ETV Bharat / city

110 সিসির স্কুটি নিয়ে গুরুদোংমার লেকে আসানসোলের অরুণাভ - অ্যাডভেঞ্চার রাইডিং

মাত্র 110 সিসির স্কুটি নিয়ে সিকিমের গুরুদোংমা অভিযানে আসানসোলের যুবক অরুণাভ গোস্বামী ৷ তাঁর এই অসাধ্য সাধন দেখে অবাক বাইক অভিযাত্রীদের অনেকেই ৷

Gurudongmar Expedition on 110 scooty by Arunava Goswami from Asansol
অরুণাভ গোস্বামী
author img

By

Published : Dec 21, 2019, 9:24 PM IST

Updated : Dec 22, 2019, 9:24 AM IST

আসানসোল, 21 ডিসেম্বর : গুরুদোংমার ৷ পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম লেক ৷ 17,800 ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ৷ মাত্র 110 সিসির স্কুটি নিয়ে সিকিমের গুরুদোংমা অভিযানে যান আসানসোলের যুবক অরুণাভ গোস্বামী ৷ তাঁর এই অসাধ্য সাধন দেখে অবাক বাইক অভিযাত্রীদের অনেকেই ৷

Gurudongmar Expedition on 110 scooty by Arunava Goswami from Asansol
অরুণাভর গুরুদোংমার লেক এক্সপিডিশন

B.Tech দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অরুণাভ ৷ বাড়ি বার্ণপুরের শান্তিনগরে ৷ পড়াশোনার বাইরে অ্যাডভেঞ্চার রাইডিং তাঁর শখ ৷ আর সেই শখ পূরণেই বেড়িয়ে পড়া গুরুদোংমার পথে ৷ কিন্তু বাড়ির ছেলে একা তাও আবার স্কুটি নিয়ে অতদূরে যাবে, প্রথমে মত ছিল না পরিবারের সদস্যদের ৷ কারণ পাহাড়ি পথে অভিযান করতে গেলে কমপক্ষে 350 সিসির বাইক প্রয়োজন ৷ সেখানে প্রায় 18,000 ফুট উচ্চতায় 110 সিসির বাইক নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না বলেই মনে করেছিলেন তাঁরা ৷ এমনকী নিয়মিত পাহাড়ি পথে বাইক রাইডিং করেন, এক্সপিডিশন করেন তাঁরাও সাফ জানিয়েছিলেন এটা অসম্ভব ৷ কিন্তু নাছোড়বান্দা অরুণাভ স্কুটি নিয়েই বেড়িয়ে পড়েন ৷ যদিও যাত্রাপথ যে খুব একটা মসৃণ ছিল না তা নিজেই জানালেন অরুণাভ ৷ বলেন, "রাস্তা কঠিন ছিল ৷ খারাপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে হয়েছিল ৷ তাপমাত্রা মাইনাস 16 ডিগ্রি সেলসিয়াস কখনও কখনও রাতের দিকে মাইনাস 18 ডিগ্রিতেও নেমে গেছিল ৷ রাস্তায় অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল ৷ মাঙ্গানের পরে রাস্তা বলে আর কিছু ছিল না ৷ কারণ কাছেই চিনের অধীনস্থ তিব্বত হওয়ায় সেখানে বর্ডার থেকে রাস্তা তৈরি করা হয়নি ৷ তাই পুরোপুরি অফ রোড ৷ আর অফ রোডে স্কুটি চালানো বেশ কঠিন ৷ সকালে ঠান্ডা থাকায় সকালে গাড়ি স্টার্ট করতে সমস্যা হত ৷ কারণ স্কুটির সাসপেনশন কম হয় ৷ প্রায় দু'ঘণ্টার চেষ্টায় জল গরম করে ইঞ্জিনে ঢালতে হত সেইসঙ্গে অন্যান্য প্রসিডিওর অনুসরণ করতে হত ৷ তারপর স্কুটি স্টার্ট নিত ৷ "

দেখুন ভিডিয়ো...

তিনি আরও জানান, সিকিমের উপরিভাগে মিলিটারি বেস ক্যাম্পের জওয়ানরা তাঁর উৎসাহ দিয়েছেন । এর আগে স্কুটি নিয়েই ছাংগু লেক, নাথুলা বর্ডার, শিলং, চেরাপুঞ্জি ঘুরে এসেছেন তিনি ৷ আগামীদিনে স্কুটি নিয়ে আরও বড় এক্সপিডিশনে যেতে চান অরুণাভ ৷ গড়তে চান রেকর্ড ৷

আসানসোল, 21 ডিসেম্বর : গুরুদোংমার ৷ পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম লেক ৷ 17,800 ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ৷ মাত্র 110 সিসির স্কুটি নিয়ে সিকিমের গুরুদোংমা অভিযানে যান আসানসোলের যুবক অরুণাভ গোস্বামী ৷ তাঁর এই অসাধ্য সাধন দেখে অবাক বাইক অভিযাত্রীদের অনেকেই ৷

Gurudongmar Expedition on 110 scooty by Arunava Goswami from Asansol
অরুণাভর গুরুদোংমার লেক এক্সপিডিশন

B.Tech দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অরুণাভ ৷ বাড়ি বার্ণপুরের শান্তিনগরে ৷ পড়াশোনার বাইরে অ্যাডভেঞ্চার রাইডিং তাঁর শখ ৷ আর সেই শখ পূরণেই বেড়িয়ে পড়া গুরুদোংমার পথে ৷ কিন্তু বাড়ির ছেলে একা তাও আবার স্কুটি নিয়ে অতদূরে যাবে, প্রথমে মত ছিল না পরিবারের সদস্যদের ৷ কারণ পাহাড়ি পথে অভিযান করতে গেলে কমপক্ষে 350 সিসির বাইক প্রয়োজন ৷ সেখানে প্রায় 18,000 ফুট উচ্চতায় 110 সিসির বাইক নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না বলেই মনে করেছিলেন তাঁরা ৷ এমনকী নিয়মিত পাহাড়ি পথে বাইক রাইডিং করেন, এক্সপিডিশন করেন তাঁরাও সাফ জানিয়েছিলেন এটা অসম্ভব ৷ কিন্তু নাছোড়বান্দা অরুণাভ স্কুটি নিয়েই বেড়িয়ে পড়েন ৷ যদিও যাত্রাপথ যে খুব একটা মসৃণ ছিল না তা নিজেই জানালেন অরুণাভ ৷ বলেন, "রাস্তা কঠিন ছিল ৷ খারাপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে হয়েছিল ৷ তাপমাত্রা মাইনাস 16 ডিগ্রি সেলসিয়াস কখনও কখনও রাতের দিকে মাইনাস 18 ডিগ্রিতেও নেমে গেছিল ৷ রাস্তায় অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল ৷ মাঙ্গানের পরে রাস্তা বলে আর কিছু ছিল না ৷ কারণ কাছেই চিনের অধীনস্থ তিব্বত হওয়ায় সেখানে বর্ডার থেকে রাস্তা তৈরি করা হয়নি ৷ তাই পুরোপুরি অফ রোড ৷ আর অফ রোডে স্কুটি চালানো বেশ কঠিন ৷ সকালে ঠান্ডা থাকায় সকালে গাড়ি স্টার্ট করতে সমস্যা হত ৷ কারণ স্কুটির সাসপেনশন কম হয় ৷ প্রায় দু'ঘণ্টার চেষ্টায় জল গরম করে ইঞ্জিনে ঢালতে হত সেইসঙ্গে অন্যান্য প্রসিডিওর অনুসরণ করতে হত ৷ তারপর স্কুটি স্টার্ট নিত ৷ "

দেখুন ভিডিয়ো...

তিনি আরও জানান, সিকিমের উপরিভাগে মিলিটারি বেস ক্যাম্পের জওয়ানরা তাঁর উৎসাহ দিয়েছেন । এর আগে স্কুটি নিয়েই ছাংগু লেক, নাথুলা বর্ডার, শিলং, চেরাপুঞ্জি ঘুরে এসেছেন তিনি ৷ আগামীদিনে স্কুটি নিয়ে আরও বড় এক্সপিডিশনে যেতে চান অরুণাভ ৷ গড়তে চান রেকর্ড ৷

Intro:১৭৮০০ ফুট উচ্চতা। পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতর লেক। সিকিমের গুরুদোংমার লেক। এমনিতেই যারা বেড়াতে যান তারা অক্সিজেনের অভাব অনুভব করে বেশীক্ষন থাকতে পারেন না। সেই গুরুদোংমার লেকে মাত্র ১১০ সিসির স্কুটি নিয়ে একা ঘুরে এল আসানসোলের এক যুবক। এই অসাধ্যসাধন দেখে চমকে গেছে বাইক নিয়ে যারা এক্সিপিডিশনে যান তারাও।Body:আসানসোলের বার্ণপুর শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা অরুনাভ গোস্বামী। বর্তমানে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বি-টেক এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মেধাবী এই ছাত্র পড়াশুনোর বাইরে অ্যাডভেঞ্চার নিয়েই মেতে থাকে। আর সেখান থেকেই ইচ্ছে হয়েছিল স্কুটি নিয়ে গুরুদোংমার লেকে বেড়াতে যাবে। বাড়ির লোকেরা প্রথমে রাজি হয়নি। সবাই জানে পাহাড়ি রাস্তায় এক্সপিডিশন করতে অন্তত পক্ষে সাড়ে তিনশো সিসি-র রয়াল এনফিল্ড বাইক লাগে। সেখানে ১৭৮০০ ফুট উচ্চতায় অরুনাভ যাবে ১১০ সিসির স্কুটি নিয়ে। বাইক এক্সপিডিশন যারা করেন, তারাও অরুনাভকে সাফ জানিয়েছিল অসম্ভব। কিন্তু নাছোড় অরুনাভ বেরিয়েই পড়ে স্কুটি নিয়ে। ইঞ্জিনের ছোটখাটো ব্যামো হলে সারাইটুকু জানে সে। সঙ্গে অতিরিক্ত তেলের পাত্র ও লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে যায়। রাস্তায় যার সঙ্গেই দেখা হয় তারাই এমন আজব অ্যাডভেঞ্চারের কথা শুনে অবাক হয়েছেন। সিকিমের উপরিভাগে মিলিটারি বেস ক্যাম্পের জওয়ানরা অরুনাভকে যদিও উত্সাহ দিয়েছে। এমন অনেক জায়গা পেয়েছে অরুনাভ, যেখানে রাস্তা ছিল না। স্কুটির সাসপেনশন কম, তাই গাড়ি চালাতে অসুবিধা হয়েছে। তাপমাত্রা মাইনাস ১৫-১৬ ডিগ্রি। রাতে গাড়ি থামালে আর স্টার্ট নিত না সকালে। ইঞ্জিনে গরম জল ঢালতে হয়েছে স্টার্ট করার জন্য। কার্যত এক যুদ্ধ করে এই এক্সপিডিশন শেষ করেছে অরুনাভ। Conclusion:এর আগে ছাঙ্গু লেক, নাথুলা, শিলং, চেরাপুঞ্জি স্কুটিতে ঘুরে এসেছে অরুনাভ। আগামী দিনে স্কুটি নিয়েই আরও বড় এক্সিপিডিশন করে রেকর্ড করতে চাইছে সে।
Last Updated : Dec 22, 2019, 9:24 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.