আসানসোল, 25 মার্চ: দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । এমনকী, লকডাউনের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই কোরোনা পরিস্থিতিতে রক্তদান শিবির হচ্ছে না বললেই চলে ৷ ফলে বর্তমানে রক্তসংকটে ভুগছে আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক । রক্তের এই আকাল মেটাতে অভিনব রক্তদান শিবিরের উদ্যোগ নিল আসানসোলের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ৷ শহরের একাধিক আবাসনে তাঁরা ন্যানো ব্লাডক্যাম্পের আয়োজন করা শুরু করছেন । জেলা ব্লাডব্যাঙ্কের কর্মীরা সেই আবাসনে গিয়ে রক্ত সংগ্রহ করেন । এর ফলে রক্তসংকট অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে হাসপাতাল ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
কোরোনা ভাইরাসের আক্রমণে যখন গোটা দেশ বিপর্যস্ত। দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার ফলে বাড়ির বাইরে বেরোনো যাচ্ছে না। তখন রক্তদান শিবির করাও কার্যত সম্ভব হচ্ছে না । স্বভাবতই রক্তসংকট দেখা দিয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কে । এদিকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল প্রচুর থ্যালাসেমিয়া রোগী । এছাড়াও দুর্ঘটনা আর অস্ত্রোপচার আছে। এই অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে আসানসোলের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই ন্যানো ব্লাডক্যাম্পের ভাবনা । শহরের রাধানগর এলাকার জীবন সুরক্ষা নামের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা আসানসোলের বিভিন্ন আবাসনে গিয়ে মানুষকে কোরোনা পরিস্থিতিতে রক্তের সংকটের কথা বোঝাচ্ছেন ৷ পাশাপাশি বেশ কিছু আবাসনে আয়োজন করা হচ্ছে ন্যানো ব্লাডক্যাম্প । আবাসনের বাসিন্দারা নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকেই ব্লাড ক্যাম্পে রক্ত দান করা শুরু করেছেন।
আজ থেকেই শুরু হয় ন্যানো ব্লাডক্যাম্প। রাধানগর রোডের মনসা পার্ক প্লাজা বহুতল আবাসনে ব্লাডক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় বুধবার । 'জীবন সুরক্ষা'র সম্পাদক অসীম সরকার বলেন, "আমরা আবাসনের বাসিন্দাদের অনুরোধ রাখছি ৷ তাঁরা রাজি হলে সেখানেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছি ৷"
আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কের মেডিকেল অফিসার সঞ্জিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয় । মানুষ যেভাবে এগিয়ে আসছেন তাতে রক্তের আকাল অনেকটা মিটছে।"