ETV Bharat / city

থিয়েটার পাগল অরিন্দম জীবনের রঙ্গমঞ্চে আজ ভবঘুরে, জোটে না খাবার

author img

By

Published : May 31, 2021, 10:59 PM IST

প্রথম প্রথম ফুটপাতে, বাসস্ট্যান্ডে, স্টেশনে দিন কেটেছে বিশিষ্ট নাট্যকারের । কার্যত অনাহারের কারণেই মৃত্যু হয় অরিন্দমের ভাইয়ের ৷ বর্তমানে অরিন্দম সেনগুপ্ত আশ্রয় নিয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের রোগী পরিবারের আশ্রয় কেন্দ্রে ৷ কোনওমতে হাসপাতালের ক্যান্টিনে অল্পস্বল্প খাবার জোটে । কোনওদিন আবার তাও জোটে না ।

জীবনের রঙ্গমঞ্চে আজ ভবঘুরে অরিন্দম
জীবনের রঙ্গমঞ্চে আজ ভবঘুরে অরিন্দম

আসানসোল, 31 মে : একসময় যাঁর নাটকের স্ক্রিপ্ট তোলপাড় তুলেছিল রঙ্গমঞ্চে । নাট্যশিল্পীরা যাঁকে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার মনে করেন । সেই অরিন্দম সেনগুপ্ত আসানসোল জেলা হাসপাতালের রোগী পরিবারের আশ্রয়কেন্দ্রে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন । অর্থকষ্ট এবং অভাবে দিন কাটলেও আদর্শের কারণে দান বা দয়াভিক্ষা কোনওটাই চান না নাট্যকার ।
আসানসোলের বরফকল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন অরিন্দম সেনগুপ্ত । 90 এর দশক থেকেই তাঁর লেখা থিয়েটারের স্ক্রিপ্ট তোলপাড় ফেলেছিল বিভিন্ন মঞ্চে । দ্রষ্টা নাট্যকার হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি । সমাজের অনেকটা আগের সময় দেখতে পেতেন তিনি । তাঁর প্রভাব পড়ত তাঁর নাটকেও ৷ সমাজ সংস্কারক এই নাট্যকার স্বপ্ন দেখতেন বোধহয় থিয়েটার করেই তাঁর দিন গুজরান হবে । খুব স্বল্প ছিল তাঁর চাহিদা ৷ কিন্তু সেটাও পূরণ হয়নি ৷ অভাবের তাড়নায় বদলে গিয়েছে শিল্পীর জীবন ৷ থিয়েটার থেকে তেমন কিছুই রোজগার ছিল না । অভাবের কারণেই অরিন্দমকে ছেড়ে চলে যান স্ত্রী এবং ছেলে ৷ ভাইকে নিয়ে অনেক চেষ্টা করেছিলেন থিয়েটারের পেশাতেই থেকে যেতে ৷ কিন্তু পারেননি । অভাবের কারণে নিজেদের বাড়িটাও বেচতে হয় অরিন্দমকে । এবং শেষপর্যন্ত পথে নামতে হয় ।

জীবনের রঙ্গমঞ্চে আজ ভবঘুরে অরিন্দম

প্রথম প্রথম ফুটপাতে, বাসস্ট্যান্ডে, স্টেশনে দিন কেটেছে এই বিশিষ্ট নাট্যকারের । একই সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাইও । কার্যত অনাহারের কারণেই মৃত্যু হয় অরিন্দমের ভাইয়ের ৷ বর্তমানে অরিন্দম সেনগুপ্ত আশ্রয় নিয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের রোগী পরিবারের আশ্রয় কেন্দ্রে ৷ কোনওমতে হাসপাতালের ক্যান্টিনে অল্পস্বল্প খাবার জোটে । কোনওদিন আবার তাও জোটে না । তবে নাট্যকর্মীরা তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন । তাঁকে অর্থ সাহায্য করতে চেয়েছেন । কিন্তু ভিক্ষাবৃত্তি করবেন না অরিন্দম । তাই কারও দান সেইভাবে নিতে চাননি । তবে প্রিয়জনরা কখনও হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে এলে, কয়েকটা দিন চলে যায় ।
নিজের এই অবস্থার জন্য অবশ্য নিজেকেই দায়ী করেন অরিন্দম । বর্তমানে তাই নাটক নিয়ে কিছু ভাবতে চান না শিল্পী । যদিও বললেন "এই মফঃস্বলে থিয়েটার এখনও পর্যন্ত মানুষের পেশা হয়ে উঠতে পারেনি আর সেই কারণেই এই দারিদ্র ।"

আরও পড়ুন : আসানসোলের বহুতল আবাসিকদের জলকর মুকুব
আসানসোলের বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী ও পরিচালক স্বপন বিশ্বাস বলেন, "অরিন্দমের মতো স্ক্রিপ্ট রাইটার সারা রাজ্যেও পাইনি । অরিন্দম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার ।" অরিন্দমের অবস্থায় স্বপনবাবু নিজের সাধ্যমত পাশে দাঁড়িয়েছেন । তবে স্বপনবাবু জানান, ঠিক এভাবে সহায়তা নয়, অরিন্দমকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর তাঁরা । আবার নাটক লিখে, নাট্যদলের থেকে পারিশ্রমিক পেয়ে বাঁচুক অরিন্দম, তাই চান তিনি ৷ তবে পাশাপাশি স্বপনবাবু স্বীকার করেন , থিয়েটার এখনও পেশা হয়ে উঠতে পারেনি এই শহরে । শুধুমাত্র থিয়েটার নিয়ে বেঁচে থাকতে গেলে অরিন্দমের মতোই হাল হবে থিয়েটার শিল্পীদের একথা মেনে নেন তিনি ।

আসানসোল, 31 মে : একসময় যাঁর নাটকের স্ক্রিপ্ট তোলপাড় তুলেছিল রঙ্গমঞ্চে । নাট্যশিল্পীরা যাঁকে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার মনে করেন । সেই অরিন্দম সেনগুপ্ত আসানসোল জেলা হাসপাতালের রোগী পরিবারের আশ্রয়কেন্দ্রে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন । অর্থকষ্ট এবং অভাবে দিন কাটলেও আদর্শের কারণে দান বা দয়াভিক্ষা কোনওটাই চান না নাট্যকার ।
আসানসোলের বরফকল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন অরিন্দম সেনগুপ্ত । 90 এর দশক থেকেই তাঁর লেখা থিয়েটারের স্ক্রিপ্ট তোলপাড় ফেলেছিল বিভিন্ন মঞ্চে । দ্রষ্টা নাট্যকার হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি । সমাজের অনেকটা আগের সময় দেখতে পেতেন তিনি । তাঁর প্রভাব পড়ত তাঁর নাটকেও ৷ সমাজ সংস্কারক এই নাট্যকার স্বপ্ন দেখতেন বোধহয় থিয়েটার করেই তাঁর দিন গুজরান হবে । খুব স্বল্প ছিল তাঁর চাহিদা ৷ কিন্তু সেটাও পূরণ হয়নি ৷ অভাবের তাড়নায় বদলে গিয়েছে শিল্পীর জীবন ৷ থিয়েটার থেকে তেমন কিছুই রোজগার ছিল না । অভাবের কারণেই অরিন্দমকে ছেড়ে চলে যান স্ত্রী এবং ছেলে ৷ ভাইকে নিয়ে অনেক চেষ্টা করেছিলেন থিয়েটারের পেশাতেই থেকে যেতে ৷ কিন্তু পারেননি । অভাবের কারণে নিজেদের বাড়িটাও বেচতে হয় অরিন্দমকে । এবং শেষপর্যন্ত পথে নামতে হয় ।

জীবনের রঙ্গমঞ্চে আজ ভবঘুরে অরিন্দম

প্রথম প্রথম ফুটপাতে, বাসস্ট্যান্ডে, স্টেশনে দিন কেটেছে এই বিশিষ্ট নাট্যকারের । একই সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাইও । কার্যত অনাহারের কারণেই মৃত্যু হয় অরিন্দমের ভাইয়ের ৷ বর্তমানে অরিন্দম সেনগুপ্ত আশ্রয় নিয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের রোগী পরিবারের আশ্রয় কেন্দ্রে ৷ কোনওমতে হাসপাতালের ক্যান্টিনে অল্পস্বল্প খাবার জোটে । কোনওদিন আবার তাও জোটে না । তবে নাট্যকর্মীরা তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন । তাঁকে অর্থ সাহায্য করতে চেয়েছেন । কিন্তু ভিক্ষাবৃত্তি করবেন না অরিন্দম । তাই কারও দান সেইভাবে নিতে চাননি । তবে প্রিয়জনরা কখনও হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে এলে, কয়েকটা দিন চলে যায় ।
নিজের এই অবস্থার জন্য অবশ্য নিজেকেই দায়ী করেন অরিন্দম । বর্তমানে তাই নাটক নিয়ে কিছু ভাবতে চান না শিল্পী । যদিও বললেন "এই মফঃস্বলে থিয়েটার এখনও পর্যন্ত মানুষের পেশা হয়ে উঠতে পারেনি আর সেই কারণেই এই দারিদ্র ।"

আরও পড়ুন : আসানসোলের বহুতল আবাসিকদের জলকর মুকুব
আসানসোলের বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী ও পরিচালক স্বপন বিশ্বাস বলেন, "অরিন্দমের মতো স্ক্রিপ্ট রাইটার সারা রাজ্যেও পাইনি । অরিন্দম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার ।" অরিন্দমের অবস্থায় স্বপনবাবু নিজের সাধ্যমত পাশে দাঁড়িয়েছেন । তবে স্বপনবাবু জানান, ঠিক এভাবে সহায়তা নয়, অরিন্দমকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর তাঁরা । আবার নাটক লিখে, নাট্যদলের থেকে পারিশ্রমিক পেয়ে বাঁচুক অরিন্দম, তাই চান তিনি ৷ তবে পাশাপাশি স্বপনবাবু স্বীকার করেন , থিয়েটার এখনও পেশা হয়ে উঠতে পারেনি এই শহরে । শুধুমাত্র থিয়েটার নিয়ে বেঁচে থাকতে গেলে অরিন্দমের মতোই হাল হবে থিয়েটার শিল্পীদের একথা মেনে নেন তিনি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.