আসানসোল, 21 ডিসেম্বর : গুরুদোংমার ৷ পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম লেক ৷ 17,800 ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ৷ মাত্র 110 সিসির স্কুটি নিয়ে সিকিমের গুরুদোংমা অভিযানে যান আসানসোলের যুবক অরুণাভ গোস্বামী ৷ তাঁর এই অসাধ্য সাধন দেখে অবাক বাইক অভিযাত্রীদের অনেকেই ৷
B.Tech দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অরুণাভ ৷ বাড়ি বার্ণপুরের শান্তিনগরে ৷ পড়াশোনার বাইরে অ্যাডভেঞ্চার রাইডিং তাঁর শখ ৷ আর সেই শখ পূরণেই বেড়িয়ে পড়া গুরুদোংমার পথে ৷ কিন্তু বাড়ির ছেলে একা তাও আবার স্কুটি নিয়ে অতদূরে যাবে, প্রথমে মত ছিল না পরিবারের সদস্যদের ৷ কারণ পাহাড়ি পথে অভিযান করতে গেলে কমপক্ষে 350 সিসির বাইক প্রয়োজন ৷ সেখানে প্রায় 18,000 ফুট উচ্চতায় 110 সিসির বাইক নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না বলেই মনে করেছিলেন তাঁরা ৷ এমনকী নিয়মিত পাহাড়ি পথে বাইক রাইডিং করেন, এক্সপিডিশন করেন তাঁরাও সাফ জানিয়েছিলেন এটা অসম্ভব ৷ কিন্তু নাছোড়বান্দা অরুণাভ স্কুটি নিয়েই বেড়িয়ে পড়েন ৷ যদিও যাত্রাপথ যে খুব একটা মসৃণ ছিল না তা নিজেই জানালেন অরুণাভ ৷ বলেন, "রাস্তা কঠিন ছিল ৷ খারাপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে হয়েছিল ৷ তাপমাত্রা মাইনাস 16 ডিগ্রি সেলসিয়াস কখনও কখনও রাতের দিকে মাইনাস 18 ডিগ্রিতেও নেমে গেছিল ৷ রাস্তায় অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল ৷ মাঙ্গানের পরে রাস্তা বলে আর কিছু ছিল না ৷ কারণ কাছেই চিনের অধীনস্থ তিব্বত হওয়ায় সেখানে বর্ডার থেকে রাস্তা তৈরি করা হয়নি ৷ তাই পুরোপুরি অফ রোড ৷ আর অফ রোডে স্কুটি চালানো বেশ কঠিন ৷ সকালে ঠান্ডা থাকায় সকালে গাড়ি স্টার্ট করতে সমস্যা হত ৷ কারণ স্কুটির সাসপেনশন কম হয় ৷ প্রায় দু'ঘণ্টার চেষ্টায় জল গরম করে ইঞ্জিনে ঢালতে হত সেইসঙ্গে অন্যান্য প্রসিডিওর অনুসরণ করতে হত ৷ তারপর স্কুটি স্টার্ট নিত ৷ "
তিনি আরও জানান, সিকিমের উপরিভাগে মিলিটারি বেস ক্যাম্পের জওয়ানরা তাঁর উৎসাহ দিয়েছেন । এর আগে স্কুটি নিয়েই ছাংগু লেক, নাথুলা বর্ডার, শিলং, চেরাপুঞ্জি ঘুরে এসেছেন তিনি ৷ আগামীদিনে স্কুটি নিয়ে আরও বড় এক্সপিডিশনে যেতে চান অরুণাভ ৷ গড়তে চান রেকর্ড ৷