আসানসোল, 10 জানুয়ারি : জিতেন্দ্র তিওয়ারি ইশু মেটেনি এখনও। শিল্পাঞ্চল জুড়ে নানা জল্পনা লেগেই আছে। এরই মাঝে শিক্ষা সেলের রাজ্য নেতা অশোক রুদ্রকে আসানসোল পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য থেকে অপসারণ করায় সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে অনেকে । তৃণমূল শিক্ষাসেলের নেতারা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। অশোক ঘনিষ্ঠরা লিখছেন, জেলার নেতাদের চৈতন্য হোক।
বাম আমলে শিক্ষক নিয়োগ আন্দোলন দিয়েই রাজ্যে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন অশোক রুদ্র। পরিবর্তনের পর তাঁকে তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজ্য সভাপতি করা হয়। রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন অশোক রুদ্র। শুধু তাই নয়, তাঁর নেতৃত্বে ছাত্র আন্দোলনেও জোয়ার আসে। দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, রাজ্যের প্রায় সব কলেজ সংসদ দখল করেছিল টিএমসিপি। শুধু তাই নয়, আমফানের সময় শিক্ষকদের উজ্জীবিত করে প্রায় 50 লাখ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা করেছিলেন অশোক রুদ্র। ত্রাণ নিয়ে ছুটেছেন গ্রামেগঞ্জে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত কর্মসূূূূচিকে শিল্পাঞ্চল ও জেলায় সফল রূপ দিয়েছেন।
15 অক্টোবর আসানসোল পৌরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন অশোক রুদ্র। তারপর থেকে পৌরনিগম আয়োজিত নিরঞ্জন প্রক্রিয়া বা ছটপুজোয় দামোদর ঘাটে বিশেষ ব্যবস্থাপনা নিজেই দাঁড়িয়ে থেকে করিয়েছেন। বিভিন্ন পৌর পরিষেবার দিকগুলো নিয়েও তিনি সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই অজানা কারণে অশোক রুদ্রকে গতকাল প্রশাসক বোর্ড থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। কী কারণে তাঁকে সরানো হল? তা নিয়ে কেউ মুখ খুলছে না। অশোক রুদ্র নিজেও বিষয়টি নিয়ে জানাতে চাননি। তবে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে অনেকে ।