতিবন্ধী । মেয়েকে কোলে নিয়ে স্কুল ও টিউশন করিয়েছি । এখনও কোলে করেই কলেজে নিয়ে যেতে হয় মেয়েকে । আমাকে ছাড়া সে কিছুই কাজ করতে পারে না ।" তিনি আরও বলেন, "আমরা অতি দরিদ্র, আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নেই ! মেয়ে প্রতিবন্ধী বলে তাঁকে বাড়িতে ফেলে রাখিনি । আরও পাঁচটি মেয়ের মতোই স্কুল-কলেজের পড়াশোনা করাচ্ছি ।"

Intro:প্রতিকূলতার জোয়াল ঘাড়ে নিয়েই জন্ম ছিলেন জামুড়িয়ার ফাল্গুনী মন্ডল ! তবু প্রতিবন্ধীকতা চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি ।শারীরিক প্রতিবন্ধী ফাল্গুনীর জন্মগত ভাবে দুটি পা নেই , হাত থাকলেও তা প্রায় অকেজো , আঙ্গুল থাকলেও না পারার সমান । কিন্তু চোখে রয়েছে স্বপ্ন ! সমাজ গড়ার কারিগর শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন। SSC পরীক্ষা দিয়ে সেই যোগ্যতা অর্জন করতে চাই জামুরিয়ার প্রতিবন্ধী যুবতী ফাল্গুনী মন্ডল ।তাই D.EL.ED- ট্রেনিং করছে সে । মায়ের কোলে চেপে ১০টি বছর স্কুলে । এরপর কলেজেও মায়ের কোলে চেপে যেতে হচ্ছে তাঁকে । কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করে অবশেষে SSC- পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক এই জন্ম প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী । অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই বিভোর লড়াকু যুবতী ফাল্গুনী ।



জামুরিয়ার বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন জামশোল গ্রামের বাসিন্দা সুচিত্রা মন্ডলের মেয়ে ফাল্গুনী মন্ডল । ফাল্গুনী মন্ডল জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী । পায়ে হাঁটতে পারে না হামাগুড়ি দিয়ে চলতে হয় ফাল্গুনীকে । হাত দিয়ে সেই ভাবে লিখতে পারেনা ফাল্গুনী তাই পরীক্ষা হলে রাইটার নিতে হয় তাঁকে । ফাল্গুনীকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মায়ের সাহায্যে চলতে হয় । ফাল্গুনী মন্ডল ছোট থেকেই মায়ের কোলে চেপে প্রাইমারি স্কুল , হাই স্কুল । এখনও কলেজে যেতে হয় কোলে চেপে ফাল্গুনী মন্ডল কে ।


ফাল্গুনী মন্ডল জানান " ছোটতে স্কুল পৌছে দিতে বাবা অথবা বোন ! আমি নিজে যেতে পারতাম না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মায়ের সাহায্যে আমাকে স্কুলে যেতে হতো । মায়ের কোলে চেপেই স্কুল, কলেজ ও টিউশন । অনেক সময় খারাপ লাগে কিন্তু নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে কারণ অন্যান্য মেয়েদের মতো আমি স্বাভাবিক নয়। পড়াশোনার ক্ষেত্রে অসুবিধা শুধুমাত্র লেখার জন্য । বেশি লেখা লিখতে পারি না কারণ হাতে ব্যথা করে । তাই পরীক্ষা হলে রাইটার নিতে হয় । মা বাবা ছাড়া আমার অস্তিত্ব নেই ! কারণ আমি নিজে হাটতে পারি না মায়ের পায়ের হাঁটতে হয় । আমার স্বপ্ন "একটা ভালো চাকরি করব আর বাবা-মায়ের সঙ্গে সারা জীবন থাকবো।


ফাল্গুনীর মা সুচিত্রা মন্ডল জানান " আমার মেয়ে জন্ম থেকে ১০০ শতাংশ প্রতিবন্ধী । মেয়েকে কোলে নিয়ে স্কুল ও টিউশন করেছি ।এখনো কোলে করেই কলেজে নিয়ে যেতে হয় মেয়েকে । অনেক যানবাহন চলছে তাই যানবাহনের সাহায্যে মেয়েকে কলেজে নিয়ে যাচ্ছি । মেয়ের বয়স বাড়াই কোলে করে আর নিয়ে যেতে পারছিনা কলেজে। আমাকে ছাড়া সে কিছুই কাজ করতে পারেনা ।

আমরা অতি দরিদ্র ,আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নেই ! মেয়ে প্রতিবন্ধী বলে তাকে বাড়িতে ফেলে রাখিনি তাকে আরও পাঁচটি মেয়ের মতোই স্কুল , কলেজের পড়াশোনা করাচ্ছি । যাতে আমার মেয়ে কখনো না ভাবে সে প্রতিবন্ধী বলে তার জন্য কিছুই করিনি ।



Body:.


Conclusion:.
Last Updated : Jan 14, 2020, 6:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.