ETV Bharat / city

অনুত্তীর্ণ 47 শতাংশ পরীক্ষার্থী, ফলাফলে সন্তুষ্ট প্রধান শিক্ষক - kulti

মাধ্যমিকে স্কুলের 53 শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে । অনুত্তীর্ণ 47 শতাংশ । তবে ফলে সন্তুষ্ট প্রধান শিক্ষক । তবে আরও পরিশ্রম করলে ফল আরও ভালো হতে পারত বলে স্বীকার করছেন তিনি ।

মিঠানী হাইস্কুল
author img

By

Published : May 21, 2019, 8:48 PM IST

Updated : May 21, 2019, 9:14 PM IST

আসানসোল, 21 মে : এবার মাধ্যমিকে পাশের হার 86.07 শতাংশ । আর সেখানেই ঠিক উলটো রেকর্ড গড়ল আসানসোলের কুলটির মিঠানি হাইস্কুল । এই স্কুলের 47 শতাংশ ছাত্রছাত্রী অনুত্তীর্ণ ।

এবারে মাধ্যমিকে পাশের হার পর্ষদের ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে । এমনই জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় । অন্যদিকে আসানসোল কুলটির মিঠানি হাইস্কুল থেকে এবছর পরীক্ষা দিয়েছিল 232 জন ছাত্রছাত্রী । উত্তীর্ণ হয়েছে 124 জন । অর্থাৎ পাশ করেছে 53 শতাংশ । 47 শতাংশ পাশ করেনি । অভিভাবকরা অবশ্য এর জন্য স্কুলের পরিচালন কমিটি ও প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন পালকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন । অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের কারণে স্কুলে সারাবছর অশান্তি লেগেই থাকে । তাই পড়াশোনা না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা পাশ করতে পারেনি ।

বৃন্দাবন পাল

অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন পাল অবশ্য ছাত্রছাত্রীদের এই রেজ়াল্টে বেশ সন্তুষ্ট । বলেন, "যে লেভেল থেকে আমরা ছেলেমেয়েদের পাচ্ছি, সেই হিসেবে আমাদের যা রেজ়াল্ট হয়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট । " তবে সেইসঙ্গে এও স্বীকার করেন, ছাত্রছাত্রীদের আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । ছাত্রছাত্রীদেরও আরও বেশি পড়াশোনা করতে হবে । তিনি আরও বলেন, "অত্যন্ত দুঃস্থ পরিবার থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসে । তাদের অনেকেরই আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ । আমরা যখন পঞ্চম শ্রেণিতে ভরতি নেই তখন শূন্য পাওয়া ছেলেকেও ভরতি নিতে হয় । সেখান থেকে চালিয়ে আমরা এই জায়গায় টেনে নিয়ে আসি । এটা আমাদের ভালো লাগছে । আমরা যদি আরও একটু বেশি পরিশ্রম করি তাহলে তাদের আরও উপরে তুলে নিয়ে যেতে পারব ।"

আসানসোল, 21 মে : এবার মাধ্যমিকে পাশের হার 86.07 শতাংশ । আর সেখানেই ঠিক উলটো রেকর্ড গড়ল আসানসোলের কুলটির মিঠানি হাইস্কুল । এই স্কুলের 47 শতাংশ ছাত্রছাত্রী অনুত্তীর্ণ ।

এবারে মাধ্যমিকে পাশের হার পর্ষদের ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে । এমনই জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় । অন্যদিকে আসানসোল কুলটির মিঠানি হাইস্কুল থেকে এবছর পরীক্ষা দিয়েছিল 232 জন ছাত্রছাত্রী । উত্তীর্ণ হয়েছে 124 জন । অর্থাৎ পাশ করেছে 53 শতাংশ । 47 শতাংশ পাশ করেনি । অভিভাবকরা অবশ্য এর জন্য স্কুলের পরিচালন কমিটি ও প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন পালকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন । অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের কারণে স্কুলে সারাবছর অশান্তি লেগেই থাকে । তাই পড়াশোনা না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা পাশ করতে পারেনি ।

বৃন্দাবন পাল

অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন পাল অবশ্য ছাত্রছাত্রীদের এই রেজ়াল্টে বেশ সন্তুষ্ট । বলেন, "যে লেভেল থেকে আমরা ছেলেমেয়েদের পাচ্ছি, সেই হিসেবে আমাদের যা রেজ়াল্ট হয়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট । " তবে সেইসঙ্গে এও স্বীকার করেন, ছাত্রছাত্রীদের আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । ছাত্রছাত্রীদেরও আরও বেশি পড়াশোনা করতে হবে । তিনি আরও বলেন, "অত্যন্ত দুঃস্থ পরিবার থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসে । তাদের অনেকেরই আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ । আমরা যখন পঞ্চম শ্রেণিতে ভরতি নেই তখন শূন্য পাওয়া ছেলেকেও ভরতি নিতে হয় । সেখান থেকে চালিয়ে আমরা এই জায়গায় টেনে নিয়ে আসি । এটা আমাদের ভালো লাগছে । আমরা যদি আরও একটু বেশি পরিশ্রম করি তাহলে তাদের আরও উপরে তুলে নিয়ে যেতে পারব ।"

Intro:
মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবছর যেখানে পর্ষদের পাশের হার সর্বোচ্চ, সেখানে ফেল করে রেকর্ড গড়লো আসানসোলের একটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। আসানসোলের কুলটির মিঠানী হাইস্কুলে এই পাশের বাজারেও ৪৭ শতাংশ ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিচলিত না হয়ে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের দাবি, ভালো ফল হয়েছে।Body:এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ সর্বোচ্চ শতাংশ পাশের রেকর্ড গড়েছে। প্রায় ৮৬.০৭ শতাংশ ছাত্রছাত্রী এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে। অর্থাৎ এই পাশের হারে ফেল করার সংখ্যা খুবই কম। আর এই পাশ করার বাজারে আসানসোল কুলটির মিঠানি হাইস্কুল ফেল করার রেকর্ড গড়ল। সাম্ভাব্য জেলার সব স্কুলের থেকে মিঠানী স্কুলেই সব চেয়ে বেশী ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে এ বছর এ বছর এ বছর বছর মিঠানী হাই স্কুল থেকে মোট ২৩২ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ১২৪ জন। অর্থাৎ মিঠানী স্কুলের ৪৭ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরা স্কুলের পরিচালন কমিটি এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন পাল কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকদের দাবি সারা বছর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের জন্য স্কুলে অশান্তি লেগেই থাকে। আর সেই অশান্তির কারণ স্কুলের শিক্ষকরাও ভালো করে পাঠদান করে না ছাত্রছাত্রীদের।
অন্যদিক বেশিরভাগই দুঃস্থ পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা এই স্কুলে পড়তে আসে। ফলে তাদের টিউশনি নেওয়ার মতন কোনো ক্ষমতা নেই। স্কুলের পাঠদানের উপর ভরসা করেই তাদের পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল। অভিভাবকদের দাবি যেহেতু স্কুলে কোন পড়াশোনা হয়না তাই ছাত্রছাত্রীরা পাস করতে পারেননি।
যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন পাল জানিয়েছেন, যে মানের ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসে এই স্কুলে, তাতে এই রেজাল্টে তিনি সন্তুষ্ট। রেজাল্ট অনেক ভালো হয়েছে, স্কুল আরও পরিশ্রম করলে রেজাল্ট আগামী দিনে আরো ভালো হবে।Conclusion:
Last Updated : May 21, 2019, 9:14 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.