দুর্গাপুর, 11 জুন : ECL-এর কয়লা খনিগুলিতে "কমার্শিয়াল কোল" পদ্ধতি লাগুর বিরুদ্ধাচারণ করে কয়লাখনি শ্রমিক সংগঠনগুলি ধর্নায় বসল । প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হল কোলিয়ারি চত্বরে । পাশাপাশি বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়াঁঁরি দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি ।
কয়লা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেশের বহু কোল ব্লককে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে । আজ থেকে কমার্শিয়াল কোল পদ্ধতি চালু হল কয়লা শিল্পে । কেন্দ্রের এমন নির্দেশিকার পরে কয়লা খনি শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, সরাসরি বেসরকারিকরণের পথে চলে যাবে কয়লাশিল্প । তার ফলে সরকারি কোলিয়ারিগুলি দিনে দিনে রুগ্ন হয়ে যাবে । কোলিয়ারিগুলিতে কাজ হারাবেন শ্রমিকরা । এমন অভিযোগ কেন্দ্রীয় কয়লা খনি শ্রমিক সংগঠনগুলির । কয়লাখনিতে কমার্শিয়াল কোল পদ্ধতির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার শ্রমিক সংগঠন HMS ,BMS, INTTUC, SITU বিরোধিতা শুরু করে ।
কয়লা শিল্পে বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে আজ সকাল 11টা থেকে অণ্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর এলাকার বিভিন্ন কয়লা খনিতে শ্রমিক সংগঠনগুলি ধরনা কর্মসূচি পালন করে । পাণ্ডবেশ্বরের কুমারডিহির কোলিয়ারি এজেন্ট অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা । তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন আন্দোলনকারীরা । সংগঠনগুলির অভিযোগ BJP সরকার কয়লা খনিগুলিকে বেসরকারিকরণের জন্য কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছেন । মোদি সরকারকে এই নির্দেশিকা ফিরিয়ে নিতে হবে । তা নাহলে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলো বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে পা বাড়াবে ।
কেন্দ্রীয় সরকারের কয়লা শিল্পে বেসরকারিকরণ করার এই প্রয়াস যথেষ্ট বেগ পাবে এমনটা মনে করছেন অনেকে । কারণ, কয়লা শিল্পে যদি কর্মীরা ধর্মঘটের ডাক দেয় এবং তা লাগাতার চলতে থাকে । তাহলে কয়লার অভাবে দেশের বিভিন্ন পরিষেবা বিশেষ করে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে । আর বিদ্যুৎ পরিষেবা বাধাপ্রাপ্ত হলে বহু ক্ষতি হয়ে যাবে । তাই কোলিয়ারিগুলিতে FDI নীতি চালু করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে পিছু হটেছে । কমার্শিয়াল কোল পদ্ধতি চালু করার ক্ষেত্রে সেভাবে তাদেরকে পিছু হটতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।