আসানসোল, 8 জুলাই: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই-এর প্রাক্তন ডিআইজি কয়েকজন বিএসএফ জওয়ান এবং শুল্ক দফতরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন ৷ সেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বাদ দিয়ে রাজ্য পুলিশের একজন সাধারণ কর্মচারীকে কেন গ্রেফতার করল সিবিআই ? শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের (Asansol) সিবিআই আদালতে (CBI Court) দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন তুললেন সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা ৷ প্রসঙ্গত, এদিনই ছিল সায়গল হোসেনের 14 দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের শেষ দিন ৷
শুক্রবার সায়গল হোসেনকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় ৷ শুনানির পর তাঁকে আরও 14 দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় ৷ উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে থাকাকালীনই সায়গলকে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষীর দায়িত্ব দেওয়া হয় ৷ পরবর্তীতে গরু পাচার কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ সায়গলের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি তৈরিরও অভিযোগ রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: Saigal Hossain: অনুব্রতর দেহরক্ষীর সম্পদে চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের! ডায়েরিতে মিলল প্রভাবশালীদের নাম
সায়গলের আইনজীবীর বক্তব্য, গরু পাচার যাঁদের আটকানোর কথা, সেই বিএসএফ এবং শুল্ক দফতরের কোনও আধিকারিককে সিবিআই গ্রেফতার করছে না ৷ অথচ, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশের এক অতি সাধারণ কর্মীকে গ্রেফতার করা হল ৷ কিন্তু, উত্তরপ্রদেশ, বিহার-সহ অন্য যেসব রাজ্য থেকে গরু পাচারের অভিযোগ উঠেছে, সেখানকার কোনও পুলিশকর্মীকে পাকড়াও করা হয়নি ৷ তাহলে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কেন এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে ? সব মিলিয়ে কার্যত সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সায়গল হোসেনের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা ৷