আসানসোল, 23 সেপ্টেম্বর : নতুন ধরনের হিটারের কয়েল আবিষ্কার করে সৌরশক্তির মাধ্যমে রন্ধন যন্ত্র তৈরি করে ফেলল দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিএমইআরআই । আসানসোলে দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রীদের জন্য তৈরি বিশেষ স্কুল ব্রেইল অ্যাকাডেমিতে ইতিমধ্যেই এই নতুন হিটার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এই হিটারটি সম্পূর্ণ সৌরশক্তির মাধ্যমেই চলবে।
দৃষ্টিহীনদের জন্য আসানসোলে তৈরি হয়েছে আবাসিক স্কুল ব্রেইল অ্যাকাডেমি। এই স্কুলে মোট 40 জন দৃষ্টিহীন আবাসিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। সেখানেই প্রথম সিএমইআরআই-এর পক্ষ থেকে এই সৌরশক্তি চালিত হিটারটি বসানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সিএমইআরআই-এর বিজ্ঞানী পার্থসারথী পাল বলেন, “নতুন ধরনের একটি হিটারের কয়েল আবিষ্কার করা হয়েছে। এই হিটারে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য, ব্যাটারিতে সঞ্চয়জাত বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কোনও ইনভার্টার লাগবে না। কারণ এই নতুন প্রযুক্তিতে বানানো হিটারের কয়েল মাত্র 48 ভোল্টেই গরম হতে পারে। বাজারে প্রচলিত 220 ভোল্টের হিটারের কয়েলের সঙ্গে এর আরও পার্থক্য আছে ৷ এই কয়েল হাতে লাগলে কখনই বিদ্যুতের শক লাগবে না।” আগামী দিনে এই সৌরচালিত পরিবেশ বান্ধব হিটার আরও জনপ্রিয় হবে বলে মনে করছেন সিএমইআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন : Asansol : দুঃস্থ মেধাবীদের পাশে লড়াই করে উঠে আসা চার যুবক
আসানসোলের ব্রেইল অ্যাকাডেমির দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রীদের জন্যও এই সৌরচালিত হিটার খুব উপকারে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য থেকে শুরু করে প্রশাসনিক প্রধানরা। আসানসোল ব্রেইল অ্যাকাডেমির সম্পাদিকা শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের এই স্কুলে দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রীরা থাকে,পড়াশোনা করে। তাদের সমস্ত ব্যবহারিক কাজের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। এই হিটার অনেক বেশি নিরাপদ। পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী।"
রানিগঞ্জের বিধায়ক তথা আসানসোল দুর্গাপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটি (এডিডিএ) এর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই স্কুলটি মানুষের দানে চলে। সেখানে এই ধরনের যন্ত্র আসায় উপকৃত হবে স্কুল।"