ETV Bharat / city

লকডাউনে রক্ত সংকট রুখতে বাড়িতেই রক্তদান করে নজির - লকডাউনে রক্তদান শিবির

হাসপাতালে যখন রক্তের সংকট চলছে, থ্যালাসেমিয়া রোগী, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী, প্রসূতি মায়েদের কিভাবে রক্তের জোগান দেবে তা নিয়ে ঘুম ছুটেছে জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকের টেকনিশিয়ানদের, তখন আসানসোলের মহিশিলা কলোনির একটি পরিবার মানবিক ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এলো। ওই পরিবারের সবাই মিলে নিজেদের বাড়িতেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলো । যৌথ পরিবারের সবাই মিলে ১৫ বোতল রক্তদান করলেন জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে।

asansol family donates blood
লকডাউনে রক্ত সংকট রুখতে বাড়িতেই রক্তদান করে নজির গড়ল আসানসোলের এক পরিবার
author img

By

Published : Mar 27, 2020, 11:00 PM IST

আসানসোল, 27 মার্চ: কোরোনার আতঙ্কে রক্তদান শিবির বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রক্ত সংকটে ভুগছে সরকারি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। দুশ্চিন্তায় ব্লাডব্যাঙ্কের টেকনিশিয়ানরা। তাঁদের আবেদন জানাচ্ছেন ছোট করে রক্তদান শিবির করার । এবার সেই ডাকে সাড়া দিল আসানসোলের মহিশিলা কলোনির একটি পরিবার।

রক্তদান করতে এগিয়ে এল এই পরিবার। বাড়ির মধ্যেই নিরাপদ দূরত্ব রেখে ছোট করেই রক্তদানের আয়োজন করল এই যৌথ পরিবারের 15 জন সদস্য। পরিবারের সদস্য ভোলানাথ পাল জানালেন "জেলা হাসপাতালে রক্তদানের সংকট শুনেই আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা এগিয়ে এসেছি। পরিবারের সবাই মিলে রক্তদান করলাম।"

লকডাউনে রক্ত সংকট রুখতে বাড়িতেই রক্তদান করে নজির গড়ল আসানসোলের এক পরিবার

ওই পরিবারের মহিলা সদস্য মৌসুমী পাল জানান "যেভাবে লকডাউন চলছে তাতে বাড়িতে বসে কিছু করতে পারছি না। মানুষের জন্য কিছু তো করা হল।" আসানসোল জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিকেল অফিসার সঞ্জীৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন "আসানসোল চিরকালই পাশে দাঁড়িয়েছে। যেভাবে মানুষজন এগিয়ে আসছেন, তাতে এই যুদ্ধ আমরা একতরফা হতে দেবো না।"বাইট - ভোলানাথ পাল, পরিবারের সদস্য মৌসুমী পাল, পরিবারের সদস্য সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়, মেডিক্যাল অফিসার, ব্লাড ব্যাঙ্ক আসানসোল জেলা হাসপাতালের উপর আসানসোলের পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার প্রান্তিক অঞ্চল এবং ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ নির্ভরশীল। প্রতিদিন থ্যালাসেমিয়া রোগী, প্রসূতি মা, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী, দুর্ঘটনা নিয়ে প্রায় 60 বোতল রক্ত দরকার হয়। কিন্তু লকডাউন চলাকালীন রক্তের জোগান মিলছে না । এর ফলে থ্যালাসেমিয়া রোগী, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী, প্রসূতিদের মত যাদের রক্তের দরকার, তাদের পরিবারের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। এই অবস্থাতে সাহায্যের বাত বাড়িয়া দিলেন আসানসোলের মহিশিলা কলোনির এই পরিবার।

আসানসোল, 27 মার্চ: কোরোনার আতঙ্কে রক্তদান শিবির বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রক্ত সংকটে ভুগছে সরকারি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। দুশ্চিন্তায় ব্লাডব্যাঙ্কের টেকনিশিয়ানরা। তাঁদের আবেদন জানাচ্ছেন ছোট করে রক্তদান শিবির করার । এবার সেই ডাকে সাড়া দিল আসানসোলের মহিশিলা কলোনির একটি পরিবার।

রক্তদান করতে এগিয়ে এল এই পরিবার। বাড়ির মধ্যেই নিরাপদ দূরত্ব রেখে ছোট করেই রক্তদানের আয়োজন করল এই যৌথ পরিবারের 15 জন সদস্য। পরিবারের সদস্য ভোলানাথ পাল জানালেন "জেলা হাসপাতালে রক্তদানের সংকট শুনেই আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা এগিয়ে এসেছি। পরিবারের সবাই মিলে রক্তদান করলাম।"

লকডাউনে রক্ত সংকট রুখতে বাড়িতেই রক্তদান করে নজির গড়ল আসানসোলের এক পরিবার

ওই পরিবারের মহিলা সদস্য মৌসুমী পাল জানান "যেভাবে লকডাউন চলছে তাতে বাড়িতে বসে কিছু করতে পারছি না। মানুষের জন্য কিছু তো করা হল।" আসানসোল জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিকেল অফিসার সঞ্জীৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন "আসানসোল চিরকালই পাশে দাঁড়িয়েছে। যেভাবে মানুষজন এগিয়ে আসছেন, তাতে এই যুদ্ধ আমরা একতরফা হতে দেবো না।"বাইট - ভোলানাথ পাল, পরিবারের সদস্য মৌসুমী পাল, পরিবারের সদস্য সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়, মেডিক্যাল অফিসার, ব্লাড ব্যাঙ্ক আসানসোল জেলা হাসপাতালের উপর আসানসোলের পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার প্রান্তিক অঞ্চল এবং ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ নির্ভরশীল। প্রতিদিন থ্যালাসেমিয়া রোগী, প্রসূতি মা, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী, দুর্ঘটনা নিয়ে প্রায় 60 বোতল রক্ত দরকার হয়। কিন্তু লকডাউন চলাকালীন রক্তের জোগান মিলছে না । এর ফলে থ্যালাসেমিয়া রোগী, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী, প্রসূতিদের মত যাদের রক্তের দরকার, তাদের পরিবারের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। এই অবস্থাতে সাহায্যের বাত বাড়িয়া দিলেন আসানসোলের মহিশিলা কলোনির এই পরিবার।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.