আসানসোল, 26 অগস্ট: বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গরুপাচার মামলায় (West Bengal Cattle Snuggling Case) সিবিআই (CBI)-এর হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে বন্দি রয়েছেন আসানসোল সংশোধনাগারে (Asansol Jail) ৷ সংশোধনাগারের (Asansol Special Correctional Home) ভিতরের হাসপাতালেই দিন কাটছে কেষ্টর ৷ এদিকে, শুক্রবার ছিল কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya) ৷ সেই উপলক্ষে বীরভূমের তারাপীঠজুড়ে ছিল উৎসবের মেজাজ ৷ প্রতি বছর এই দিনে নিজের মতো করে পুজোর আনন্দে সামিল হন অনুব্রতও ৷ কিন্তু, এবারের পরিস্থিতি একেবারে আলাদা ৷ চাইলেও তারা মায়ের কাছে ছুটে আসার উপায় নেই তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত কেষ্টর ৷ কিন্তু, তা বলে কি পুজোর দিনে ন্যূনতম নিয়মটুকুও মানবেন না তিনি ? তেমনটা হতে দেননি অনুব্রত ৷ জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে এদিন শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার খেয়েছেন তিনি ৷
জেলের এক সূত্র মারফতই জানা গিয়েছে, এদিন মন ভালো ছিল না কেষ্টর ৷ অন্যদিকে দুপুরের খাবারে আসানসোল সংশোধনাগারের শুক্রবারের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, সবজি ও ডিমের ঝোল ৷ অনুব্রত জেল কর্তৃপক্ষকে জানান, প্রতিবছর কৌশিকী অমাবস্যায় তারা মায়ের পুজো করেন ৷ তাই এদিন তিনি ডিম খাবেন না ৷ দুপুরে শুধুমাত্র ডাল আর সবজি দিয়েই ভাত মেখে খান অনুব্রত মণ্ডল ৷
আরও পড়ুন: অনুব্রতর হাতছাড়া তিন বিধানসভা কেন্দ্র, দায়িত্বে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়
শুক্রবার অনুব্রত ঘুম থেকে উঠেছেন একটু বেলা করে ৷ জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে আটটার পর ঘুম ভেঙেছে কেষ্টর ৷ শারীরিক কিছু সমস্যা থাকার কারণে আসানসোল জেলের শৌচালয়ে তাঁর জন্য কমোডের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ শৌচকর্মের পর লিকার চা আর অল্প মুড়ি খেয়ে প্রাতঃরাশ সারেন অনুব্রত ৷ নির্দিষ্ট সময় খেয়ে নেন দুপুরের খাবার ৷ সেইসঙ্গে জানিয়ে দেন, এদিন রাতেও নিরামিষ খাবারই খাবেন তিনি ৷ তাঁকে ডিনারে রুটি আর সবজি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, আসানসোল সংশোধনাগারের ভিতরেই ছোট্ট একটি বেদি আছে ৷ সেখানে মা কালীর ছবি রয়েছে ৷ শুক্রবার সন্ধ্যার পর সেখানে পুজো করার অনুমতি চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ৷ জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর সেই অনুরোধ রেখেছে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি ৷
অন্যদিকে, একই সংশোধনাগারে বন্দি থাকলেও আপাতত অনুব্রত মণ্ডলের ধারেকাছেও যেতে পারবেন না তাঁর এক সময়ের বিশ্বস্ত দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain) ৷ তবে, অনুব্রত কেমন আছেন, নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন কি না, সেই বিষয়ে জেলের পুলিশকর্মীদের কাছেই নাকি খোঁজ নিচ্ছেন সায়গল ৷