আসানসোল, 5 সেপ্টেম্বর : "দিওয়ালি, দুর্গাপুজো, ছটপুজোর মতই শিক্ষক দিবস মহাপার্বণ ৷ শুধু তাই নয়, আম্বেদকরের কাছেও এই দিনটির খুব গুরুত্ব ছিল ৷ তাঁর দৃষ্টি ছিল এই দিনটির উপরে ৷ যেমনভাবে আমরা বাবা, মা-কে সম্মান করা বাচ্চাদের শেখাই, তেমনই স্কুলের শিক্ষকদেরও সম্মানিত করা হোক ৷" শিক্ষক দিবস সম্পর্কে এমনই সব তথ্য দিলেন খোদ আসানসোল পৌরনিগমের শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ অঞ্জনা শর্মা ।
5 সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে পালিত হয় শিক্ষক দিবস ৷ দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন (5 সেপ্টেম্বর, 1888) উপলক্ষ্যে এই দিনটিকে বিশেষভাবে পালন করা হয় । শিক্ষক দিবস প্রথম পালিত হয়েছিল 1962 সালে ৷ বি আর আম্বেদকর মারা গেছিলেন 1956 সালের 6 ডিসেম্বর ৷ অর্থাৎ ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যায় আম্বেদকরের সঙ্গে শিক্ষক দিবস পালনের দূরদূরান্তে কোনও সম্পর্ক নেই ৷ তাঁর মৃত্যুর প্রায় 6 বছর বাদে দেশে শিক্ষক দিবস পালন শুরু হয় ৷ স্বাভাবিকভাবের অঞ্জনা শর্মার মন্তব্য নিয়ে হাসাহাসি শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে ।
আসানসোল পৌরনিগম বিগত কয়েকবছর ধরে শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের সম্মানিত করতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে । কেন এই বিশেষ অনুষ্ঠান ? শিক্ষক দিবস আসলে কী ? এরই উত্তরে অঞ্জনা শর্মা বলেন, "শিক্ষক দিবস আমাদের দেশে গুরুজনদের বড় উৎসব ৷ দিওয়ালি, দুর্গাপুজো, ছটপুজোর মতই শিক্ষক দিবস মহাপার্বণ ৷ যা সব বাচ্চারা মিলিতভাবে পালন করে ৷ 365 দিনে এক বছর হয় ৷ 364 তম দিনে শিক্ষকরা এই দিনটার অপেক্ষা করেন যে বাচ্চারা আমাদের সম্মানিত করবে ৷ তাঁরা খুব খুশি হন ৷ এটা নয় যে শিক্ষকদেরই বাচ্চারা গিফট দেয় ৷ শিক্ষকরাও বাচ্চাদের মিষ্টি খাওয়ান ৷ বাচ্চারা সম্মান দেয় তো । তার চেয়ে বেশি শিক্ষকরা সম্মান দেন ৷ তাঁরা সম্মান পেয়ে গর্বিত হন ৷"