আসানসোল,8 ফেব্রুয়ারি : এতদিন তাঁরা থাকতেন অন্দরমহলে । এবার তাঁরাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন । বিকল্প রোজগার করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখলেন । সংসারে স্বামীর পাশেই বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা করলেন । স্বনির্ভর হয়ে আজ খুশি সালমা বিবি, সাইনা বিবিরা । স্কুল ছাত্রী আনিমা পরভিন বা অঞ্জুনা খাতুনরা এখন নিজের পড়ার খরচ নিজেরাই চালাতে পারেন ।
কিন্তু কীভাবেই এক প্রত্যন্ত গ্রামে এই নতুন দিন দেখলেন সংখ্যালঘু মহিলারা ?
আসানসোলের সালানপুর ব্লকের আল্লাডি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বৃন্দাবনী গ্রাম । গ্রামে সংখ্যালঘু দিনমজুর শ্রেণির মানুষের বাস । চাষবাস হয়না । রুক্ষ অঞ্চল । দিনমজুরি করে পুরুষদের পক্ষে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল । দিন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা । স্বামীর একা রোজগারে সংসারে টান পড়ছে দেখে এগিয়ে এসেছেন মহিলারাই । সালানপুর ব্লক অফিসের সহযোগিতায় বৃন্দাবনী গ্রামে গড়ে উঠেছে সংখ্যালঘু মহিলাদের নিয়ে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী । রাজ্য সরকারের আত্মা প্রকল্প দ্বারা এই গোষ্ঠী পরিচালিত হচ্ছে । স্থানীয় এক যুবক আলম আনসারি উদ্যোগ নিয়ে ব্লক অফিসের সহযোগিতায় এই রুক্ষ গ্রামীন এলাকায় এই বিকল্প রোজগারের সুযোগ এনে দিয়েছেন ।
বৃন্দাবনী গ্রামে গড়ে ওঠা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মাশরুম চাষে নিয়োজিত করে বিকল্প রোজগারের পথ বের করেছে ব্লক অফিস । মহিলাদের প্রথমে এই প্রকল্পে মাশরুম চাষের ট্রেনিং দেওয়া হয় । তারপর প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হয় । এখন প্রায় ২৫ জন মহিলা মিলে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী তৈরি করে মাশরুম চাষ করছেন । সেই মাশরুম রুপনারায়নপুর বাজার, ডাবর মোড় বাজার প্রভৃতি এলাকায় বিক্রি হচ্ছে । স্বরোজগারে এখন সংসারেও সচ্ছলতা এসেছে । আগামী দিনে আরও অনেক কিছু করার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা ।