ETV Bharat / city

Dharmaraj Puja: 50 ঘন্টা উপবাসের পরেও মিঠানীর 'ঝুপাল' উন্মাদনা কি অলৌকিক ! - ঝুপাল যাত্রা

আসানসোলের কুলটির মিঠানী গ্রাম হল মহকুমার অন্যতম বর্ধিষ্ণু গ্রাম । গ্রামে বেশ কয়েকটি প্রাচীন উৎসব আছে । তার মধ্যে এই ধর্মরাজ পুজো অন্যতম । আর ধর্মরাজ পুজোর অন্যতম আকর্ষণ, পুজোর রাতে ঝুপাল যাত্রা (Dharmaraj puja in Asansol)।

Dharmaraj puja jhupal in Asansol
Dharmaraj puja in Asansol
author img

By

Published : May 17, 2022, 9:19 PM IST

আসানসোল, 17 মে : বিজ্ঞানকর্মী, যুক্তিবাদীদের কাছে নিছকই ধর্মান্ধতা হতেই পারে । কিন্তু কুলটির মিঠানীতে শতাব্দী প্রাচীন ধর্মরাজ পুজোর 'ঝুপাল' যাত্রার উন্মাদনা এলাকার মানুষের কাছে আবেগ । তাই তাঁরা আজও এই উৎসবে মাতেন । আশ্চর্যের দৃশ্য এই পুজোয় অংশগ্রহণকারী ভক্তকূল প্রায় 50 ঘন্টা উপবাসে থাকেন । তারপরেও ঢাকের তালে এই দৌড়, উন্মাদনা, নিছকই কি ধর্মান্ধতা?

বছরের পর বছর এই চিত্রের বদল হয়নি । মিঠানী গ্রামের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষও আজও মাতেন প্রাচীন এই উৎসবে । আসানসোলের কুলটির মিঠানী গ্রাম হল মহকুমার অন্যতম বর্ধিষ্ণু গ্রাম । শিক্ষিত মানুষজনের বসবাস । এই গ্রামের রুচি, সংস্কৃতি ও একতাবোধ শহরের এলিটদেরও হার মানায় । গ্রামে বেশ কয়েকটি প্রাচীন উৎসব আছে । তার মধ্যে এই ধর্মরাজ পুজো অন্যতম । আর ধর্মরাজ পুজোর অন্যতম আকর্ষণ, পুজোর রাতে ঝুপাল যাত্রা (Dharmaraj puja in Asansol)।

গ্রামবাসী ও স্থানীয় লোকাচার নিয়ে তথ্য সংগ্রহকারী রুদ্রপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, "ধর্মরাজ হলেন গ্রাম্য দেবতা । পশ্চিম বর্ধমান জেলার মিঠানী গ্রামে এই দেবতা অধিষ্ঠিত রয়েছেন । শাস্ত্রমতে ধর্মরাজ হলেন যমরাজ । পোড়া মাটির তৈরি ঘোড়া হল ধর্মরাজের বাহন । দূরারোগ্য ব্যাধি নিরাময়ের জন্য ও অন্যান্য নানান জটিল সমস্যা থেকে সুরহা পেতে অনেকেই এই ঘোড়া ধর্মরাজকে মানত হিসেবে দান করে থাকে । ধর্মরাজ পূজা সাধারণত বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে পালিত হয়ে থাকে । ধর্মরাজ পূজার সঙ্গে শিবেরও যোগসূত্র রয়েছে । সেই কারণ মন্দিরে ধর্মরাজের সঙ্গে লৌহশলাকা যুক্ত একটি কাঠের পাটাতনকে রাখা হয়, যা বাণেশ্বর নামে পরিচিত । পুজোর রাতে ধর্মরাজের গ্রাম পরিক্রমা করার রীতিকে স্থানীয় ভাষায় 'ঝুপাল' বলা হয় ।"

মিঠানীতে শতাব্দী প্রাচীন ধর্মরাজ পুজোর 'ঝুপাল' যাত্রা

তিনি আরও বলেন, "ঝুপালে লালশালুতে বাঁধা ধর্মরাজ দেবতা গ্রামীন পুষ্করিনীতে যান মুক্তালয় রীতি পালন করতে । যাওয়ার সময় লাঠির মাঝে, আর ফিরে আসার সময় বেতের ঝুড়ি বা স্থানীয় ভাষায় ডালায় । যাঁরা ওই লাঠি ও বেতের ঝুড়ি ধরেন, তাদের ভর আসে । এরপর ঢাকের তালে, ধুনোর ধোঁয়ায়, তাদের বারবার জাগানো হয় । তাঁরা গ্রামজুড়ে ছুটতে থাকে । আর তাদের সঙ্গে অনান্য ভক্তকূল ও গ্রামবাসীরা ।"

আরও পড়ুন : Kacha Badam Part 2 : আসছে কাঁচা বাদাম পার্ট টু, আশাবাদী ভুবন

ধর্মরাজ পূজা বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে অনুষ্ঠিত হলেও এই পূজা সম্পন্ন হতে সময় লাগে তিনদিন । পুজোর আগেরদিন থেকেই ভক্তরা উপবাস করতে শুরু করে । ভক্তদের লোটন, ডণ্ডি দেওয়া, প্রায় 50 ঘন্টার উপবাস ধর্মরাজ পূজার বিশেষ অংশ । গ্রামবাসীদের কাছে বিশ্বাস জাগ্রত দেবতা ধর্মরাজ । তাই বিষয়টির বিস্তারে কেউই যেতে রাজি নয় । স্থানীয় বিজ্ঞান মঞ্চের নেতারাও ধর্মরাজ পুজোর ঝুপাল নিয়ে কখনও মন্তব্য করতে চাননি । তাদের মতে, মানুষের বিশ্বাসে আঘাত দিতে নেই । এই রীতি তো সমাজের কোনও ক্ষতি করে না ।

আসানসোল, 17 মে : বিজ্ঞানকর্মী, যুক্তিবাদীদের কাছে নিছকই ধর্মান্ধতা হতেই পারে । কিন্তু কুলটির মিঠানীতে শতাব্দী প্রাচীন ধর্মরাজ পুজোর 'ঝুপাল' যাত্রার উন্মাদনা এলাকার মানুষের কাছে আবেগ । তাই তাঁরা আজও এই উৎসবে মাতেন । আশ্চর্যের দৃশ্য এই পুজোয় অংশগ্রহণকারী ভক্তকূল প্রায় 50 ঘন্টা উপবাসে থাকেন । তারপরেও ঢাকের তালে এই দৌড়, উন্মাদনা, নিছকই কি ধর্মান্ধতা?

বছরের পর বছর এই চিত্রের বদল হয়নি । মিঠানী গ্রামের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষও আজও মাতেন প্রাচীন এই উৎসবে । আসানসোলের কুলটির মিঠানী গ্রাম হল মহকুমার অন্যতম বর্ধিষ্ণু গ্রাম । শিক্ষিত মানুষজনের বসবাস । এই গ্রামের রুচি, সংস্কৃতি ও একতাবোধ শহরের এলিটদেরও হার মানায় । গ্রামে বেশ কয়েকটি প্রাচীন উৎসব আছে । তার মধ্যে এই ধর্মরাজ পুজো অন্যতম । আর ধর্মরাজ পুজোর অন্যতম আকর্ষণ, পুজোর রাতে ঝুপাল যাত্রা (Dharmaraj puja in Asansol)।

গ্রামবাসী ও স্থানীয় লোকাচার নিয়ে তথ্য সংগ্রহকারী রুদ্রপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, "ধর্মরাজ হলেন গ্রাম্য দেবতা । পশ্চিম বর্ধমান জেলার মিঠানী গ্রামে এই দেবতা অধিষ্ঠিত রয়েছেন । শাস্ত্রমতে ধর্মরাজ হলেন যমরাজ । পোড়া মাটির তৈরি ঘোড়া হল ধর্মরাজের বাহন । দূরারোগ্য ব্যাধি নিরাময়ের জন্য ও অন্যান্য নানান জটিল সমস্যা থেকে সুরহা পেতে অনেকেই এই ঘোড়া ধর্মরাজকে মানত হিসেবে দান করে থাকে । ধর্মরাজ পূজা সাধারণত বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে পালিত হয়ে থাকে । ধর্মরাজ পূজার সঙ্গে শিবেরও যোগসূত্র রয়েছে । সেই কারণ মন্দিরে ধর্মরাজের সঙ্গে লৌহশলাকা যুক্ত একটি কাঠের পাটাতনকে রাখা হয়, যা বাণেশ্বর নামে পরিচিত । পুজোর রাতে ধর্মরাজের গ্রাম পরিক্রমা করার রীতিকে স্থানীয় ভাষায় 'ঝুপাল' বলা হয় ।"

মিঠানীতে শতাব্দী প্রাচীন ধর্মরাজ পুজোর 'ঝুপাল' যাত্রা

তিনি আরও বলেন, "ঝুপালে লালশালুতে বাঁধা ধর্মরাজ দেবতা গ্রামীন পুষ্করিনীতে যান মুক্তালয় রীতি পালন করতে । যাওয়ার সময় লাঠির মাঝে, আর ফিরে আসার সময় বেতের ঝুড়ি বা স্থানীয় ভাষায় ডালায় । যাঁরা ওই লাঠি ও বেতের ঝুড়ি ধরেন, তাদের ভর আসে । এরপর ঢাকের তালে, ধুনোর ধোঁয়ায়, তাদের বারবার জাগানো হয় । তাঁরা গ্রামজুড়ে ছুটতে থাকে । আর তাদের সঙ্গে অনান্য ভক্তকূল ও গ্রামবাসীরা ।"

আরও পড়ুন : Kacha Badam Part 2 : আসছে কাঁচা বাদাম পার্ট টু, আশাবাদী ভুবন

ধর্মরাজ পূজা বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে অনুষ্ঠিত হলেও এই পূজা সম্পন্ন হতে সময় লাগে তিনদিন । পুজোর আগেরদিন থেকেই ভক্তরা উপবাস করতে শুরু করে । ভক্তদের লোটন, ডণ্ডি দেওয়া, প্রায় 50 ঘন্টার উপবাস ধর্মরাজ পূজার বিশেষ অংশ । গ্রামবাসীদের কাছে বিশ্বাস জাগ্রত দেবতা ধর্মরাজ । তাই বিষয়টির বিস্তারে কেউই যেতে রাজি নয় । স্থানীয় বিজ্ঞান মঞ্চের নেতারাও ধর্মরাজ পুজোর ঝুপাল নিয়ে কখনও মন্তব্য করতে চাননি । তাদের মতে, মানুষের বিশ্বাসে আঘাত দিতে নেই । এই রীতি তো সমাজের কোনও ক্ষতি করে না ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.