আসানসোল, 26 মে: আসানসোল জেলা হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের এক কর্মী কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসী। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। কিন্তু ওই দোকান ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরো হাসপাতাল চত্বরে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। ওই ব্যক্তির যেখানে বাড়ি সেই এলাকাকেও ঘিরে ফেলা হয়েছে। আশপাশের বাড়ির লোকজনদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এলাকায় রয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, আসানসোল জেলা হাসপাতালে ট্রুনাট মেশিন দ্বারা হাসপাতালের কর্মী ও হাসপাতাল চত্বরে যাঁরা থাকেন তাাঁদের পরীক্ষা করা হচ্ছিল। তখনই ওই ব্যক্তির রিপোর্ট দেখে সন্দেহ হয়। তারপর তাঁকে দুর্গাপুরের কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
আসানসোল জেলা হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের কর্মী ওই ব্যক্তি। এই ঘটনার পর থেকেই ওই ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলা হাসপাতাল চত্বর স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে।
ওই ব্যক্তি আসানসোলের কন্যাপুরের বাসিন্দা। এলাকার এক জনপ্রতিনিধি মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ওই ব্যক্তিকে কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে দুর্গাপুরের কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। আমরা এলাকা স্যানিটাইজ় করিয়েছি। এছাড়া বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরাই বাসিন্দাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু এনে দিতে পারবেন। প্রয়োজনীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে গ্রীষ্মের সময় জল আনতে বাসিন্দারা বাইরে কোথাও না যান। এলাকায় পুলিশ পোস্ট রয়েছে।”
পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এত তৎপরতা দেখানো হলেও, বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করছেন না প্রশাসনিক আধিকারিকরা।